Homeদেশ ও জাতি ভাবনাস্লো অর্থমন্ত্রীর স্পীড মানি ভাবনা- স্পীড মানি নাকি সামন্ততন্ত্রের ফিউডাল সার্ভিস চার্জ। Log in

স্লো অর্থমন্ত্রীর স্পীড মানি ভাবনা- স্পীড মানি নাকি সামন্ততন্ত্রের ফিউডাল সার্ভিস চার্জ।

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল মুহিতের বিগত দিনের মন্তব্য (সরকারী কর্মচারীদের)স্পীড মানি নেয়াটা অবৈধ নয়, এই কথাটাকে, উনার হালকা ছলে বলা একটা হালকা কথা বলে ধরে নেয়ার কোন সুযোগ নাই। এইটা রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী একজন গুরুত্বপূর্ণ পদ-ধারী  ব্যক্তির কাছ থেকে, সমস্ত প্রশাসনের দুরব্রিত্তায়নের একটা আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি।

 

এই বক্তব্যের  মাধ্যমে তিনি পুরো প্রশাসনকে সিগন্যাল দিচ্ছেন,  প্রশাসনের কর্মচারীদের একাউন্টিবিলিটির কোন প্রয়োজন রাজনৈতিক বিভাগ দেখতে পায়না। রাজনৈতিক  বিভাগ, প্রশাসনিক বিভাগকে বলে দিচ্ছে, আপনারা জনগণের  টাকায়,জনগণকে সেবার দেয়ার জন্যে  যে বেতন এবং সুযোগ সুবিধা পান, তার বিনিময়ে সার্ভিস রুল অনুসারে  সার্ভিস দেয়ার প্রয়োজন নাই। উনার মুল মেসেজ হচ্ছে, আপনারা সার্ভিস দিবেন যখন  পাবলিক আপনাদেরকে আন্ডার হ্যান্ড টাকা দিবে।  তিনি  ঘোষণা দিচ্ছেন, পাবলিকের টাকায় বেতন নিয়ে, বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে সার্ভিস দিতে প্রতিজ্ঞা বদ্ধ এই প্রশাসনের এই আন্ডার-হ্যান্ড  ঘুষ, দুর্নীতি,  লুটপাট, এবং অযোগ্যতা আর অবৈধ নয়। এই অনৈতিকতার একটা সুন্দর নাম করন  করেছেন,অর্থমন্ত্রী “স্পীড মানি” । গতির টাকা।

 

বাংলাদেশ  রাষ্ট্রে বিগত অনেক বছর ধরেই, এই সিস্টেমে চলছে। জনগণের টাকায় পরিচালিত প্রশাসন, জনগণের ভোটে বা বিনা ভোটে নির্বাচিত শাসকগোষ্ঠী, পাবলিকের জন্যে  জন্যে যে সার্ভিস দিচ্ছে, সেইটার জন্যে ব্যাপক দুর্নীতির আশ্রয়ে নিয়ে নাগরিককে বাধ্য করে, অতিরিক্ত টাকা নিচ্ছে  বা নাগরিকের জন্যে পাবলিক মানিতে করা যে প্রজেক্ট করছে তার একটা ব্যপক লুটপাট চলছে, সব সরকারের আমলেই। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সিটি কর্পোরেশন, মন্ত্রণালয়, ব্যাংক,  রোডস এন্ড হাইওয়ে সহ রাষ্ট্রের সকল পর্যায়ে এই সব দুর্নীতি চলছে।

 

এখন রাষ্ট্রের তিনটি বিভাগের সেপারেশান ভেঙ্গে, লুটপাটের জন্যে, অপ্টিমাইজড একটা অসাধারণ সিস্টেম দাড়িয়ে গ্যাছে। এইটা এতো সহজাত হয়ে গ্যাছে যে, পাবলিকও সেইটা মেনে নিয়েছে। কিন্তু, লুটপাটে মত্ত এই শাসক গোষ্ঠীর কাছে,  দুর্নীতিকে দুর্নীতি বা ঘুষ বললে ইজ্জতে  লাগছে।

