I
অনন্ত চলার পথে খানিক কাটানো কিছু মূহুর্ত্তের এ জীবন
তবুও এখানে আছে প্রেম, আছে ভালবাসা, রঙিন স্বপন।
আছে কোমলে-বিমলে মাখামাখি করা নানারূপ অনুভূতি
আছে বলিবার স্পৃহা, ‘আমার, আমার’, মোহঘোরে বিবৃতি।
আসে শৈশো-কৈশোর, যৌবন মধুর চঞ্চল গতিতে চলা
দেখিতে দেখিতে আসে প্রৌঢ়, আসে বার্ধক্য বিদায় বেলা।
জাগে বুদবুদ হয়ে কত আশা,
তারপর ফেটে ফেটে যায়, ঘনায় নিরাশা।
ভাঙ্গে স্বপন, গড়ে প্রাণপণ, এভাবেই কাটে বেলা
শত আশা আর আকাঙ্ক্ষা ঘিরে রাতদিন হয় খেলা।
এ চলন্ত গতির স্বপনে-ধ্যানে কাটে কত ধরনের কাল
বুঝি বুঝি করে বুঝার আগেই আসে আজলের [১] বিকাল।
II
এ খেলাঘর ছেড়ে যেতে হবে -অমোঘ এ বিধান
আসিতেও কাঁদি, কাঁদি ফিরে যেতে, বড় অসহায় প্রাণ।
হঠাৎ যেতেও চাহে না যে মন
আবার চাহে না অতি জীর্ণ জীবন
এখানের লীলা-খেলা,
করুণ, বড়ই করুণ।
যে মরে যায়, চলে যায় সে সহজ প্রলয়ে
বাকী থাকে দ্বিতীয় প্রলয়
বাকীদের তরে,
দহিতে;
তিলে তিলে পলে পলে।
৩রা জুলাই ২০০৯
__________________
নোট: [১] আজল: একটি নির্দিষ্ট, নির্ধারিত সময়, জীবন থেকে মৃত্যু পর্যন্ত।
*বাহ দারুন একখান কবিতা উপহার দিলেন ভাই। ধন্যবাদ।
পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।