
89 জন পড়েছেন
ভূমিকা -সমস্যার স্থান
সমাজে ‘ধর্ম’ আছে, কিন্তু একই সাথে চলে হিংসা-বিদ্বেষ, বিবাদ-বিসম্বাদ, ঝগড়া-ফ্যাসাদ, দৈহিক ও ভাষিক আক্রমণ, দলাদলি, রেষারেষি ইত্যাদি। ধর্ম হওয়া উচিৎ এগুলো থেকে পরিত্রাণ। এই পরিত্রাণের জন্য মানুষ আত্মসাধনা করবে, অন্তঃরাজ্য গড়বে, সুন্দরের রূপায়ন ঘটাবে -এটাই ধর্ম। মানুষ খোদায় বিশ্বাস করবে, ধর্ম পালন করবে -এটা এক কথা, কিন্তু খোদার সংখ্যা নিয়ে, বা ধর্ম পালন নিয়ে, পারস্পারিক হিংসা-বিদ্বেষ করবে, যুদ্ধ করবে – এটা ঠিক নয়, উচিৎও নয়। বরং এসবের মোকাবেলায় তার নিজ অন্তঃপুরীতেই তাকাবে, মনোনিবেশ করবে – এটাই আত্মসাধনা।
কিন্তু কেউ যদি কোন সুদূর অতীতের যুদ্ধংদেহী সাম্প্রদায়িক গৌরব-গরিমার ঐতিহ্যে স্ফীত হয়, তার মনোনিবেশ ওদিকেই নিবদ্ধ হয়, তবে আত্মসাধনার ধর্ম গড়ে উঠবে না। তার ধর্ম ও মনোনিবেশ থাকবে সেই যুদ্ধংদেহী আদর্শে: আমরা উত্তম, ওরা অধম, আমরা সত্য, ওরা মিথ্যা, আমাদের বিজয়ী হতে হবে ওদের উপর। আমরা হাজার অপরাধ করলেও আমাদের মুক্তি আছে, কেননা আমরা খোদার লোক, কিন্তু ওদের মুক্তি নাই, কারণ ওরা খোদার দুশমন। এমন অন্তর্দৃষ্টিতে সমস্যার স্থান আছে বলা যায়। এখানে দৃষ্টিধারী নিবদ্ধ কোন এক অতীত গৌরবে, প্রাচীন সাংঘর্ষিকতায়।
ধর্মের সুপারমার্কেট ও সমস্যা
আজকের মানুষ কেন আত্মসাধনায় মনোনিবেশ করতে পারে না – এ ব্যাপারে একজন আরব ব্যক্তি একটি উপমা দিয়েছিলেন। তার দৃষ্টিতে প্রাতিষ্ঠনিক ধর্ম যেন একটি ‘সুপারমার্কেট’। ওখানে নানান বৈপরীত্বের বাণীতে শেলফগুলো সজ্জিত থাকে: থাকে পক্ষের বাণী, থাকে বিপক্ষের বাণী, থাকে হিংসার বাণী, থাকে অহিংস বাণী, থাকে নানান বাণীর উলট-পালট ও গোঁজামিল। ওখানে এই ধর্মে ৫০ জন হত্যা করে সেই ধর্মে প্রবেশের সাথে সাথে পাপ বিমোচনের বাণী; দেশ-লুট, দশ লুট, ব্যাঙ্কলুট, হরিলুটের পর হরির নামে টাকা ব্যয় করে হরির মন জয়ের বাণী; হরির উপাসনাগার তৈরি করে চৌদ্দ-গোষ্ঠীকে পার করার বাণী; খোদার দুশমনদের হত্যা করে খোদার সন্তুষ্টি লাভের বাণী। এমনসব ধারনায় সজ্জিত প্রেক্ষিতে মানুষ সবই করতে পারে এবং করেও। কিন্তু যা পারে না তা হল স্বার্থ বুঝার জন্য অন্তরের সাধনা করা, আপন যুক্তিতে মনোনিবেশ করা। কেননা সে অন্যের যুক্তিতে জগত দেখে, তার অন্তর থাকে কোন সুদূর অতীতের ভূ-রাজনৈতিক সংঘর্ষে, সামাজিক বিশ্বাস ও যুদ্ধংদেহী কাহিনীতে। তার আদর্শ একালে নয়, সেকালে। না বরং সেকালের মানসিকতায়, সেই সমাজ-বোধে ও ধ্যান-ধারণায়।
