কাগজ, কাগজ, কাগজ সবখানে
কি ঘরে, কি বাইরে,
কি পথে-ঘাটে বাজারে
সবই প্লাবিত কাগজ বন্যা-বানে।
দেখ অফিসে, দেখ আদালতে
দেখ কাগজ আর কাগজ
স্থানে, স্থানে-সংস্থানে,
যেখানে বসি সেখানে কাগজ
যেখানে হাটি সেখানে কাগজ
রাত পোহালেই শুরু তার ছড়াছড়ি
এক গাঁদা পড়ে দরজা পদে
এক গাঁদা আসে কাজের ঘরে
টেবিলে টেবিলে ছড়ানো কাগজ,
এ কি কোন বন্যা ওরে!
দেখ সরকার-গৃহ,
দেখ নিফাক, ওদের কর্ম-ভ্রম
অপচয় দেখ জমাট সেথায় সুউচুঁ পাহাড়সম
এত অপচয়, এত অপচয়, কোথাও নাহি কি ত্রাতা?
অপচয় কাজে নয় কি আমরা অভিশপ্ত শয়তান ভ্রাতা?
গত তিন যুগ ধরে শুনি, শুভবাণী
কাগজের ব্যবহার যাবে নামি
এবারে এসেছে তথ্য-বিপ্লব নব ক্রিয়া-প্রক্রিয়া
তথ্য রাখার স্থানটি ভরিবে ত্রাতা কম্পিউটার দিয়া
এলো কম্পিউটার, এলো প্রিন্টার
বাড়িল ব্যবহার যা ছিল আগে তার চেয়ে দশগুণ-বিশগুণ
কাগজ-বন্যায় ডুবু ডুবু আজি, একি হবুরাজের কুৎসিত-গুণ।
এত অপচয়ী-রূপ দেখে জগৎ-হৃদয় কাঁদে
কত গাছ-বাঁশ, কত সবুজের প্রাণ নিধন হয়েছে তাতে
তারপর অপচয়ভরে দূষণ-সীমা
বাড়ে আর বাড়ে দ্রুতত গতির সনে,
আহা, আঁখি দিয়ে ঢুকে কাগজের দুঃখ
পরশিয়া যায় মনে।
.
ধন্যবাদ ভাই । আমি পেপারলেছ বিশ্বের পক্ষে ।
ধন্যবাদ।
ভাই, এটা আগের লেখা। মনে হয় ২০১০ এর। যদিও এসব নিয়ে এখনো ভাবি, তবে কবিতা লেখার জন্য কলম খুঁজতে যাই না। একটা সাহিত্য আড্ডায় প্রতি মাসে একবার যাই, কিন্তু গত ১ বৎসর থেকে নিজে কিছু produce করিনি, শুধু আলোচনায় অংগ গ্রহণ ছাড়া। তবে বর্তমান বাংলায় উপন্যাসের প্রয়োজন আছে বলে মনে করি। বাংলাদেশের নাস্তিক ও ইসলাম বিদ্বেষীরা এই ফিল্ডটা দখল করে নিজেদের বিশ্বাস, ধ্যান/ধারণা ও পৌত্তলিকতা ছড়াচ্ছে।
আর এর পর যদি কখনো আমার কোন কবিতা দেখেন, তবে অমনিতেই ধরে নেবেন, এগুলো পুরাতন। কম্পিউটারে পড়ে থাকার চেয়ে ব্লগে থাকাটাই ভাল বলে ঢেলে দেই।
এতো বহুত মারিফতি লেখা! কি ব্যাপার এত বিষয় থাকতে কিংবা কলম রেখে হঠাৎ কাগজ!!!
তবে কম্পিউটারের কল্যাণে বহু টন কাগজ উৎপাদন থেকে ব্যাংক বীমা কোম্পানীরা বেচে গেছে মানে তেলা মাথায় তেল হচ্ছে!
আর পৃথিবীতেও সবুজের উপর আক্রমণ কম হচ্ছে!
লেখাটির জন্য ধন্যবাদ।
কি সুন্দর পরিবেশ বান্ধব একটি লিখা! আসলেই কাগজের আপচয় দেখলে খুবই খারাপ লাগে।
ধন্যবাদ।
ভাই, ধন্যবাদ।