 

তাই অর্থমন্ত্রী একটা র‍্যাপিং পেপার উদ্ভাবন করেছেন, যার নাম দিয়েছেন, স্পীড মানে।কিন্তু, অন্ততত অর্থমন্ত্রীর জানা উচিৎ, প্রশাসনের সার্ভিস রুলে, স্পীড মানি বলে কিছু নাই।

 

এইটা ঘুষ, দুর্নীতি এবং লুটপাটের একটা সুন্দর প্যাকেজিং  মাত্র।   

বাস্তবতা হইলো, টেন্ডার, কন্ট্রাক্ট, প্রজেক্টের পারসেন্টেজ হইতে শুরু করে সব কিছুই এই স্পিড মানির নামে খাওয়া হবে। খাওয়ার সুযোগ আছে, তেমন একটা টাকাও ছাড় দেয়া হবেনা, হচ্ছেনা।

এই স্পীড মানির মোজেজা হইলো, একজন কর্মকর্তা শুধু স্পীড মানি দিলে কাজ করবে, রাষ্ট্র যন্ত্রের একজন পাবলিক সারভেন্ট হিসেবে  হিসেবে জনগণকে সার্ভিস দিতে জনগণের টাকায় যে বেতনটা নিচ্ছেন সেইটা এই খানে ফাউ, উনার ঘুষটাই হইলো কাজের টাকা। যে  টাকা দিবে, তার কাজ উনি করে দিবেন।  উনার দায়বদ্ধতা হবে টাকার প্রতি, তার সার্ভিস  রুলে নির্ধারিত দায়িত্বের  প্রতি নয়।  এই দায়বদ্ধতা অর্থমন্ত্রীর পরামর্শ দেয়া স্পীড মানির প্রথম বলি।

 

এই সিস্টেমের দ্বিতীয় প্রধান বলি হইলো, একাউন্টিবিলিটি।

নিশ্চিত ভাবে বলা যায়, এই যে স্পিড মানে বা ঘুষ কোন নাগরিক চালান দিয়ে,  ভ্যাট দিয়ে, রিসিপ্ট দিয়ে  প্রশাসনের কর্মচারীদের হাতে দিবেন না। এইটা আন্ডারহ্যান্ড হিসাব বহির্ভূত টাকা।  

কিন্তু, একটি নিয়মতান্ত্রিক রাষ্ট্রের  আইনি প্রয়োজনীয়তা হলো, রাষ্ট্রের সকল অর্থকরী লেনদেনে  ভ্যাট দিতে হবে। আয় হলে, আয় থেকে কর দিতে হবে। কিন্তু, অর্থমন্ত্রী একজন মন্ত্রী হিসেবে বলে দিচ্ছেন, নিজেরা নিজের মত লেন দেন করবেন। কিন্তু উনার ঘোষণা অনুসারে এই স্পীডমানি  ভ্যাট, বা ট্যাক্সের হিসেবের বাহিরের টাকা হলেও, বৈধ হয়ে যাবে।  

 

নাগরিকের কোন সার্ভিসে ধ্রুত সার্ভিস লাগলে তার জন্যে, আলাদা চার্জ নিয়ে দ্রুত সার্ভিস নেয়ার ব্যবস্থা না করে, রাষ্ট্রীয় কোষাগারের বাহিরে, কর্মকর্তাদের পকেটে স্পীড মানি দেয়ার এই ধরনের  চিন্তা কত টুকু অনৈতিক হলে, একটি  রাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী করতে পারে, তা  ভাবলে অবাক হতে হয়। এইঅবারচিন, অনৈতিক,  প্রগলভ অর্থমন্ত্রীর চিন্তার ক্ষমতা নাই যে, সরকারী কাজের জন্যে একজন কর্মচারী কোষাগারে জমার বাহিরে যে টাকা নিবে, তাই দুর্নীতি। এবং এই দুর্নীতি আজ এই রাষ্ট্রের বর্তমান অবস্থানের একটা প্রধান কারন।

