দেশের বিচার ব্যবস্থা পুরোপুরি রাজনীতিকরণ হয়ে গেছে। বিচারকদের নৈতিক স্খলনজনিত এবং নাগরিক স্বার্থবিরোধী কর্মকান্ড প্রকাশ রাজনৈতিক বিচারকদের মতে শুধু বেআইনী নয়, উল্টো সংবাদ প্রকাশিত হলে পদ আঁকড়ে থেকে নাগরিকদের অপমানিত করাই শুধু নয়,সংবাদকর্মীদের জেল-জুলুমও প্রদান করেন তারা। অথচ পৃথিবীর সর্বত্র যেখানে পদত্যাগের নজীর রয়েছে সেখানে অপ-রাজনীতিকদের মত রাজনৈতিক নিয়োগপ্রাপ্ত এ বিচারকেরাও হয়ে পড়েন চক্ষু লজ্জাহীন। তবে আজো অনেক সৎ বিচারক রয়েছেন যাদের ক্ষমতাকে বেঁধে দিয়ে নাগরিক স্বার্থ রক্ষার দায়িত্ব বঞ্চিত করে রাখা হয়েছে। কিন্তু তথাকথিত আদালত অবমাননার অজুহাতে একটি দেশের নাগরিকদের শেষ আশ্রয়স্থল রাজনৈতিক সরকার কর্তৃক ধংস করে দিলেও যে সত্য উন্মোচন করা যাবে না এমন নীতি বিরুদ্ধ প্রচলিত কুসংস্কারটি ভাঙ্গতেই এ প্রতিবেদন।
সুপ্রিমকোর্টের প্রধান বিচারপতি থেকে শুরু করে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক পর্যন্ত প্রায় সকলেই রাজনৈতিক দৃষ্টিকোন থেকে রায় দেন এটি এখন ওপেন সিক্রেট। নিম্ন আদালত এখন সূপ্রীম কোর্টের দেয়া গাইড লাইন রাজনৈতিক কারনে উপেক্ষা করলেও কোন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে এমন উদাহরন আওয়ামী সরকারের আমলে নেই । প্রধান বিচারপতি মোজাম্মেল হোসেন ও আপিল বিভাগে দ্বিতীয় নম্বরে থাকা বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা, আপিল বিভাগে নতুন নিয়োগ পাওয়া বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক হলেন চিহ্নিত আওয়ামী লীগার এটা সর্বজন বিদিত। তারা বর্তমান সরকার ও আওয়ামী সংশ্লিষ্ট মামলাগুলোয় প্রচলিত আইন কানুনের কোন ধার ধারেন না বলেই মনে হয়। যে কোন উপায়ে আওয়ামী লীগের পক্ষে রায় দিতে কসুর করেন না তারা। আইনকে তারা আওয়ামীকরন করে বিচার করে থাকেন। একটি গণতান্ত্রিক (যদিও নির্বাচনী প্রক্রিয়া ছাড়া কোন গণতন্ত্র কোথায়ও নেই) রাষ্ট্রে বিচার বিভাগের এমন অবক্ষয়ের সুনামী ইতিহাসে বিরল।
আপীল বিভাগে থাকা অন্য বিচারপতিদের মধ্যে সৈয়দ মাহমুদুল হোসেন, বিচারপতি আবদুল ওয়াহাব মিয়া ও নাজমুন আরা সুলতানা কখনো কখনো ন্যায় বিচারের চেস্টা করেছেন হাইকোর্ট বিভাগে থাকাকালীন সময়ে। আবার রাজনৈতিক মামলায় আওয়ামী লীগের পক্ষে কিভাবে রায় দেয়া যায় তার চেষ্টা করা এবং আওয়ামী লীগের পক্ষে রায় দিয়েছেন এরকম নজিরও রয়েছে। বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা বেগম খালেদা জিয়ার বাড়ি নিয়ে রায়টি সরকারের চাপে এবং আপিল বিভাগে যাওয়ার লোভে দিয়েছেন এটা সুপ্রিমকোর্টে মশহুর।
আপিল বিভাগে নব নিযুক্ত অপর দুই বিচারপতি সিদ্দিকুর রহমান মিঞা এবং বিচারপতি আনোয়ার উল হক চিহ্নিত আওয়ামী লীগার। তারা দুইজনও আওয়ামী লীগের পক্ষে রায় দিতে যতরকম যুক্তি রয়েছে তা রায়ে প্রয়োগ করার চেস্টা করেন বলেই সর্বজন বিদিত। হাইকোর্ট বিভাগে থাকাকালীন তাদের অনেক রায়ে এই নজির রয়েছে। তারাই এখন সর্বোচ্চ আদালত আপিল বিভাগের বিচারপতি।
