ইমাম আল-গাজ্জালী (রাহিমাহুল্লাহ) সম্পর্কে কিছু কথা

আমাদের মাঝে অনেকেই হয়তবা আছেন যারা ইমাম গাজ্জালী (রা:) নাম শুনেছেন কিন্তু তাঁর সম্পর্কে তেমন জানার সুযোগ হয়নি বা নানা কারণে জানার আগ্রহও জাগে নি । আসলে এই দলে আমিও ছিলাম। তবে গত উইক-এন্ডে ইমাম আল-গাজ্জালী (রাহিমাহুল্লাহ) সম্পর্কে এক আলোচনা সভায় যুগ দেয়ার সুযোগ হওয়ায় মুসলিম সভ্যতার স্বর্ণযুগের এ অসাধারণ জ্ঞানী ও অত্যন্ত বুদ্ধিমান ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে যা জানলাম তার কিছুটা এখানে শেয়ার করতে চাচ্ছি। অবশ্য ইমাম গাজ্জালীর (রহ:) ন্যায় এত বড় মাপের এক মহান জ্ঞানপ্রেমিক ও দার্শনিক ব্যক্তিত্বের উপর আমার মত সাধারণ ব্লগারের কিছু লিখা অনেকটা ধৃষ্টতার সামিল হলেও লিখতে বসলাম যাতে সাধারণ পাঠকরা কিছুটা হলেও উপকৃত হতে পারেন। মুসলিম বিশ্বের বর্তমান অস্থির পরিবেশে আমাদের সনাতনী আলেম উলেমাদের বিশেষ করে ইমাম গাজ্জালী (রা:) ন্যায় পণ্ডিত ও জ্ঞানী ব্যক্তিদের লিখা বই পুস্তক পড়া ও তাঁদের জীবনী নিয়ে আলোচনা করা খুবই জরুরী। তবে আমি এখানে গভীর আলোচনায় না গিয়ে বরং তাঁর জীবনীর উপর আমার উপলব্ধি কি জন্মেছে  সে ব্যাপারে হালকা কিছু আলোকপাত করব।

বুদ্ধি ভিত্তিক মন নিয়ে ইসলামকে গভীরভাবে ও দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে বুঝতে চাইলে ইমাম গাজ্জালী (রা:) বই পুস্তকের বিকল্প নাই। বিশেষ করে ইসলাম সম্পর্কে বর্তমান যে উগ্রতা ও হঠকারিতায় এবং অপপ্রচার চলছে  সে প্রেক্ষিতে ইমাম গাজ্জালী (রা:)এর মত আমাদের ঐতিহ্যগত তথা সনাতন পণ্ডিতদের (Traditional scholars) প্রদত্ত জ্ঞানের অন্বেষণে মনোযোগ দেয়া এখন সময়ের দাবী।

জীবনী

পুরা নাম : আবু হামিদ মোহাম্মাদ বিন মুহাম্মদ আল গাজ্জালি জন্ম : ১০৫৮ খৃ: (৪৫০ হিজরী) মুত্যু : ১১১ খৃ: (৫০৩ হিজরী) বলা হয় তিনি ছিলেন তাঁর যুগের ইসলামের মুজাদ্দিদ ( Considered the Reviver (Mujaddid) of his age)

হাদিস : ان الله تعالى يبعث لهذه الامة على رأس كلّ مائة سنة من يجدد لها دينها নিশ্চয় আল্লাহ প্রত্যেক শতাব্দীর শুরুতে এই উম্মাহর জন্য একজন ব্যক্তিকে পাঠাবেন যিনি তাদের ধর্মের সঠিক মর্ম তথা আত্মা উপলব্ধি পুনরুজ্জীবিত এবং পুনরুদ্ধার করতে হবে সক্ষম হবেন। (আবু দাউদ)

জন্মের শহর : তুস (বর্তমান ইরানে) তাঁর পিতা সূতা ব্যবসায়ী ছিলেন ( cotton merchant ) । গাজল অর্থ সূতা,তাই তাঁর বংশকে গাজ্জালি নামে পরিচিত করেছে।

জ্ঞান চর্চায় ইমাম গাজ্জালী (র:) টার্নিং পয়েন্ট

তীক্ষ্ণ মেধা ও অসাধারণ প্রতিভার পরিচয় শিক্ষকদের কাছে প্রকাশ পাওয়ায় শিক্ষকরা তাঁকে পুত্রবৎ স্নেহে রাখতেন এবং বিশেষ উৎসাহে তাকে শিক্ষাদানে প্রবৃত্ত হন। তৎকালে ছাত্রদেরকে পাঠ্যবিষয়ে শিক্ষকদের দেয়া ব্যখ্যা ও বক্তব্য হুবহু লিপিবদ্ধ করতে বাধ্য করা হতো এবং এ লিখিত নোটগুলিকে ”তালিকাত” বলা হত। এরূপে ইমাম গাজ্জালী র: এর কাছে তালিকাতের এক বিড়াট ভান্ডার তৈরি হয়েছিল। একবার যখন জুরজানে অধ্যয়ন শেষ করে ইমাম গাজ্জালী র: জন্মভূমি তাহেরান যাত্রা করেন।পথিমধ্যে এক ডাকাত দল তার সর্বস্ব লুণ্ঠন করে নিয়ে যাচ্ছিল তখন তিনি তাদের পিছু হাটতে লাগলে ডাকাতরা তাকে বাঁধা দেয়। তিনি তাদের কাছে তার টাকা পয়সা ফেরত না চেয়ে শুধু মাত্র অন্তত তাহার সমস্ত অর্জিত বিদ্যার সঞ্চয় সম্ভার “তালিকাত” গুলি ফেরত দেয়ার জন্য অনুরোধ করেন। দস্যু সরদার তাকে উপহাসের স্বরে বলল,“তুমিতো বেশ বিদ্যাঅর্জন করেছ ! সবই কাগজে রয়েছে,মনে কিছু নেই” । এই কথা বলে সে তার সমস্ত তালিকাত ফিরিয়ে দিল। কিন্তু সরদারের ব্যঙ্গোক্তি ইমাম গাজ্জালী র: এর মনে দাগ কাটল। এর পর থেকে তিনি সমস্ত তালিকাত মুখস্থ করে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেন এবং তখন থেকে যা শিখতেন তা আর তালিকাত নির্ভর না থেকে মুখস্থ করে নিতেন।

প্রাথমিক লেখাপড়া করেন তুস শহরে উস্তাদ ছিলেন ইমাম রাদাখানি এবং পরে চলে যান জুরান শহরে সেখানে উস্তাদ ছিলেন হযরত ইমাম আবু নসর ইসমাইল (র)। তৎকালীন যুগের শ্রেষ্ঠতম ধর্মতত্ত্ববিদ আলেম ইমামুল হারামাইন আল জুয়াইনি, আল্লামা আবু হামিদ আসকারায়েনি, আল্লামা আবু মুহম্মদ যোবায়নি প্রমুখ মহাজ্ঞানী উস্তাদের নিকট তিনি শিক্ষা লাভ করেন। প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের সকল দার্শনিকদের মতবাদও তিনি অত্যন্ত মনোযোগের সাথে অধ্যয়ন করেন নিজেকে সে সব  বিষয়ে নিজেকে বিশেষজ্ঞ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হন।

লক্ষ্য হতে হবে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন

ইমাম গাজ্জালী নিজামুল মুলক তুসী মালিক শাহ সালজুকী ও বাগদাদের খলিফার দরবারে যোগ্য আসন লাভ করে সমকালীন রাজনীতিতে এত বেশী প্রভাব বিস্তার করেন যে, সালজুকী শাসক ও আব্বাসীয় খলিফার মধ্যে সৃষ্ট মতবিরোধ দূর করতে সক্ষম হন। বাগদাদে তিনি যখন তৎকালীন দুনিয়ার বৃহত্তম বিশ্ববিদ্যালয় নেজামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ পদে যখন নিযুক্ত হন তখন তাঁর মনে প্রশ্ন দেখা দিল তার এই ইলম ও জ্ঞানচর্চার খ্যাতি তথা তখনকার যশস্বী জীবন (celebraty life) যেন তাকে আল্লাহর নৈকট্য ছেড়ে দুনিয়ার মোহে না জড়িয়ে দেয় । জ্ঞানচর্চা যেন ভুল নিয়াতের কারণে ঈমান ধ্বংসের কারণ না হয় । তিনি লিখেন,

“ইলম ও জ্ঞানচর্চার দ্বারা যদি তোমার উদ্দেশ্য হয়ে থাকে আত্মগৌরব ও বড়াই-অহংকার করা, সমকালীন লোকদের উপর প্রাধান্য বিস্তার করা, আপন প্রভাব ও প্রতিপত্তি প্রতিষ্ঠা করা, বিশ্ববাসীর নিকট প্রিয়পাত্র অথবা ভক্তিভাজন হওয়া, পার্থিব গৌরব অর্জন করা এবং রকমারী ধন-সম্পদ কুক্ষিগত করা, তাহলে জেনে রাখো– এই জ্ঞান অর্জনের দ্বারা তুমি তোমার দ্বীন ও ঈমান ধ্বংস করছ, স্বীয় মূল্যবান জীবন বিনষ্ট করছ। নশ্বর এই পৃথিবীর বিনিময়ে আখিরাতের অনন্ত জীবনকে বিক্রয় করে দিচ্ছ। নিঃসন্দেহে এটা অত্যন্ত গর্হিত ও ক্ষতিকর কাজ। এই ব্যবসায় তোমার বৃহৎ লোকসান ছাড়া লাভের কিছু অবশিষ্ট থাকছে না।”

