‘মুনাফিকুন’ এক প্রকার কীটের নাম। এই কীট সৌদি আরবের মরুভূমিতে দু’মুখ ওয়ালা গর্ত তৈরী করে সেই গর্তে এরা বাস করে, যাতে এক মুখ আক্রান্ত হলে আরেক মুখ দিয়ে অনায়াসে বেরিয়ে যেতে পারে। মানুষ মুনাফিকের সাথে হুবহু মিল। মুনাফিকরাও দু’মুখ ওয়ালা চেহারা বিশিষ্ট। এক চেহারা ধরা পড়লে অন্য চেহারা দিয়ে নির্দোষভাবে বেরিয়ে যায়।
ইসলামে ‘মুনাফিকুন’ আরবী (منافقون) অর্থ কপট মুসলমান। কুরআনে এমন একদল মুসলিমকে নিন্দা করা হয়েছে যারা বাহ্যিক দিক দিয়ে মুসলিম কিন্তু অন্তরে অবিশ্বাস গোপন রাখে এবং কাজে কর্মে মুসলিম সম্প্রদায়কে হেয় গণ্য করে। মুনাফিক এমন ব্যক্তি যে প্রকাশ্যে মুসলিম হিসেবে পরিচয় দেয়, কিন্তু অন্তরে বা ইসলামের শত্রুদের কাছে ইসলামের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালায়। এর নাম হলো নিফাক। নিফাক তিন প্রকারঃ—
ক) আল্লাহর প্রতি সত্যিকার বিশ্বাসে কপটতা,
খ) বিশ্বাসের নীতির প্রতি কপটতাঃ যেমন কেউ আল্লাহকে বিশ্বাস করতে পারে, তবে বিচার দিন, হিসাব, পাপ-পূণ্যের ওজন এবং দোজখ সম্বন্ধে অনিশ্চয়তা এবং সন্দেহ কিন্তু বাস্তবে তাদের কোন ভয় নেই বা পাপ করা থেকে বিরত থাকে না। তবু দাবী করে আমি আল্লাহকে ভয় করি,
গ) অন্যের প্রতি কপটতাঃ কতক লোক আছে দ্বি-মুখী ও দ্বি-ভাষী। সামনে প্রশংসা করে আবার অসাক্ষাতে নিন্দা করে এবং তাদের কষ্ট দিতে ও ক্ষতি করতে কসুর করে না।
কোন মানুষের মধ্যে ঈমান আছে কিনা তা যাচাইয়ের জন্য মহানবী হযরত মহম্মদ (ﷺ) তার কাজ ও আচরণ লক্ষ্য করতে বলেছেন। হযরত আব্দুল্লাহ ইবন আমর ইবন আল-আস (রাঃ) বলেন – আল্লাহর নবী(ﷺ) বলেছেন মুনাফিকের লক্ষ্মণ চারটি। যেমন –
ক) কথা বললে, মিথ্যা বলে, খ) প্রতিজ্ঞা করলে, ভঙ্গ করে, গ) চুক্তি করলে, প্রতারণা করে এবং ঘ) ঝগড়া করলে সত্য থেকে বিচ্যূত হয়।
مِنْ عَلَامَاتِ الْمُنَافِقِ ثَلَاثَةٌ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَإِنْ صَامَ وَصَلَّى وَزَعَمَ أَنَّهُ مُسْلِمٌ إِذَا حَدَّثَ كَذَبَ وَإِذَا وَعَدَ أَخْلَفَ وَإِذَا اؤْتُمِنَ خَانَ
(মিন্ আমালাতিল্ মুনাফিকি ছালাছাতা আবি হুরাইরাতা কালা কালা রাসুলুল্লাহি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা ওয়া ইন্ সামা ওয়া সাল্লা ওয়াযায়ামা আন্হু মুস্লিমু ইযা ওয়া হাদ্দাছা কাযাবা ওয়া ইযা ওয়া আদা আখ্লাফা ওয়া ইযা আওতুমিনা খানা)
অর্থাৎ আরেকটি হাদীসে হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) মুনাফিকদের লক্ষ্মণ সম্বন্ধে বলেন, পয়গম্বর(ﷺ) বলেছেন – মুনাফিকের লক্ষ্মণ তিনটি। যথা – ক) কথা বললে, মিথ্যা বলে, খ) প্রতিজ্ঞা করলে, ভঙ্গ করে, গ) বিশ্বাস করলে অসততার প্রমাণ দেয় (বিশ্বাস করে কিছু আমানত রাখলে ফেরত দেয় না)। অথচ নামাজ পড়ে ও রোজা করে এবং মুসলিম হিসেবে দাবী করে।