প্রধান বিচারপতি মোজাম্মেল হোসেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ হিসাবে দায়িত্ব পালনকালে স্টে জজ হিসাবে পরিচিত লাভ করেছিলেন। সবাই তাঁকে তখন স্টে জজ হিসাবে চিহ্নিত করেছিল। এই নামেই সূপ্রীম কোর্ট এলাকায় দূর্জনেরা তাঁকে ডাকতো। হাইকোর্ট বিভাগে সরকারের বিপক্ষে কোন আদেশ হলে মূহুর্তে এটা স্টে করে দিতেন বিচারপতি মোজাম্মেল হোসেন। কারন আপিল বিভাগের চেম্বার জজের সেই এখতিয়ার রয়েছে। হাইকোর্ট বিভাগের যে কোন আদেশের বিরুদ্ধে তিনি স্টে দিতে পারেন। এই এখতিয়ারটির অপপ্রয়োগ করেছেন বিচারপতি মোজাম্মেল হোসেন। সেই স্টে জজ এখন বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি। বিচারপতি এস কে সিনহা চিহ্নিত আওয়ামী লীগার। তবে লেখাপড়া জানেন বা রায় গুছিয়ে লিখতে পারেন বলে সূখ্যাতি রয়েছে। বিচারপতি মোজম্মেল এবং বিচারপতি সিনহা জুটি হিসাবে আওয়ামী লীগের পক্ষে দীর্ঘ দিন থেকে আপিল বিভাগে কাজ করছেন। তাদের এই ঋন হয়ত আওয়ামী লীগ কখনোই শোধ করতে পারবে না।
আপিল বিভাগের এই অবস্থায় হাইকোর্ট বিভাগ আরো নাজুক পরিস্থিতিতে রয়েছে। খুনের মামলার প্রধান আসামী থেকে শুরু করে লন্ডনের হোটেলের বাবুর্চি, টেস্কোর কর্মচারিও এখন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি। এছাড়া ইসলামে নিষিদ্ধ আত্মীয়ার সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কের কারনে চার চারটি বিয়ে ভেঙ্গে যাওয়া একজন বিচারপতি এখন আমাদের বিচার করছেন।
বিচারপতি রুহুল কুদ্দুস বাবু হাইকোর্টে বিচারপতি হিসাবে নিয়োগ পাওয়ার পর শপথ পড়াতে রাজি হননি তৎকালিন প্রধান বিচারপতি মোহাম্মদ ফজলুল করিম। রুহুল কুদ্দুস বাবু রাজশাহি বিশ্ববিদ্যালয়ে জাসদ ছাত্র লীগের সভাপতি ছিলেন। ছাত্র লীগের সভাপতি হিসাবে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে জিএস নির্বাচিত হন। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে চিহ্নিত ক্যাডার ছিলেন। ছিলেন একটি খুনের মামলায় প্রধান আসামী। এই মামলাটি নিয়ে হাইকোর্ট বিভাগে কোয়াশমেন্টের আবেদন করা হয়েছিল। হাইকোর্ট বিভাগ রায় দিয়ে বলে দিয়েছে মামলাটি নিম্ন আদালতে চলতে পারে। পুলিশি তদন্তের পর রুহুল কুদ্দুস বাবু সহ সংশ্লিস্টদের বিরুদ্ধে চার্জশীট হয়েছে। চার্জশীটভুক্ত বিচারাধীন মামলার প্রধান আসামী রুহুল কুদ্দস বাবুকে বিচারপতি নিয়োগ দেয়া হয়েছে। খুনের মামলার প্রধান আসামী এখন হলেন হাইকোর্টের বিচারক।
আওয়ামী আইনজীবী নেতা মেসবাহ উদ্দিনের মেয়ের জামাই জনাব খসরু হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি হিসাবে নিয়োগ পাওয়ার পর শপথ দেননি তৎকালীন প্রধান বিচারপতি মোহাম্মদ ফজলূল করিম। খসরু সুপ্রিমকোর্টে ভাংচুরে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। সুপ্রিমকোর্টের দরজায় লাথি মারা ছবি প্রকাশের পর শপথ দেয়া হয়নি তাদের। কিন্তু ৬ মাস পর বিচারপতি মোহাম্মদ ফজলুল করিম অবসরে গেলে প্রধান বিচারপতি হিসাবে নিয়োগ পান বিচারপতি খায়রুল হক। তার নিয়োগের পর রুহুল কুদ্দুস বাবু এবং খসরুকে শপথ দেয়া হয়। নিয়োগের ৬ মাস পর শপথ নিয়ে তারা বিচারকের আসনে বসেন।
প্রধান বিচারপতি হয়েও বিচারপতি খায়রুল হক নিজের ভাই ব্যাঙ্কার মাইনূল হকের বিচার প্রভাবিত করতে রায়ের দিন সংশ্লিষ্ট বিচারিক আদালতে পরিদর্শনের নামে গিয়ে হাজির হন। প্রধানমন্ত্রীর ত্রান তহবিল থেকে টাকা আত্মসাতের ঘটনাও পত্রিকায় প্রকাশ হয়েছে।
বিচারপতি আলতাফ হোসেন বিচারপতি হিসাবে নিয়োগ পাওয়ার আগে লন্ডনে ছিলেন। যদিও সংবিধানে বলা হয়েছে ১০ বছর যাদের সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী হিসাবে আইন পেশার অভিজ্ঞতা রয়েছে তারাই বিচারপতি হিসাবে নিয়োগ পাওয়ার যোগ্য। সুপ্রিমকোর্টে আইনজীবী হিসাবে তালিকাভুক্তির পর আলতাফ হোসেন লন্ডনে চলে আসেন। তাঁর কোন মামলা পরিচালনার অভিজ্ঞতা নেই। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসাবে নিয়োগ পান। ডেপুটি অ্যটর্নি জেনারেল হিসাবে নিয়োগ পাওয়ার পর তিনি লন্ডন থেকে আবার বাংলাদেশে চলে আসেন এবং ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলের পদে যোগ দেন। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসাবে বছর খানেক চাকরির পর তাঁকে বিচারপতি হিসাবে নিয়োগ দেয়া হয়। অনুসন্ধানে দেখা গেছে আলতাফ হোসেন লন্ডনে সুপার মার্কেট টেস্কো্তে চাকরি করেছেন। সুপার মার্কেটে টেস্কো্তে চাকরির অভিজ্ঞতা দিয়ে তিনি হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি পদে বসেন।
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ফজলে রাব্বি মিয়ার মেয়ের জামাই খুশি। তিনিও লন্ডনে ছিলেন। খুশি লন্ডনে রেস্টেুরেন্টে ওয়েটার হিাসবে চাকরি করতেন। সুপ্রিমকোর্টে আইনজীবী হিসাবে তালিকাভুক্তির পর খুশি লন্ডনে চলে আসেন। লন্ডনে এসে চাকরি নেন রেস্টুরেন্টে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর চলে আবার বাংলাদেশে ফিরে যান। বাংলাদেশে ফিরে শ্বশুড়ের কল্যানে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসাবে নিয়োগ পান। সেখান থেকে এক বছরের মাথায় হাইকোর্ট বিভাগে বিচারপতি হিসাবে নিয়োগ পেয়েছেন। খুশিরও সুপ্রিমকোর্টে আইনজীবী হিসাবে মামলা পরিচালনার ১০বছরের কোন অভিজ্ঞতা নেই বলে জানা যায়। বিচারপতি নিয়োগের পূর্ব অভিজ্ঞতা হলো লন্ডনে রেস্টুরেন্টে মানুষের সামনে খাবার পরিবেশন করা।
এছাড়া আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম সুজনের ভাতিজির জামাই, বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের ভাতিজির জামাই বিচারপতি হিসাবে নিয়োগ পেয়েছেন। তাদের যোগ্যতা হলো তারা কেউ আওয়ামী সংসদ সদস্যের ভাতিজির জামাই, আবার কেউ আওয়ামী বিচারপতি বা আওয়ামী আইনজীবী নেতার মেয়ে বা ভাতিজির জামাই।
এছাড়া বর্তমান সরকারের আমলে নিয়োগ পাওয়া বিচারপতি জাহাঙ্গির হোসেন (বর্তমানে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে কর্মরত) সম্পর্কে বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম স্কাইপিতে বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন। বিচারপতি নিজামুল হক নাসিমের ভাষায় জাহাঙ্গির হোসেন হলেন কট্টর আওয়ামী লীগার। তাকে সোনা জাহাঙ্গির হিসাবে সকলেই চিনেন। সোনা জাহাঙ্গির হিসাবে পরিচিতি পাওয়ার একটি শানে নজুল রয়েছে। বিচারাপতি জাহাঙ্গির হোসেন ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ঢাকা জেলা জজ আদালতে বিশেষ পিপি ছিলেন। তখন সোনা চোরাচালানী মামলার জন্য পরিচালিত বিশেষ জজ আদালতে তাঁর দায়িত্ব ছিল। এই আদালতের পিপি হিসাবে তিনি সোনা চোরাচালানির মামলায় আসামীদের সঙ্গে সমাঝোতা করে সোনা ভাগাভাগি করতেন বলে ব্যাপকভাবে আলোচিত। এজন্য তখন আদালত পাড়ায় তাঁর সম্পর্কে ঢি ঢি পড়ে যায়। সকলেই তাঁকে তখন সোনা জাহাঙ্গির হিসেবে ডাকা শুরু করে। এর পর থেকে আদালত পাড়ায় সকলেই তাঁকে সোনা জাহাঙ্গির হিসেবে চেনেন। বিচারপতি নিজামূল হক নাসিম স্কাপিতে এই বর্ণনা দিয়ে গিয়ে বলেছেন হের নাম হল সোনা জাহাঙ্গির। আওয়ামী লীগার এবং দুর্নীতিবাজ হিসাবে চিহ্নিত বলেও মন্তব্য করেন বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম।
বিচারপতি মোয়াজ্জেম হোসেন।তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আরো ভয়াবহ। বাড়ি মাগুড়ায়। ওকালতি শুরু করেছিলেন যশোরে। যশোরে ওকালতির সময় তিনি একটি সম্ভ্রান্ত পরিবারে বিয়ে করেন। বিয়ের রাতেই তার বিরুদ্ধে ধর্ম নিষিদ্ধ আত্মীয়ার সাথে অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগ তুলে পরদিন-ই বিবাহিত স্ত্রী তাঁর সঙ্গে সংসার করবেন না বলে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়। ভেঙ্গে যায় সেই বিয়ে। এ বিষয়টি ব্যাপক আলোচিত হয়ে পড়ে যশোর আইনজীবী মহলে। অন্য আইনজীবীরা তাঁর সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দেয়। জানা গেছে এক রকম এক ঘরে হয়ে পড়েন মোয়াজ্জেম হোসেন। কেউ তাঁর সঙ্গে কথা বলেন না। লজ্জায় ক্ষোভে যশোর ছেড়ে ঢাকায় চলে আসেন তিনি। ঢাকায় এসে সুপ্রিমকোর্টে যোগ দেন। তাঁর এই বিয়েটির উকিল ছিলেন আবু বক্কর সিদ্দীক নামে সুপ্রিমকোর্টের একজন আইনজীবী। তিনি সুপ্রিমকোটে আইনজীবী সমিতি ভবনের (এনক্স বিল্ডিং) চার তলায় বসেন।
ঢাকায় আসার পরে আরেকটি বিয়ে করেন এই বিচারপতি। সেই বিয়ের কিছু দিন পরই স্ত্রী জেনে যায় তার চরিত্র সম্পর্কে। ধর্ম নিষিদ্ধ আত্মীয়ার সঙ্গে তখনো তিনি সম্পর্ক বজায় রাখছিলেন অভিযোগ তুলে এক পর্যায়ে বাপের বাড়ি চলে যান। এই স্ত্রীর বাড়িও যশোর অঞ্চলেই ছিল। তাঁর বিরুদ্ধে স্ত্রী মামলা করেন। এই মামলায় মোয়াজ্জেম হোসেন জেলে গিয়েছেন। এরশাদের আমলে আশির দশকে তিনি যশোর জেলে হাজতি হিসাবে ছিলেন স্ত্রীর মামলায়। এক পর্যায়ে এই বিয়ে ভেঙ্গে যায়। পরবর্তিতে ঢাকায় আরেকটি বিয়ে করেন। এই স্ত্রী বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারে চাকরি করেন। বাড়ি হলো চাপাই নবাবগঞ্জে। এই স্ত্রী ইডেন কলেজে বাংলা বিভাগের শিক্ষক ও একটি ছাত্রী হলের প্রভোস্ট ছিলেন। বর্তমানে তিনি কবি নজরুল কলেজে রয়েছেন। এই স্ত্রীর দু’টি কন্যা সন্তান রয়েছে। এক পর্যায়ে তিনিও জেনে যান ধর্ম নিষিদ্ধ আত্মীয়া কুহিনুরের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি। এনিয়ে দুই জনের মধ্যে দীর্ঘ দিন ঝাগড়া হয়। কিন্তু মোয়াজ্জেম হোসেন সেই সম্পর্ক ত্যাগ করতে পারেননি। তখন শিক্ষিকা স্ত্রী তাঁকে ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হন। এই স্ত্রী বিষয়টি নিয়ে আইন ও শালিস কেন্দ্রে নালিশ করেছিলেন। এক পর্যায়ে স্বামী-স্ত্রীর সম্পক বিচ্ছেদ হয়। এই বিচ্ছেদের বিষয়ে ফয়সালা করে দিতে মধ্যস্থতা করেন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি খুনের মামলার এক নম্বর আসামী রুহুল কুদ্দুস বাবু এবং বর্তমানে সুপ্রিমকোর্টের অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এম কে রহমান। দুই শিশু মেয়ে শিক্ষিকা স্ত্রীর সঙ্গে রয়েছেন। এম কে রহমান ও রুহুল কুদ্দুস বাবুর মধ্যস্থতায় তাদের ভরণ পোষন দেন মোয়াজ্জেম হোসেন। ভরন পোষনের নির্ধারিত টাকা তিনি প্রতিমাসে ডাকে পাঠান। তাঁর একজন ঘনিষ্ট আইনজীবী জানান, ডাকে টাকা পাঠান কারন ডকুমেন্টস্ হিসাবে রাখার জন্য। সম্পর্ক ত্যাগ করা শিক্ষিকা স্ত্রী যাতে কখনো বলতে না পারেন সন্তানের ভরণ পোষনের নির্ধারিত টাকা তাঁর কাছে পৌছানো হয়নি। বর্তমানে মোয়াজ্জেম হোসেন ধর্ম নিষিদ্ধ আত্মীয়ার সঙ্গেই লিভ টুগেদার করছেন বলে জানা গেছে।
ব্যক্তিগত জীবনে যে কেউ আইনের ব্যাত্যায় না ঘটিয়ে এগুলো করতে পারেন করুন কিন্তু বিচারকের মত এমন সাংবিধানিক পদ আঁকড়ে থেকে এমনতর নৈতিকতা বিরোধী কর্ম অব্যাহত রেখে মূলত নাগরিকদের অপমান করবেন এটি অগ্রহনযোগ্য।
হাইকোর্ট বিভাগ ও আপিল বিভাগের এই বিচারপতিগণ নাগরিকদের পয়সায় বেতন পান আর এরাই দেশের নাগরিকদের বিচার করছেন। নিজেদের দোষের উর্ধে রাখা বিচারকদের দায়িত্ব আর তথ্য পাওয়া নাগরিকের অধিকার।
সূত্রঃ বিচারপতিদের নৈতিকতার পোষ্টমর্টেম
162 total views, 1 views today
জাগপা) র সভাপতি সফিউল আলম প্রধানের মতে,
“১৯৭১ সালে গণহত্যা হয়েছে পাকিস্তান আর্মির নেতৃত্তে।
শেখ মুজিব যে ১৯৫ জনের তালিকা করেন তারা সবাই ছিল পাকিস্তান আর্মি অফিসার।
তৎকালীন হিন্দুস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী সে সময়ে আমাদের সাহায্য করার নামে এটাকে ভারত পাকিস্তানের যুদ্ধ হিসেবে ফায়দা নেন। সিমলা চুক্তির মাধ্যমে তাঁরা যুদ্ধ অপরাধিদের মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন এবং বাংলাদেশ সরকার অনুমতি দিয়ে বিনা শর্তে মুক্তি দেয়।
যুদ্ধাপরাধের যে প্রেক্ষিত এবং পটভুমি আজকের বিচার সে জায়গায় নেই..
৪২ বছর পর এই বিচার হচ্ছে, এর আগে আওয়ামীলীগ আরও দুইবার ক্ষমতায় এসেছে, যারা আসল যুদ্ধ অপরাধী তাদের বাদ দিয়ে আমার দেশের লোকদের এই বিচার অন্যায্য, অবৈধ এবং গ্রহণযোগ্য নয়।
এই বিচারে রাজনৈতিক হিংসা চরিতার্থ হতে পারে কিন্তু নায়বিচার প্রতিষ্ঠা হয়না।
জাগপা’র সভাপতি হিসাবে আমি বলব এই বিচারের কোন ন্যায্যতা নেই এই বিচার মানিনা..
১৯৭১ সালের পর দিল্লি কখনও চায়নাই যে বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়াক। এটাকে তাঁরা পঙ্গু রাষ্ট্র হিসেবে রাখতে চেয়েছে।
আগ্রাসী ভারত জানে যে জাতী যদি ঐক্যবদ্ধ হয় তবে তাদের আধিপত্য নস্যাৎ হয়ে যাবে। সুতরাং বাংলাদেশ সৃষ্টির পর থেকে একটার পর একটা কৃত্তিম ইস্যু সৃষ্টি করে জাতীকে বিভক্ত করছে।
প্রথমে যারা যুদ্ধের সময় ভারতে গিয়েছেন এবং যারা যাননি তাদেরকে বিভক্ত করা হয়েছে ।
এরপর ১৫ আগস্টকে নিয়ে জাতীকে বিভক্ত করা হয়েছে।
৭ই নভেম্বেরের সিপাহী বিপ্লবকে কেন্দ্র করেও বিভাজনের একটা প্রক্রিয়া চালানো হয়েছে।
এবং সর্বশেষ এবার তথাকথিত যুদ্ধপরাধিদের নামে সমগ্র জাতীকে বিভক্ত করা হচ্ছে।
ধর্ম এবং নাস্তিকতার মধ্যেও একটা বিভাজনের দেওয়াল তৈরি করা হচ্ছে।
আমার রাজনৈতিক বন্ধুদের বলছি তাঁরা তাদের অবস্থান প্রথম থেকেই স্পষ্ট করতে পারেননি। সচ্ছ ন্যায় বিচারের আগে বলা উচিৎ ছিল চিহ্নিত ১৯৫ জনকে বাদ দিয়ে এই প্রহসনের বিচার আমরা মানিনা।
যেসব কন্ঠ ভিনদেশি আধিপত্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার সেইসব কন্ঠকে স্তব্দ করে দেওয়ার জন্যেই এই ট্রাইবুনাল
এই সরকার জনগনের সম্মতির ভিত্তিতে আসেনি এক-এগারোর ষড়যন্ত্রের সুড়ঙ্গ পথে এবং হিন্দুস্তানের বস্তাবন্দী টাকায় ও তাদের পরিকল্পনায় এদেরকে ক্ষমতায় আনা হয়েছে..
এদেরকে ক্ষমতায় আনাই হয়েছে ইন্ডিয়ান এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য।
মানুষকে পাখির মতো গুলি করে হত্যা ব্রিটিশ আমলেও দেখা যায়নি। এ ধরনের হত্যা একমাত্র আফগানিস্তানের কারজাই, সিকিমের মতো দালাল সরকারের মতো যারা তাদের দারা সম্ভব।
তার বক্তব্য শুনতে নিচের লিংক দেখুন
http://www.facebook.com/video/embed?video_id=615543275155052