 

এইটাকেই বলা হয় ঘুষ। এইটাই কালো টাকা, অবৈধ উপার্জন।

 

এর আরেকটা রেজাল্ট হইলো।  একটা সার্ভিস দেয়ার সময়ে  প্রশাসনের কর্মচারীরা তাদের সার্ভিসকে অকশন করবেন। 

 

যে সর্বোচ্চ টাকা দিবে, মানে সব চেয়ে বেশি স্পীড মানে দিবে, তার কাজ আগে হবে। উনারা কাজের গতি কমিয়ে দিবেন। এবং এর পরে যে টাকা দিতে পারবেনা, তার কাজ হবেনা। বা পরে হবে। এবং বাস্তবতা হইলো, যে টাকা দিবে না, তার কাজটা হবেইনা। যে কাজের যেমন লাভ তেমন ভাবে, স্পীড মানির সাইজ হিসেব করা হবে, এবং সেই অনুসারে শাসক গোষ্ঠী আদায় করে নিবে তার বখেরা, স্পীড মানির নামে। 

 

এই রকম ব্ল্যাকমেইল করেই এখন প্রশাসন চলছে।  আর সেইটা যদি অফিসিয়ালি বৈধ করে দেয়া হয়, এরপরে কি হবে তা অচিন্তনীয়।

 

এই ধরনের প্রক্রিয়া মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা পত্রে যে সাম্যের কথা বলা হয়েছিল, তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে খারিজ করে দেয়।

কারন, এর ফলে,  যে টাকা দেবে ই এই রাষ্ট্র-যন্ত্রের কাছে  সেবা পাবে যার টাকা দেয়া সুযোগ নাই সে পাবেনা

 

সার্ভিস লেভেল বা এসএলএ 

বাংলাদেশের জন প্রশাসন বর্তমানে দুর্নীতি, অযোগ্যতা, স্বজন প্রীতি এবং রাজনিতিকিকরনের কারনে ভেঙ্গে পরেছে। এই অবস্থাকে ঠিক করতে, একটা  সংস্কারের প্রয়োজন। এবং সেই সংস্কারের প্রধান একটা উপাদান হইলো, প্রতিটা সার্ভিসের জন্যে একটা এসএলএ বা সার্ভিস লেভেল এগ্রিমেন্ট করা। একটা লাইসেন্স পেতে কত দিন লাগবে, একটা রাস্তা ভেঙ্গে গেলে সেইটা ঠিক করতে কত দিন সময় লাগবে,একটা বিদ্যুতের লাইন পেতে কত দিন লাগবে, জমি রেজিস্ট্রেশন করতে কত দিন লাগবে,একটা প্ল্যান পাশ করাতে রাজউকের কত দিন সময় লাগবে, একটা কেস মীমাংসা করতে পুলিশ কত দিন সময় নিবে। জনপ্রশাসন সংস্কারে এই এসএলএ, বা সার্ভিস লেভেল এগ্রিমেন্ট, প্রশাসনের প্রতিটা বিভাগের নাগরিকের সাথে করতে হবে। জনপ্রশাসনের গতিশীলতার একটা প্রথম শর্ত।

 

এই শর্ত মানতে যেই বিভাগ ব্যর্থ, সেই বিভাগের কর্তা ব্যক্তিদের সরে দাঁড়াতে হবে।

 

অর্থমন্ত্রী বলে দিচ্ছেন সেই সংস্কারে উনাদের কোন ইচ্ছাই নাই। উনারা  চাচ্ছেন,  নাগরিকদের মধ্যে যাদের টাকা আছে তারা টাকা দিয়ে, সার্ভিস আদায় করে নিবে, যার টাকা নাই, সে পরে পাবে। বা টাকা না থাকলে পাবেইনা।

 