আব্দুল্লাহ ইবন উমর বলেন, আল্লাহর নবী (ﷺ) বলেছেন – একজন মুমিন অল্প খাবারে তুষ্ট, পক্ষান্তরে কাফির বা মুনাফিক সাত গুণ বেশী খায়।
মুনাফিকদের সম্বন্ধে সাধারণ মুসলমানদের সাবধান করে একটি স্বতন্ত্র সূরাই আল্লাহ কুরআনে নাযিল করেছেন। এছাড়াও আরো অনেকগুলো আয়াতও নাযিল হয়েছে যা অমুসলিমদের চেয়ে মুনাফিকরা যে মুসলিমদের জন্য বেশী ভয়ঙ্কর তা নির্দেশ করে। আয়াতগুলো নিম্নরূপ –
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ عَلَامَاتِ الْمُنَافِقِ ثَلَاثَةٌ وَإِنْ صَامَ وَصَلَّى وَزَعَمَ أَنَّهُ مُسْلِمٌ إِذَا حَدَّثَ كَذَبَ وَإِذَا وَعَدَ أَخْلَفَ وَإِذَا اؤْتُمِنَ خَانَ
وَإِذَا لَقُوا۟ ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ قَالُوٓا۟ ءَامَنَّا وَإِذَا خَلَوْا۟ إِلَىٰ شَيَٰطِينِهِمْ قَالُوٓا۟ إِنَّا مَعَكُمْ إِنَّمَا نَحْن مُسْتَهْزِءُونَ
(ওয়া ইযা লাকু আল্লাযিনা আমান্যু কালু আমান্না ওয়া ইযা খালাও ইলা শাইয়াতীনিহিম্ কালু ইন্না মায়াকুম্ ইন্নামা নাহ্নু মুস্তাহ্যিউন)
যখন এরা মুমিনদের সাথে মিলিত হয়, বলেঃ “আমরা ঈমান এনেছি”, আবার যখন নিরিবিলিতে নিজেদের শয়তানদের সাথে মিলিত হয় তখন বলেঃ “আমরা তো আসলে তোমাদের সাথেই আছি আর ওদের সাথে তো শুধু তামাশা করছি (সূরাহ আল বাকারাহঃ আয়াত ১৪)
وَإِذَا قِيلَ لَهُمْ تَعَالَوْا إِلَىٰ مَا أَنْزَلَ اللَّهُ وَإِلَى الرَّسُولِ رَأَيْتَ الْمُنَافِقِينَ يَصُدُّونَ عَنْكَ صُدُودًا
(ওয়া ইযা কীলা লাহুম তায়ালাঊ ইলা মা’ আন্যালা আল্লাহু ওয়া ইলার্ রাসুলি রায়াইতাল্ মুনাফিকীনা ইয়াসুদ্দুনা আন্কা সুদুদান্)
আর যখন তাদেরকে বলা হয়, এসো সেই জিনিসের দিকে, যা আল্লাহ নাযিল করেছেন এবং এসো রাসুলের দিকে, তখন তোমরা দেখতে পাও ঐ মুনাফিকরা তোমাদের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে পাশ কাটিয়ে চলে যাচ্ছে (সূরাহ আন্ নিসাঃ আয়াত ৬১)।
(বাশিরিল্ মুনাফিকীনা বিয়ান্না লাহুম্ আযাবান্ আলীমা। আল্লাযীনা ইয়াত্তাখিযুনাল্ কাফিরীনা আউলীয়ায়া মিন্ দুনিল্ মু’মিনীনা আইয়াব্তাগুনা ইন্দাহুমুল্ ইয্যাতা লিল্লাহি যামীয়া)
بَشِّرِ الْمُنَافِقِينَ بِأَنَّ لَهُمْ عَذَابًا أَلِيمًا -الَّذِينَ يَتَّخِذُونَ الْكَافِرِينَ أَوْلِيَاءَ مِنْ دُونِ الْمُؤْمِنِينَ ۚ أَيَبْتَغُونَ عِنْدَهُمُ الْعِزَّةَ فَإِنَّ الْعِزَّةَ لِلَّهِ جَمِيعًا
(বাশিরিল্ মুনাফিকীনা বিয়ান্না লাহুম্ আযাবান্ আলীমা। আল্লাযীনা ইয়াত্তাখিযুনাল্ কাফিরীনা আউলীয়ায়া মিন্ দুনিল্ মু’মিনীনা আইয়াব্তাগুনা ইন্দাহুমুল্ ইয্যাতা লিল্লাহি যামীয়া)
