1626 জন পড়েছেন
একটা ধর্মকে সম্মান দেখিয়ে তাকে অসম্মান করা কি উচিত হবে? রাষ্ট্রিয় ধর্ম বলে কোন অপশন না রাখলেই হতো। রাষ্ট্রধর্ম ঘোষণার এতদিনপর এসে তাকে যদি বাতিল করা হয় এতে কি শুধু ঝামেলাই বাড়বে না? এই নিয়ে নতুন করে যতই বারাবারি হবে ততই দেশে একশ্রেনীর সুবধাবাদি গুষ্টির আন্দোলনের হাতিয়ার হাতে তুলে দেয়া হবে। তাই নয় কি?
সরকার যদি চায় বিষয়টি নিয়ে গণভোট করতে পারে। এতে যদি জনগণ রায় দেয় রাষ্ট্রধর্ম বাতিলের পক্ষে, সরকার নির্বিঘ্নে কোনো ঝামেলা ছাড়াই তা করতে পারবে। মোটকথা জনগণকে সাথে নিয়ে এই সমস্যা সমাধান করতে হবে। জনপ্রতিনিধিদের দ্বারা এটা করা ঠিক হবে না। কারণ জনপ্রতিনিধি ধর্মীয় বিষয়ে অতটা পারদর্শী নাও হতে পারেন । তাই তাদের মতামতে এ বিষয়ে জনগণের প্রকৃত চাওয়া প্রকাশিত না হলে সমস্যা ঘণীভূত হবে শুধু, কাজের কাজ কিছু হবে না। হ্যাঁ জোড় করে চেষ্টা করলেই এ কাজটি সরকার করতে পারে কিন্তু জোর করে কিছু করলে হিতে বিপরীত হয়। জোর করে কিছু খাওয়ালে বমি হতে পারে। সরকারকি তাই চায়?
রাজনৈতিক ভাবে শুরু হলেও রাষ্ট্রিয় ধর্ম বিষয়টি এখন আবেগ পর্যায়ে চলে গেছে। রাজনৈতিক নাই। তাই সরকারের উচিত খুব হুটহাট নয়, ভেবে চিন্তে এই বিষয়ে সঠিক কর্মপন্থায় সঠিক প্রদক্ষেপ নেয়া। যে কাজ শক্তিতে হয় না কৌশলে তা খুবই সহজ। বিষয়টি সরকারকে ভাবার জন্য অনুরোধ করছি।
1626 জন পড়েছেন