স্পীড মানিকে বৈধ করার, যুক্তি  হিসেবে আবুল মাল মুহিত সাহেব বলেছেন, ইতিপূর্বে, গাড়ির লাইসেন্স করাতে, উনাকেও স্পীড মানি দিতে হয়েছে।

একটা নিয়মতান্ত্রিক দেশে, একটা সার্ভিস নিতে অর্থ মন্ত্রী ঘুষ দিয়েছেন এই স্বীকারোক্তির পরে, আইন বিভাগ মন্ত্রীকে বিচারের আয়তায় আনতো। অবৈধ অর্থ লেনদেনের জন্যে, জেল খাটতে হইত, পদত্যাগ করতে হতো। কারন, এইটা একটা নৈতিক বিচ্যুতি। যেই সব দেশ সেই ধরনের নৈতিক অবস্থান থেকে রাষ্ট্রকে,ক্ষমতাকে, নাগরিককে দেখে, তারাই আজকে জাপান, ইউকে , নরওয়ের মত দেশে পরিণত  হতে পারবে। যেই রাষ্ট্র সেই ধরনের নৈতিক অবস্থান থেকে ক্ষমতাকে দেখে না, তারা হয়, সোমালিয়া, লাইবেরিয়া বা আইভরি কোস্ট।

 

অর্থমন্ত্রী একজন অর্থমন্ত্রী হয়ে বলে দিচ্ছেন, আমি ঘুষ দিয়েছি, আপনারাও দেন। উনি ভুলে যাচ্ছেন, উনার দায়িত্ব এই সব ঘুষ, দুর্নীতিকে নির্মূল করা। কিন্তু, মুহিত সাহেবের কথায় বোঝা যায়, উনি  মনে করছেন দুর্নীতি দূর করা নয়, উনার দায়িত্ব এই সব ঘুষ, দুর্নীতিকে একদম সিস্টেমের অংশ বানিয়ে ফেলা। এবং জনগণকে সেই দুর্নীতি একটা সুন্দর প্যাকেজিংয়ের মাধ্যমে চাপিয়ে দেয়া ।

 

উনার কাছে, নরওয়ে বা ইংল্যান্ডের মত  রাষ্ট্র আজকে ইউটোপিয়া।

উনার রেসিপি হলো, বাংলাদেশ রাষ্ট্র, এই ভাবে দুর্নীতি-মগ্ন হয়ে , দুর্নীতিকে মেনে  নিয়ে,  খুড়িয়ে খুড়িয়ে, কিছু লোকের পকেট ভারি করে,  বিদেশে টাকা পাচার করে কালো টাকার উপরে, জনগণের পকেট মেরে, জনগণকে ভোগাতে ভোগাতে চলতে থাকবে।   আমাদের খেয়াল রাখতে হবে, এই স্পীড মানে আদায়ের সংস্কৃতি সরকারদের ইচ্ছার কারনেই হয়েছে। সরকার যদি চায় তো তো তারা আজকেই এইটা বন্ধ করতে পারে। কিন্তু অর্থমন্ত্রী বলে দিচ্ছেন, আমরাই চাই, প্রশাসন পাবলিকের কাছ থেকে টাকা নিয়ে কাজ করবে।

 

এই মানসিকতা নিয়ে। এই রাষ্ট্র, কোথাও পৌছুতে পারবেনা।

এই স্পীড মানি, রাষ্ট্রের সব চেয়ে বড় দুষ্টক্ষত। অর্থমন্ত্রী সেই ক্ষতকে আরো খুঁচিয়ে পুরো দেহে ছড়িয়ে দিতে চান, প্রতিরোধ করতে চান না।  সরকারের মানসিকতাই যদি থাকে লুটপাট হালাল তাহলে কিভাবে এই সরকার,দুর্নীতি ঠেকাবে। এই ভাবে দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক বৈধতা দিয়ে, স্পীড মানি হালাল ধরনের প্রতিষ্ঠান নিয়ে কোন রাষ্ট্র আগাতে পারেনা। আজকে স্বয়ং অর্থমন্ত্রী যদি বলে দেয়, এই দুর্নীতি এই অন্যায়, এই অনৈতিকতা বৈধ তাহলে, রাষ্ট্রের সকল প্রতিষ্ঠান ভেঙ্গে যাবে।