আর যে সব মুনাফিক ঈমানদারদেরকে বাদ দিয়ে কাফেরদেরকে বন্ধু বানায় তাদের জন্য যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি প্রস্তুত রয়েছে, এ সুসংবাদটি তাদেরকে জানিয়ে দাও। এরা কি মর্যাদা লাভের আশায় তাদের কাছে যায়? অথচ সমস্ত মর্যাদা একমাত্র আল্লাহর জন্য নির্ধারিত (সূরাহ আন নিসাঃ আয়াত ১৩৮, ১৩৯)।
اِنَّ الۡمُنٰفِقِيۡنَ يُخٰدِعُوۡنَ اللّٰهَ وَهُوَ خَادِعُوْهُم وَاِذَا قَامُوۡۤا اِلَى الصَّلٰوةِ قَامُوۡا كُسَالٰى ۙ يُرَآءُوۡنَ النَّاسَ وَلَا يَذۡكُرُوۡنَ اللّٰهَ اِلَّا قَلِيۡلً
مُّذَبْذَبِينَ بَيْنَ ذَٰلِكَ لَآ إِلَىٰ هَٰٓؤُلَآءِ وَلَآ إِلَىٰ هَٰٓؤُلَآءِ ۚ وَمَن يُضْلِلِ ٱللَّهُ فَلَن تَجِدَ لَهُۥ سَبِيلً
(ইন্নাল্ মুনাফিকীনা ইউখাদিউনা আল্লাহা ওয়া হুয়া খাদিউহুম্ ওয়া ইযা কামু ইলা’স সালাওয়াতি কামু কুসালা ইউরাউনান্ নাসা ওয়া লা ইয়ায্কুরুনা আল্লাহা ইল্লা যালিকা লা’ ইলা’ হাউলায়ি ওয়া লা’ ইলা’ম্ মুযাব্যাবীনা বাইনা কালীলান্ হাউলায়ি ওয়া মাই ইউদ্লিলিয়াল্লাহু ফালান্ তাযিদা লাহু সাবীলা)
এই মুনাফিকরা আল্লাহর সাথে ধোঁকাবাজি করছে। অথচ আল্লাহই তাদেরকে ধোঁকার মধ্যে ফেলে রেখেছেন। তারা যখন নামাজের জন্য উঠে, আড়মোড়া ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে শৈথিল্য সহকারে নিছক লোক দেখানোর জন্য উঠে এবং আল্লাহকে খুব কমই স্মরণ করে। কুফর ও ঈমানের মাঝে দোদুল্যমান অবস্থায় থাকে, না পুরোপুরি এদিকে, না পুরোপুরি ওদিকে। যাকে আল্লাহ পথভ্রষ্ট করে দিয়েছেন তার জন্য তুমি কোন পথ পেতে পারো না (সূরাহ আন নিসাঃ আয়াত ১৪২,১৪৩)।
إِنَّ الْمُنَافِقِينَ فِي الدَّرْكِ الْأَسْفَلِ مِنَ النَّارِ وَلَنْ تَجِدَ لَهُمْ نَصِيرًا
(ইন্না মুনাফিকীনা ফীদ্ দার্কিল্ আস্ফালি মিনান্ নারি ওয়া লান্ তাযিদা লাহুম্ নাসীরা)
নিশ্চিত জেনো, মুনাফিকরা জাহান্নামের সর্বনিম্ন স্তরে চলে যাবে এবং তোমরা কাউকে তাদের সাহায্যকারী হিসেবে পাবে না (সূরাহ আন নিসাঃ আয়াত ১৪৫)।
(ইয়াহযারুল্ মুনাফিকুনা আন্ তুনায্যালা আলাইহিম্ সুরাতুন্ তুনাব্বিউহুম্ বিমা ফী কুলুবিহিম্ কুলিস্তাহ্যিউ’ ইন্না আল্লাহা মুখ্রিযুম্ মা তাহ্যারুন) মুনাফিক পুরুষ ও নারী পরস্পরের দোসর। খারাপ কাজের আদেশ দেই, ভাল কাজের নিষেধ করে এবং কল্যান থেকে নিজেদের হাত গুটিয়ে রাখে। তারা আল্লাহকে ভুলে গেছে, ফলে আল্লাহও তাদেরকে ভুলে গেছেন (সূরাহ আত তাওবাহঃ আয়াত ৬৭)।
এ মুনাফিকরা ভয় করেছে, মুসলমানদের উপর এমন একটি সূরা নাযিল না হয়ে যায়, যা তাদের মনের গোপন কথা ফাঁস করে দেবে। হে নবী, তাদের বলে দাও, “বেশ ঠাট্টা করতেই থাকো, তবে তোমরা যে জিনিসটির প্রকাশ হয়ে যাওয়ার ভয় করছো আল্লাহ তা প্রকাশ করে দেবেন (সূরাহ আত তাওবাঃ আয়াত ৬৪)।
ٱلْمُنَٰفِقُونَ وَٱلْمُنَٰفِقَٰتُ بَعْضُهُم مِّنۢ بَعْضٍ ۚ يَأْمُرُونَ بِٱلْمُنكَرِ وَيَنْهَوْنَ عَنِ ٱلْمَعْرُوفِ وَيَقْبِضُونَ أَيْدِيَهُمْ ۚ نَسُوا۟ ٱللَّهَ فَنَسِيَهُمْ ۗ إِنَّ ٱلْمُنَٰفِقِينَ هُمُ ٱلْفَٰسِقُونَ
মুনাফিক পুরুষ ও নারী পরস্পরের দোসর। খারাপ কাজের আদেশ দেই, ভাল কাজের নিষেধ করে এবং কল্যান থেকে নিজেদের হাত গুটিয়ে রাখে। তারা আল্লাহকে ভুলে গেছে, ফলে আল্লাহও তাদেরকে ভুলে গেছেন (সূরাহ আত তাওবাহঃ আয়াত ৬৭)।
وَعَدَ اللّٰهُ الۡمُنٰفِقِيۡنَ وَالۡمُنٰفِقٰتِ وَالۡـكُفَّارَ نَارَ جَهَـنَّمَ خٰلِدِيۡنَ فِيۡهَاؕ هِىَ حَسۡبُهُمۡۚ وَلَـعَنَهُمُ اللّٰهُۚ وَلَهُمۡ عَذَابٌ مُّقِيۡمٌۙ
নিশ্চিতভাবেই এ মুনাফিকরাই ফাসেক। এ মুনাফিক পুরুষ ও নারী এবং কাফেরদের জন্য আল্লাহ জাহান্নামের আগুনের ওয়াদা করেছেন। তার মধ্যে তারা চিরকাল থাকবে। সেটিই তাদের জন্য উপযুক্ত। আল্লাহর অভিশাপ তাদের উপর এবং তাদের জন্য রয়েছে স্থায়ী আযাব (সূরাহ আত তাওবাহঃ আয়াত ৬৮)।
يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ جَاهِدِ الْكُفَّارَ وَالْمُنَافِقِينَ وَاغْلُظْ عَلَيْهِمْ ۚ وَمَأْوَاهُمْ جَهَنَّمُ ۖ وَبِئْسَ الْمَصِيرُ
হে নবী, পূর্ণ শক্তি দিয়ে কাফের ও মুনাফিক উভয়ের মোকাবিলা করো। ভয় করো না এবং তাদের প্রতি কঠোর হও। শেষ পর্যন্ত তাদের আবাস হবে জাহান্নাম এবং তা অত্যন্ত নিকৃষ্ট অবস্থান স্থল (সূরাহ আত তাওবাঃ আয়াত ৭৩)।
মুনাফিকী এমনি একটা রোগ যার আছে সেই বুঝে, অন্য কেউ সহজে বুঝতে পারে না। ইসলামের প্রাথমিক যুগে হযরত মহম্মদ (ﷺ) এর মক্কার জীবনে এই ধরণের কোন রোগী ছিলো না। কারণ ইসলাম তখন বিজয়ের আসনে ছিলো না। তখন ছিলো দু শ্রেণীর লোক – মুসলিম ও কাফির। মদীনায় মুসলিম রাষ্ট্র কায়েম হয়েছিল। এখানকার কাফিররা সরাসরি ইসলামের বিরোধীতা করতে সাহস পেতো না, তাই ইসলাম গ্রহণ করে মুনাফিকী করতো। মুসলমানদের সাথে মিশে থেকে ইসলামের ক্ষতি করতো। কেউ তাদেক চিনতে পারতো না, এমন কি মহানবী (ﷺ) ও আল্লাহর ইশারা ছাড়া বুঝতে পারতেন না। তিনি তাঁর বিশিষ্ট সাহাবী হযরত হুযাইফা বিন আল-ইয়ামান (রাঃ) যিনি কোন কথা বিশ্বস্ততার সাথে গোপন রাখতে পারতেন, তাঁর কাছে কিছু মুনাফিকের তালিকা জমা রেখেছিলেন। কোন সাহাবী এ খবর জানতেন না। তখনকার দিনে আব্দুল্লাহ বিন উবাই সবার কাছে সুপরিচিত মুনাফিক ছিল, যেমন আমাদের কাছে সুপরিচিত বিশ্বাসঘাতক মীরজাফর। এদুটো নাম কেউ রাখে না। হয়ত মহব্বত করে বলে। আজকাল আব্দুল্লাহ বিন উবাই আমাদের ঘরে ঘরে। একাজ করতে পেরে আমরা লজ্জিত নই বরং গর্বিত। তখনকার দিনে সংখ্যা লঘু মুসলিমরা মূর্তি ভেঙ্গে দিলে সংখ্যা গুরু কাফিররা বাধা দিতে সাহস পেতো না। আর এখনকার দিনে সংখ্যা গুরু মুসলিমরাই মূর্তি মহাসম্মানে স্থাপন করে। বছরে বছরে হজ্জ-ওমরাও বাদ রাখে না।
৩১ পপি প্লেস, স্কারবোরো, টরোন্টো, কানাডা