সুপারমার্কেটের পণ্য -ধর্ম যুদ্ধের যুক্তি
এই সুপারমার্কেটে অন্য সমাজ ও গোত্রকে তাদের বিশ্বাসের কারণে আক্রমণ করার বাণী পেতে পারে। সে কেন ওদের মালামাল লুট করে তাদেরকে দাস-দাসীতে পরিণত করবে – এই কারণও পেতে পারে। এক্ষেত্রে খোদার সংখ্যা কত: এক, না তিন, না সাত, না অসংখ্য? যার কাছে যার সংখ্যা একদম সত্য, তার সেই সত্য তারই যুদ্ধের কারণ হয়ে যেতে পারে। কিন্তু এটা কি কোন কারণ হওয়া উচিত? চলুন যুক্তিটি দেখি।
বস্তুর সংখ্যা থাকে। কিন্তু, যা বস্তু নয় সেটা কী, এবং তার সংখ্যা কত? খোদা কি বস্তু? তিনি কি বস্তু জগতের অংশ? তিনি কি কোন সৃষ্ট প্রাণী? যদি তা না হয়, তাহলে খোদাকে সংখ্যাবাচক যুক্তিতে দাঁড় করিয়ে পারস্পারিক যুদ্ধ-বিগ্রহ করা কি ঠিক হবে? চলুন কাল বিলম্ব না করে আমাদের জাগতিক জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার আলোকে খোদার সংখ্যার বিষয়টি বিবেচনা করি।
আমরা বস্তু জগতকে জানা ও ব্যবহার করার স্বার্থে সকল বস্তুর উপর নাম অর্পণ করি, এবং সংখ্যায় ধারণ করি। কিন্তু প্রকৃতি জগত আমাদের অর্পিত নাম ও সৃষ্ট জ্ঞান থেকে মুক্ত। ধরুন এই উদাহরণ: ‘বাগানে ৩টি আম গাছ আছে’। এখানে গাছ, বাগান, আম, তিন – এগুলো আমাদের সৃষ্ট নাম। উল্লেখিত বাক্যতে যা আছে তা প্রকৃতির জ্ঞান নয়, বরং আমাদেরই জ্ঞান। প্রকৃতিতে অস্তিত্বশীল আম গাছগুলো হয়ত জানেই না যে তারা ‘আম গাছ’, অথবা তাদের সংখ্যা ওখানে ‘তিন’। আমাদের ধারণার জগতের বাইরের অস্তিত্ব আমাদের ধারণার কারণে অস্তিত্বশীল নয়। এই বিশ্বলোকের স্রষ্টার অস্তিত্বও আমাদের ধারণার উপর নির্ভরশীল নয়, মুখাপেক্ষী নয়। তিনি বস্তুও নন, বস্তুর অংশও নন (আমাদের ‘ধারণা’ মতে)। তিনি মানুষের পঞ্চেন্দ্রিয়ের ঊর্ধ্বে। সুতরাং যে সত্তা বস্তু নন, বস্তুর অংশ নন, বস্তুর গুণে গুণান্বিত নন, সৃষ্ট কিছু নন, তার অস্তিত্ব কী আমাদের অর্পিত সংখ্যাবাচক অর্থে, যার যার মত ধারণ করে, নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করব? স্রষ্টা কি সংখ্যাবাচক ধারণার ঊর্ধ্বের কিছু হতে পারেন না? যাকে দেখা যায় না, ছোঁয়া যায় না, তাকে ‘এক’, ‘তিন’, ‘পাঁচ’, ‘সাত’ ইত্যাদি সংখ্যায় ধারণ করে যুদ্ধের যৌক্তিকতা আসে না। হ্যাঁ, বিশ্বাস অন্য বিষয়, এবং তা আলোচনা করা যেতে পারে।
অতীন্দ্রিয়ের দাবী যার যার

কেউ যদি দাবি করে যে পঞ্চেন্দ্রিয়ের ঊর্ধ্বের জগত তার ইন্দ্রিয়গ্রস্ত হয়ে গিয়েছে, তবে সেটা তারই দাবী মাত্র। তার দাবীর কারণে আমরা পঞ্চেন্দ্রিয়ের বাইরের কিছুই দেখতে পাব না, এবং সেও আমাদেরকে দেখাতে পারবে না। তাই এতেও যুদ্ধের যুক্তি আসে না। অদৃশ্য জগতের বিষয় যার যার বিশ্বাসের বিষয় — ঝগড়া-ফাসাদ, মারামারি, কাটাকাটির নয়, এতে কোন আধ্যাত্মিকতা অর্জিত হয় না। আত্মার কোন উন্নতি আসে না। এবং কোন হিংস্র-তত্ত্ব দিয়ে ধর্মতত্ত্ব গড়ে তোলা সঠিক হবে না। তবে আমরা জানি, মানুষ তার আপন উদ্দেশ্যে ও প্রয়োজনে নানান যুক্তি আবিষ্কার করতে পারে, খোদার গুণ ও সংখ্যা নিয়েও সেই কাজ করতে পারে। মানুষ পাখিকে পিঞ্জিরায় আবদ্ধ করতে ফন্দি আবিষ্কার করতে পারে।
খোদা মানুষের জ্ঞান ও সমস্যার বিষয়ে অবগত
যুক্তি এটাও বলে যে মানুষের পঞ্চেন্দ্রিয়ের সীমিত অবস্থার কথাটি স্রষ্টা অবশ্যই জানেন। তিনি এটাও জেনে থাকবেন যে কেউ যদি তার পঞ্চেন্দ্রিয়ের বাইরের কিছু মানতে না পারে, তবে এটা তার জন্য দোষের কিছু হবে না, কেননা তিনিই তাকে যে সীমায় তৈরি করেছেন, সে কেবল সেই সীমার ভিত্তিতেই কোন কিছু গ্রহণ বা বর্জন করবে।
সূর্য দেখা যায় — দিবালোকে তা স্পষ্ট। কিন্তু এই উদাহরণ বিশ্বাসের ক্ষেত্রে নেই, কোন অদৃশ্য বিষয়েও নেই – স্রষ্টা নিশ্চয় এই সমস্যাগুলো জানেন। তিনি নিজেও যে অদৃশ্য –এটাও তিনি নিশ্চয় জানেন। সুতরাং তার অস্তিত্ব নিয়ে মারামারি, কাটাকাটি, এগুলো তিনি পছন্দ করবেন এমনটি মানবিক যুক্তিতে সঠিক দেখায় না। কিন্তু এমনটিও মানুষ ধর্মের সুপারমার্কেটে পেয়ে যেতে পারে।
ধর্ম শান্তির যুক্তিতে আসতে হবে -হত্যা, মারামারি হিংসা বিদ্বেষের নয়

ধর্মের স্থান যদি মনের জগত হয়, যদি এই জগতকে চর্চার মাধ্যমে উৎকর্ষ করতে হয়, এবং এই ধারাতেই যদি জগতের শান্তি খোঁজা হয়, তবে এতে সমস্যার কিছু থাকে না। কিন্তু এই ধারা ত্যাগ করে যদি এক দল অন্য দলকে আক্রমণ করতে যায়, তাদের বাড়িঘর, স্ত্রী-সন্তান সবকিছু লুঠে-পুটে নেয়, আর বলে যে এগুলো আমরা এজন্য করছি কারণ এই লোকগুলো খোদাকে চিনে নাই, খোদার ইজ্জত, মর্যাদা, মহিমা রক্ষা করে নাই, তাই খোদা আমাদেরকে দিয়েই তাদের বিপর্যয় ঘটিয়েছেন, তিনি তাদের ইবাদত ও বিশ্বাসে সন্তুষ্ট ছিলেন না। এই যুক্তি কুযুক্তি। কিন্তু এমন যুক্তির পিছনেও ধর্মীয় ব্যাখ্যা, দর্শন ও ধর্মতত্ত্ব গড়ে উঠতে পারে, এবং সুপারমার্কেটের শেলফেও স্থান পেতে পারে। এগুলো শিক্ষা-দীক্ষার মাধ্যমে প্রজন্ম পরম্পরায় ঐতিহ্য ও আদর্শ হয়ে মনের জগতকে প্রভাবিত করতে পারে।
খোদার জন্য কারও প্রাণ কেড়ে নেয়া যুক্তির অন্তর্ভুক্ত নয়

খোদার সংখ্যার পরে সুপারমার্কেটে আরেকটি প্যাঁচাল যুক্তি পাওয়া যেতে পারে: (১) আমরা খোদার জগতে খোদার কন্ট্রোল ও তার সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা করব, যুদ্ধ করব, (২) এই যুদ্ধের জন্য আমরা আদিষ্ট, আমরা-কী সেটা খোদা পরীক্ষা করছেন, তিনি দেখতে চান তাই আমরা এই যুদ্ধ করব।
এই যুক্তিগুলোও দেখতে হবে। তাই প্রথমে প্রশ্ন হবে: এই বিশ্বজগত কি খোদার কন্ট্রোলের বাইরে? এটা কি কখনো তার কন্ট্রোলের বাইরে ছিল? তিনি কি রাজা-বাদশাহদের মত কেউ? তার কি এমনসব গোলামের প্রয়োজন যারা যুদ্ধ করে তার সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা করবে বা টিকিয়ে রাখবে? এই সার্বভৌমত্ব কি রাজা বাদশাহের ত্রিসীমার মত? এটা কি কখনো অপ্রতিষ্ঠিত থাকতে পারে? তিনি কি কারো মুখাপেক্ষী? তারপর, তিনি যদি অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের জ্ঞান রাখেন, তবে তার জন্য কি মানুষের কর্মকে ‘পরীক্ষা’ করে দেখার প্রয়োজন আছে? তিনি কি আগ থেকেই তা জানেন না? যদি উত্তর ইতিবাচক হয়, তবে ভাবতে হবে এসব যুক্তির পিছনে উদ্দেশ্য অন্যকিছু, যুদ্ধের উদ্দেশ্যও অন্য কিছু। এগুলো আত্মসাধনার উদ্দেশ্য থেকে ভিন্ন।
মানুষ যখন নিজ আত্ম-সাধনার পথ ভুলে স্রষ্টার ক্ষমতা, তার প্রকৃত সংখ্যা, তার মান-ইজ্জত, তার সার্বভৌমত্ব ইত্যাদির যুক্তিতে জড়িয়ে পড়বে, তখন এই যুক্তির প্যাকেজের মধ্যে যা কিছু আছে তার সবকিছুতেই জড়িয়ে পড়বে: হিংসা-বিদ্বেষ, আক্রোশ, ঘৃণা – সবকিছুতে, কেননা এগুলো এই প্যাকেজেরই বস্তু। তারপর সমস্যা আরও জটিল হতে পারে যদি এই ধারায় চলে-আসা অতীতকে নিছক কালীন ইতিহাস সাব্যস্ত না করে খোদার নামে এসবের উপর ধর্মতত্ত্ব রূপায়ন করা হয়, এগুলোকে ধর্ম-বাণীর অংশ করা হয়, যদি ধর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠানিক পাঠ্যক্রম করা হয়, তবে সাধারণ মানুষ আবেগের সাথে প্রজন্ম-পরম্পরায় এগুলোর আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে পড়বে। এখানে আত্মসাধনার কথা থাকলেও এই দিকটি ঐতিহাসিক ধারার পাহাড়সম আবেগ ও তথ্যের তলদেশে নিক্ষিপ্ত হবে। এখানে উদার মানবের মানসিকতা, সার্বজনীন উত্তম আচরণ ও চিন্তার প্রশস্ততা ―যা গোটা মানব জাতিকে ধারণ করবে― এমনটির অবকাশ সৃষ্টি হবে না। এখানে শিক্ষার্থী সেই সাম্প্রদায়িক ঐতিহ্যের ধারায় সুপ্তভাবে আবদ্ধ থেকে যাবে, কেননা এগুলোর আষ্টেপৃষ্ঠেই থাকে সেকালের ধর্মের প্রসার ও আধিপত্য যেখানে প্রতিপক্ষ আসে পশুর ধারণায়, যারা দাস-দাসীতেও পরিণত হতে পারে, এবং এসবের পিছনের সংমিশ্রণে আসে খোদার ইচ্ছা ও নির্দেশনা সংযুক্ত ধারণা ― এগুলোই হয়ে পড়ে মূল জাস্টিফিকেইশন। এমন ঐতিহাসিক ধারায় এটাও দেখা যেতে পারে যে বাইরের ‘দুশমন’ ধ্বংস করার পরে নিজেদের মধ্যে ক্ষমতার-দ্বন্দ্ব লেলিহান হয়ে উঠার ঐতিহাসিকতা। এখানে পাওয়া যেতে পারে পারস্পারিক বিভক্তির উপর গঠিত দুশমনির নানান স্তর। এমন যাবতীয় ইতিহাস যদি ধর্মের ইতিহাস হয়ে পড়ে, যদি এগুলোকে ‘পরিচ্ছন্ন’ করে ধর্মে স্থানকরণ করা হয়, এবং কালের ধারায়, লেখায়-বক্তৃতায়, প্রবহমান জলের মত প্রবাহিত করা হয়, তবে এগুলোর ভরে, এই অঙ্গনে, আত্মসাধনার কথা তলিয়ে যাবে। এখানে খোদা মানুষের প্রকৃতিতে যে গুণ সৃষ্টি করেছিলেন, যা সাধনায় বের করে আনার কথা সেটা খোদার নামে রচিত পাহাড়সম স্তূপের নিচে অতল হয়ে যাবে। তবে, এখানে-সেখানে দু/চারটি ভাল উদাহরণ যে গড়ে উঠবে না, তা নয়, বরং এগুলো হবে ব্যতিক্রমধর্মী উদাহরণ।
ধর্মের স্থান কোথায়?

ধর্ম অবশ্যই মনের ভিতর থেকে আসতে হবে। সুন্দরকে ধারণ করতে হবে এবং তা এই বিশ্ব মানবতায় ভ্রাতৃসুলভ হতে হবে। যে গুণ মানুষের মনোজগৎ ও আচরণকে সুন্দর করবে সেটাই হবে ধর্ম। সুস্থ ও শান্তিপূর্ণ জীবনের জন্য চাই অনুকূল গুণ, তা না হলে জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠতে পারে, সমাজ ও পরিবারের শান্তি ক্ষুণ্ণ হতে পারে। ধর্ম এখানেই বিকশিত হতে হবে।
আজকের সমাজ অতীতের সমাজ থেকে ভিন্ন। আজকের এই সমাজের শান্তির জন্য উদারচিত্ত সজ্ঞার প্রয়োজন, সার্বিক সাম্যের প্রয়োজন, আইনের ও অধিকারের নিশ্চয়তা বিধানের প্রয়োজন। এই জগত খোদারই জগত। সকল মানুষ তারই মানুষ। আজকের পরিস্থিতিতে সকলে মিলে-মিশে বসবাস করতে হবে। এতে যেসব গুণাবলীর সমন্বয় হবে সেগুলোকে ধর্মীয় গুণ ও মূল্যবোধ বলে আখ্যায়িত করতে হবে। এতেই ধর্মের সার্বজনীন আত্মসচেতনতার সন্ধান পাওয়া যেতে পারে।
_____________
অন্যান্য কিছু লেখা
বিজ্ঞান ও যুক্তি দিয়ে বহুবাদ বা একত্ববাদ প্রমাণের সমস্যা
গ্রন্থিক যুগে ফিরার আহবান বনাম এ-কালের জীবন ও সমাজের প্রতি যৌক্তিক অভিনিবেশ
অতীতের টানা-পুড়নে বর্তমানের বাপ-দশা
দেওয়ানবাগী ও সামাজিক সত্যের এপিঠ ওপিঠ
অনৈতিকতার উৎস ও প্রাচীন ধর্মতাত্ত্বিক সমাজ সংস্কার
প্রোটো ধর্ম ও প্রাতিষ্ঠানিক ধর্ম
ইসলাম বিদ্বেষ ও ইসলাম সমালোচনা
89 জন পড়েছেন