[বিদায়াতুল হিদায়াহ : ইমাম আল-গাজ্জালী , প্রকাশক: দারুল কিতাব, পৃ-১১]

অতপর নেজামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকুরি ছেড়ে বাগদাদ হতে বের হয়ে দীর্ঘ প্রায় একযুগ (দশ বছর) তিনি বহু জনপথ ও মরুপ্রান্তর পরিভ্রমন করেন। মক্কা মদীনায় গমন করেন এবং পবিত্র হ্জ্জ পালন সমাপ্ত করেন।

ইমাম গাজ্জালী (রা:) মাত্র ৫৩ বছর বয়সে মারা যান। বর্তমান যুগের সম্ভাব্য আয়ুষ্কাল বিবেচনা করলে তিনি অতি স্বল্প বয়সেই ইন্তেকাল করেছেন বলা যায়। কিন্তু এই স্বল্প জীবনে তিনি যা অর্জন করেছেন বা ইসলামের যে পরিমান খেদমত করে যেতে পেরেছেন তা অভাবনীয়! এখানেই বুঝা যায় আল্লাহ মহান ব্যক্তিদের জীবনকে কিভাবে “বারাকা” পূর্ন করেন। আরবী শব্দ বারাকার অর্থ হচ্ছে পর্যাপ্ত পরিমাণ,অতিরিক্ত দান বা নিয়ামা দেয়া (bounty and more) । তাই আল্লাহ যাকে দিয়ে তার দ্বীনের খেদমত নিতে চান তাঁর জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে কাজে লাগাবার সুযোগ করে দেন তার জীবনকে বারাকা” পূর্ন করেন। ইমাম গাজ্জালী (রা:) জীবনে সেটাই হয়েছে বলা যায়।

মুসলিম বিশ্ব আজীবন ইমাম গাজ্জালী (র:)স্মরণ করবে

ইতিহাস প্রমাণ দেয়, সলজুক বংশীয় তুর্কীগন যখন ইসলাম গ্রহন করেন এবং রাজনৈতিক ক্ষমতা লাভ করেন তখন থেকে ইসলামী স্বভাব চরিত্র ও মুল্যবোধে বিরাট পরিবর্তন সাধিত হয় এবং তাদের মাধ্যমে এক অনুপম সভ্যতা গড়ে। সলজুক সুলতানদের যুগে মুসলমানদের বিদ্যার্জন স্পৃহা অত্যন্ত বৃদ্ধি পায়। মুসলিমরা তখনকার ইহুদী ,খৃষ্টান ও পারসিকদের প্রচলিত জ্ঞানার্জন করার পর প্রাচীন গ্রীক দর্শন, মিশরীয় ও ভারতীয় জ্ঞান সংগ্রহ করেন। এ সবের মধ্যে ছিল জ্যোতিসশাস্ত্র, জড়বাদ, নাস্তিকতা ইত্যাদি বিভিন্ন প্রকারের মতবাদ। তবে এই বিভিন্ন মতবাদের প্রসার মুসলমান সমাজে বহু মতানৈক্যের এবং ইসলামী বিশ্বাস ও জ্ঞানের সাথে নানারকম মারাত্বক অনৈসলামিক ধর্ম-বিশ্বাস ও জ্ঞান মিশে যাওয়ার পর খাটি ইসলামী বিশ্বাস ও অনইসলামী বিশ্বাসের মধ্যে পার্থক্য করাই কঠিন হয়ে পড়ে। অত্যধিক পরিমানে পার্থিব জড়বাদের প্রভাবে ধর্ম জ্ঞানের উপর বিরাট নেতিবাচক প্রভাব পড়তে থাকে। মুসলমান সমাজে ইসলামী বিশ্বাস ও ধর্মকার্যের ক্ষেত্রে এক চরম বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয়। এদিকে প্রাচীন গ্রীক দর্শনের প্রভাবেও ইসলামকে সঠিকভাবে বুঝার ব্যপারে নানা বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়। ইমাম গাজ্জালী রঃ এই সমস্যা থেকে সমাজকে মুক্ত ও রক্ষা করার দায়িত্ব নেন। অতুলনীয় প্রতিভা ও নিপুনতার সাথে তিনি এই বিভ্রান্তিকর পরিবেশ থেকে মুসলিম সমাজকে রক্ষা করতে সক্ষম হন।

পরিশেষে বলা যায় বর্তমান মুসলিম বিশ্বে মুসলিম উম্মাহ ভিতর একদিকে
তথাকথিত “ভাষাভিত্তিক আঞ্চলিক জাতীয়তাবাদ” ও “ধর্মনিরপেক্ষতা” এবং অন্যদিকে ইসলামের নামে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ সহ যাবতীয় ইসলাম বিরোধী মতাদর্শ অনুপ্রবেশ করে মুসলিমদের চিন্তা চেতনাকে যেভাবে কলুষিত করে রেখেছে তা থেকে মুক্ত হতে ইমাম আল-গাজ্জালীর মত বুদ্ধি ভিত্তিক এবং দার্শনিক চিন্তা ভাবনার একজন মুসলিম স্কলারের খুবই দরকার ।

great-works 

লেখনী ও বই:

ইমাম গাজ্জালি (রহ:) চারশ’র ও অধিক গ্রন্থ রচনা করেন। তার অধিকাংশ বইগুলোতে ধর্মতত্ব, দর্শন ও সুফিবাদ আলোচনা করেছেন। তার কয়েকটি প্রসিদ্ধ গ্রন্থের নাম উল্লেখ করা হলঃ
০১. এহইয়া উলুমুদ্দীন,
০২. তাহাফাতুল ফালাসিফা,
০৩. কিমিয়ায়ে সা’আদাত,
০৪. হাকিকাতুর রুহু,
০৫. দাকায়েকুল আখবার,
০৬. আসমাউল হুসনা,
০৭. ফাতাওয়া,
০৮. মিশকাতুল আনোয়ার,
০৯. বিদায়াহ ওয়া হিদায়াহ,
১০. আসরার আল মোয়ামেলাতুদ্দিন,
১১. মিআর আল ইলম,
১২. মুনক্বীয,
১৩. মুকাশাফা’তুল কুলুব ৷
১৪. আখেরাত (মৃত্যুর পরের জিবন)
১৫.দাকায়েকুল আখবার (সৃষ্টির রহস্য)
১৬.মিশকাতুল আনোয়ার ৷

 তাঁর বইয়ে উল্লেখিত উপদেশমূলক কিছু বানী:

ক• তিনটি বস্তু মানুষকে ধ্বংস করে দেয়। লোভ, হিংসা ও অহংকার।
খ• তিনটি অভ্যাস মানুষের জন্য সর্বমুখী কল্যাণ ডেকে আনে। আল্লাহর ইচ্ছার প্রতি সন্তুষ্ট থাকা, বিপদের সময় দু’হাত তুলে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাওয়া এবং যে কোন সংকটে ধৈর্য ধারণ করা।
গ• মানবজীবনের সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব হচ্ছে তার ‘মন এবং জবানকে’ নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখতে সমর্থ হওয়া।
ঘ• দুই ধরনের লোক কখনও তৃপ্ত হতে পারে না- জ্ঞানের অম্বেষী এবং সম্পদের লোভী।
ঙ• আয়নায় নিজের চেহারা দেখ, যদি সুদর্শন হও তবে পাপের কালিমা লেপন করে ওকে কুৎসিত করো না! আর যদি কালো-কুশ্রী হয়ে থাক, তবে ওকে পাপ-পঙ্কিলতা মেখে আরও বীভৎস করে তুলো না।
চ•  আল্লাহর প্রত্যেকটি ফয়সালাই ন্যায়বিচারের ওপর ভিত্তিশীল। সুতরাং কোন অবস্থাতেই অভিযোগের ভাষা যেন তোমার মুখে উচ্চারিত না হয়।

ছ•  ক্রোধ মনুষ্যত্বের আলোকশিখা নির্বাপিত করে দেয়।
জ•  শক্ত কথায় রেশমের মতো নরম অন্তরও পাথরের মতো শক্ত হয়ে যায়।
ঝ•  সাফল্যের অপর নামই অধ্যবসায়।

সুত্র :  ইমাম গাজ্জালী (রঃ) এর জীবনী ও তার গুরুত্বপূর্ণ কিছু উপদেশ বানী – চঞ্চল মাহমুদ

ইমাম গাজ্জালি কিছু  মুল্যবান  কোটেশন এখানেও পা্বেন।

তাঁর শিক্ষার কিছু নমুনা সংক্ষেপে অত্যন্ত সুন্দরভাবে নিচের গ্রাফিক  ভিডি্তওতে দেখতে পাবেন।

ইমাম গাজ্জালির জীবনীর উপর নিচের ডকুমেন্টারি ফ্রিমটি দেখতে পারেন। বিশ্বাস করেন অনেক কিছু জানার আছে

বি:দ্র: লেখাটি সংকলন করতে ইন্টারনেট থেকে যাদের প্রদত্ত কিছু তথ্য সংগ্রহ করতে হয়েছে তাঁদেরকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি৷

Comments are closed.