নদীর ভূবনে আমার হলো না যাওয়া

কাক ডাকা ভোর থেকে মধ্যরাত

অনেক দূর ঁেহটেছি হেঁটে হেঁটে ক্লান্ত

তবু যাওয়া হলো না নদীর ভূবনে ।

 

চাতাল পেরিয়ে কুয়া ক্ষয়ে যাওয়া

এবরো থেবরো পাড় মাঝখানে

ঝোপ জঙ্গলে ঢাকা দাদীর কবর ।

 

সামনে এগোলে পথ ডানে জলাশয়

বামে বিবর্ণ মাঠ খরায় চৌচির

মাঠের বুক চিরিয়া দন্ডায়মান

এক কালি মন্দির নির্জন প্রহর কাটায় ।

 

মন্দিরের গা ঘেঁষে সতিনের পুকুর

আউলা বাতাসে তোলে রক্তের ঝড় ।

 

কালো জলে টলমল সতিনের পুকুর

পেছনে ফেলে এগোলে ভেলুয়ার গাং ।

 

গাঙ্গের পাড় ধরে উত্তর দক্ষিণে

আঁকাবাঁকা রাজপথ। পথের শেষে

রূপালী নদীর ঘর তার আপন ভূবন ।

 

ভূবনের সীমানায় নদীর ছায়া

নিশিদিন মেতে রয় ডাংগুলি খেলায় ।

 

অনেক দূর হেঁটেছি তবু হলো না যাওয়া

নদীর ছায়া মাড়িয়ে নদীর ভূবনে ।

 

উঠোন পেরিয়ে কুয়া শান বাঁধানো ঘাট

আঁকাবাঁকা রাজপথ মাড়িয়ে

বাজুতে পরেছি বড় রুপার মাদুলী

তবু হলো না যাওয়া নদীর ভূবনে ।

Loading

About মফিজুল ইসলাম খান

মফিজুল ইসলাম খান পিতা-মৃত আব্দুল মন্নাফ খান । মাতা-সাফিয়া খাতুন । জন্ম- ০৪-০৯-১৯৫৪ । জন্মস্থান-ঘিলাতলী, বিবির বাজার, কুমিল্লা। শিক্ষাগত যোগ্যতা-এমকম,এলএলবি । একটি জাতীয়করণকৃত ব্যাংকের ডিজিএম (অবঃ)। বর্তমানে আইনজীবী । বসবাস-ঢাকায় । ইতিপূর্বে প্রকাশিত কবিতার বই-আন্দোলিত প্রান্তরে আহত চিৎকার, জোসনার ফুল, যন্ত্রণার অনুলিপি । ছড়ার বই-তাক ডুমাডুম ঢোল বাজে । ছড়া-কবিতার বই-আবোল তাবোল । উপন্যাস-মিসকল মফিজ । যৌথ- কবিতার বই-কোমল গান্ধার । যৌথ শিশুতোষ গ্রন্থ-খেঁকশিয়াল ফুলপরী ও বাজপাখীর গল্প ।

মন্তব্য দেখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *