নব বধুর আগমনে সারি সারি চাঁদ মুখ করেছে ভীড়
শোবার ঘর রান্না ঘর আন্দুয়ার বান্দুয়ার একদম ঠাঁসা, ঠাঁই নেই
কে দেখবে আগে সেই অস্থিরতায় মান অভিমান চরমে ওঠে
কারো কারো মুখ বেফাঁস কথা বলে নিতান্ত অভ্যাসবশে
বসন্তের হাওয়া লাগা বেয়াদব ছোকরাগণ বিড়ি ধরাবার উছিলায়
ঠেলেঠুলে ঢুকে পড়ে রান্না ঘরের আনাচে কানাচে ছুঁয়ে দেয়
মেয়েদের খোলা পেট গোলগাল নিতম্ব স্পর্শ করে
বিধ্বস্ত হতে হতে পৌছে যায় নষ্ট মন্দিরের পংকিল ভূবনে ।
টিপটিপ বারিধারা উঠোন ভিজিয়ে দেয়
ফসলের সবুজ চিৎকার থেকে থেকে থেমে যায় গুনগুন গুঞ্জনে
থেমে যায় বাসনার আজন্ম হাহাকার
রমণীকুল ঘোমটা খুলে দেখে নেয় রূপসীর লজ্জা কাতর মুখ
প্রেমাক্ত ঘামে সয়লাব চোখের পাতা গোলাপি অন্তর্বাস ।
নিভে গেলে দিনের আলো
নামে সন্ধা ঘন সন্ধা ।
সন্ধার মিয়ানো আঁধারে জোনাকির আলো ঝিকমিক ঝিকমিক
খেলা করে, আকাশে উঠে মায়াবী চাঁদ
বন্ধ হয়ে যায় দরোজা জানালা খুলে যায় মনের অলিগলি
প্রথম প্রেমের উষ্ণতা জাগায় শিহরণ
লাজুক বধু এলোমেলো হতে হতে হারিয়ে যায়
প্রেম খাদকের মধু কাননে ।