এটা শুধু ছাত্র আন্দোলন নয়, সরকারি লুটেরাদের বিরুদ্ধে মধ্যবিত্তের আন্দোলন

সরকার সমর্থকরা বিভিন্ন ব্যাঙ্ক থেকে বারবার জনগণের হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করে নেবার পর অর্থমন্ত্রী মুহিত সাহেব বলেন – “এটা অতি সামান্য টাকা”, “যারা ব্যাঙ্কের টাকা দিয়ে হরিলুট করেছে, তারা প্রভাবশালীদের এতই নিকটের লোক যে, আমার কিছুই করার নেই”। মধ্যবিত্তরা প্রবাস থেকে হাড়ভাঙা খাটুনি করে যে ডলার দেশে পাঠায়, রাজনীতিকরা সেই ডলার দুর্নীতির মাধ্যমে লুট করে বিদেশি ব্যাঙ্কে নিজের পরিবারের সদস্যদের নামে জমা রাখছে, বিদেশে একাধিক বাড়ি কিনছে। সরকার নিজেদের লোকদেরকে জনগণের হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণের নামে দিয়ে পরে ঋণ মওকুফ করে দিয়ে সেই টাকা তারা সবাই নিজেরা ভাগ-বাটোয়ারা করে নিয়ে যায়। প্রবাসী এবং গার্মেন্টস শ্রমিকদের খাটুনির মাধ্যমে অর্জন করা ডলার বড়লোকরা (রাজনীতিবিদরা) তাদের ছেলেমেয়েদেরকে বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানোর জন্য ব্যয় করে।
কিন্তু মধ্যবিত্তদের সামর্থ্য নেই তাদের সন্তানদেরকে বিদেশে পাঠিয়ে লেখাপড়া করানোর, তাই তারা তাদের সর্বস্ব ব্যয় করে উন্নত শিক্ষার আশায় ছেলেমেয়েদেরকে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠায়। কিন্তু এই মধ্যবিত্তদের সন্তানদের লেখাপড়ার ‘ওপর হাসিনা সরকার এবং মুহিত সাহেব কেনো ৭.৫% ভ্যাট চাপিয়ে মাত্র ১২৩ কোটি টাকা আদায় করার জন্য এতো মরিয়া হয়ে ওঠেছে? এটা আসলে মধ্যবিত্তদের বিরুদ্ধে সরকার সমর্থক লুটেরা রাজনীতিকদের একটা পরিকল্পিত ষঢ়যন্ত্র। তাই মধ্যবিত্তদের স্বার্থে এই নজিরবিহীন অরাজনৈতিক, অহিংস ছাত্র-আন্দোলনে সব ধরনের সমর্থন দেয়া সকলের নাগরিক দায়িত্ব।

Loading


মন্তব্য দেখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *