ধর্ম হচ্ছে দৈবিক বিষয় কিন্তু ধর্মচিন্তা দৈবিক নয় সেটি মানুষের কর্ম সেখানে ভুল ব্যাখ্যা, আবেগ প্রবণতা, উগ্রতা, বাড়াবাড়ি এবং কোন বিশেষ যুগের ও সমাজের কালচার প্রভাব থাকতেই পারে।
তাই যুগের পরিবর্তনে ধর্মীয় চিন্তার সঠিক মূলায়ন করতে ও বুঝতে মানুষকে সে বিষয়গুলো বিবেচনায় আনতে হবে ।
আর সে জন্য প্রয়োজন বস্তুনিষ্ঠ চিন্তা ও পর্যালোচনা করার।
তবে যেকোনো চিন্তাশীল ব্যক্তির চিন্তার প্রকাশ ঘটলে তা যে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য বা বিতর্কের ঊর্ধ্বে হবে তা প্রত্যাশা করা যায় না।
যে কোনো বিষয়ে মানুষের মাঝে ভিন্নমত আগেও ছিল এখনো আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।
তবে স্বাধীন চিন্তা করার সবচেয়ে বড় বাধা হচ্ছে যখন কেউ দলীয় পক্ষপাতদুষ্টতার কিংবা ধর্মান্ধতার বেড়াজালে আবদ্ধ হয়ে যান। তাই স্বাধীন চিন্তা স্বাধীনভাবে প্রকাশ করার সাহস তখনই হবে যখন উপরোক্ত বেড়াজাল থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব হবে।
তবে যেকোনো বিষয়ের জ্ঞান অন্বেষণের একজন পরিপক্ব ছাত্র হতে চাইলে প্রথমেই সামাজিক সাংস্কৃতিক প্রভাবকে এড়িয়ে গিয়ে এবং সনাতনী বিশ্বাসকে এক পাশে রেখে জ্ঞান অনুসন্ধানের পথে হাঁটতে হবে।
ডারউইন বিরাট বিজ্ঞানী ছিলেন তাই তিনি ভুল করতে পারেন না এই চিন্তা করলে তার থিওরির ভুল বিজ্ঞানীরা খুঁজে পেতেন না।
একইভাবে ধর্মীয় চিন্তার কোন বিশেষ ব্যক্তির ব্যাখ্যা এবং তার ব্যক্তিত্বকে শ্রদ্ধা করতে গিয়ে তাঁকে ভুলের ঊর্ধ্বে মনে করা সঠিক নয়!
ধর্ম বিষয়ে একমাত্র নবী রসুল ছাড়া কারও অভিমত চূড়ান্ত মনে করার সুযোগ নেই।
“কেন প্রয়োজন ধর্মচিন্তার পুনর্গঠন” বইটির উপর পুরো টকশো এখানে দেখতে পাবেন।
এ বইটির হার্ড কপি সংগ্রহ করতে পারবেন এই লিংক থেকে
বিনামূল্যে পিডিএফ Download