 

আমরা দেখতে পাই, এই মানসিকতা আজকে জনপ্রশাসনে ছড়িয়ে গ্যাছে। ইদানীং কিছু সরকারী কর্মচারীর মুখে শুনেছি যে তারা বলছেন, ১৫৪ টি সিটে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত সরকার তো আর ভোট পেয়ে ক্ষমতায় আসেনি। সরকারকে তো আমরাই ক্ষমতায় রেখেছি। তাহলে আমাদেরকে  অবশ্যই খুশি রাখতে হবে, সরকারকে পে ব্যাক  করতে হবে।  বর্তমান সরকারের বেশ কিছু কার্যকলাপে সেই ধরনের পে ব্যাকের প্রবণতা দেখা যায়। অর্থমন্ত্রী ঘোষণা সেই ধরনের একটা  পে-ব্যাক – সকল কর্মচারীকে নির্ভয়ে দুর্নীতি করার জন্যে উদাত্ত আহবান।

 

অর্থমন্ত্রীর কাছে আমাদের জানা উচিত, উনার কাছে আর কি কি অবৈধ নয় ?

শেয়ার বাজার লুটপাট, ব্যাংক গুলোর লুটপাট, টেন্ডার গুলো দখল করা, জেলায়, জেলায় থানায়  থানায়, মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রণালয়ে যে পারসেন্টেজ  নেয়া এই গুলো বৈধ কিনা?

 

সেই গুলোকে আর কি নামে র‍্যাপিং করা যাবে ?

 

অর্থমন্ত্রী ব্যস্ত মানুষ। উনার সুবিধার্থে আমি এই লুটপাটের আর একটা নাম দিলাম। সেইটা হচ্ছে, ফিউডাল সার্ভিস মানি বা সামন্ত তন্তের সার্ভিস চার্জ।

 

বাংলাদেশ মানে রাষ্ট্রের মালিক হিসেবে, এক দল সামন্ত প্রভুদের আবির্ভাব হয়েছে। যারা মনে করেন, এই দেশটা তাদের তালুক। এবং আমরা জনগণ সেই তালুকের ট্যাক্স দেয়া প্রজা মাত্র। উনারা মনে করেন এবং আমরাও মেনে নিয়েছি যে, এই  সব সামন্ত-প্রভুদের , এই দেশের রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুটপাটের অসীম অধিকার আছে। এবং টেন্ডারে কমিশন, যে কোন সার্ভিস নিতে ঘুষ, বেসিক সার্ভিস দিতে ব্যর্থতা, লুটপাট, চর দখল সহ সকল দুর্নীতি এই সব সামন্ত প্রভুদের  রাষ্ট্রের উপরে ঐশ্বরিক অধিকারের কিছু চর্চা মাত্র।

 

আমরা আশা করতে পারি, আর কিছু দিন পরে, এই দেশের পাবলিক মানির সব লুটপাটকে মাননীয় অর্থমন্ত্রী ফিউডাল সার্ভিস মানি, বা সামন্ততন্ত্রের  সার্ভিস মানি হিসেবে ঘোষণা দিয়ে বৈধতা দিয়ে দিবেন। তাহলে বাংলাদেশে আর কোন দুর্নীতি থাকবেনা। আমরা হয়ে যাবো, দুর্নীতি মুক্ত একটা দেশ।

 

আমরা সেই সুদিনের অপেক্ষায় থাকলাম। 

 

লিখাটি পূর্ব প্রকাশিত ফেবুতে 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

Loading

জিয়া হাসান

About জিয়া হাসান

লেখক: প্রাবন্ধিক। প্রকাশিত গ্রন্থ : শাহবাগ থেকে হেফাজত: রাজসাক্ষীর জবানবন্দি -

মন্তব্য দেখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *