একটি সত্য কাহিনী ও কিছু প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন?

মুহাম্মদ (স) এঁর বয়স তখন পঁচিশ৷ কাজ করছেন ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানে৷  একদিকে পেশাগত দক্ষতা অন্যদিকে সততা, ফলে চোখে পড়ে যান প্রতিষ্ঠানটির মালিক ও নির্বাহী পরিচালকের৷ তিনি একজন চল্লিশোর্ধ বিধবা মহিলা (মহিলা বসের অধীনে কাজ করা কি হারাম?)। মহিলার বিশাল ব্যবসা তাও আবার আর্ন্তজাতিক ব্যবসা,(মহিলাদের ব্যবসা করা কি হারাম?)৷ মালিক তাঁর কর্মচারির কর্মদক্ষতার জন্য তাঁকে পদোন্নতি দিয়ে ব্যবসার একটি মিশনের ম্যানেজার করলেন। নবীন ম্যানেজার মুহাম্মদ (স) এর সে মিশনের সফলতা তাঁর অসাধারণ ব্যবসায়ীক দক্ষতা ও যোগ্যতা আবারও প্রমাণিত হয়৷ প্রচুর লাভ হয় ব্যবসায়৷ প্রতিষ্ঠানের মালিক খুবই খুশী তাঁর কর্মচারীর কৃতিত্বে ভীষণ মুগ্ধ! ভাবেন এরকম একজন দক্ষ, সৎ ও  নির্ভরযোগ্য মানুষকে জীবন সঙ্গী হিসাবে পেলে ভাল হবে৷ তিনি প্রস্তাব পাঠান বিয়ের৷ মুহাম্মদ (স) চাচার সাথে পরামর্শ করে রাজী হন প্রস্তাবে৷ বিয়ের পর মুহাম্মদ (স) চাচার বাড়ী ছেড়ে উঠে আসেন স্ত্রীর বাড়ীতে (স্ত্রীর সুবিধা বিবেচনা করে তার বাড়ীতে এসে থাকা কি নিন্দনীয়?)৷ স্ত্রী থাকেন নিজের বাড়ীতে (কি?বিয়ের পর মেয়েরা থাকতেই হবে শ্বশুর বাড়ীতে –এটাই কি নিয়ম?)৷

 

নিজের থেকে প্রায় পনের বছরের বড় স্ত্রীকে নিয়ে সুখে সংসার করেন অনেক বছর৷ সবকিছুই ঠিক আছে, কিন্তু সমাজের অনিয়ম, বিশৃঙ্খলা, দুর্নীতি, অত্যাচার আর হানাহানি দেখে মুহাম্মদ (স) এর ভালো লাগে না৷ সারাক্ষণ চিন্তা করেন –কিভাবে এ সব অন্যায় অত্যাচার অনিয়ম বন্ধ করা যায়৷ গভীর চিন্তা করার জন্য একান্ত কিছু সময় দরকার, নির্জন একটা জায়গা দরকার ৷ শহরের একটু বাইরে একটা পাহাড়ের একটা গুহা আছে৷ জায়গাটা বেশ উপযোগী –ওটাকেই বেছে নেন ভাবনা চিন্তা করে একটা উপায় বের করার জন্য৷ সংসারের দায়িত্ব এখন স্ত্রী খাদিজার (রা ) -তিনি বাচ্চাদের দেখাশুনা করেন, সংসারের সব সিদ্ধান্ত নেন (সংসারের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা ও যোগ্যতা মহিলাদের আছে কি?)৷ হঠাৎ একদিন জীবরাইল ফেরেস্তা ওহী নিয়ে আসেন মুহাম্মদ (স) এর কাছে- “ইকরা ” –পড় ….যেন তিনি বোঝাতে চাচ্ছেন –আপনি সমাজের অনিয়ম, দুনীতি, অন্যায় সহ যেসব সমস্যার সমাধানের উপায় খুঁজছিলেন তার সমাধান হলো “সঠিক জ্ঞান” – সেই জ্ঞান যা সৃষ্টি কর্তা থেকে আসবে –পড়া ও সঠিক জ্ঞানার্জন করা হলেই করা যাবে এসব সমস্যার সমাধান ৷ নির্জন গুহায় আকাশে এমন আকৃতি দেখে ভয় পান মুহাম্মদ (স), দৌড়ে যান স্ত্রীর কাছে (স্ত্রীর কাছে? কোনো পরুষের কাছে না? এমনকি বৃদ্ধ অভিজ্ঞ চাচার কাছেও না?)৷ ”আমায় ঢেকে দাও” –অনুরোধ করেন স্ত্রীকে৷ শক্ত হন স্ত্রী, মন দিয়ে শোনেন সব কিছু, ঠাণ্ডা মাথায় চিন্তা করেন (স্ত্রীদের এত চিন্তা করার মত মগজ আছে?) “আপনি কোনো জ্বীন বা শয়তান দেখেন নি – আপনার রব আপনাকে ছেড়ে যেতে পারেন না –চলুন ওয়ারাকার কাছে যাই” (স্ত্রী সিদ্ধান্ত নিচ্ছে কার কাছে যেতে হবে, কি করতে হবে? তাও আবার স্ত্রীর চাচাত ভাই ? স্বশুর বাড়ীর লোক? কেন, আমার আত্বীয় স্বজন কি মরে গেছে?) মুহাম্মদ (স) যিনি এখন রাসুল এর দায়িত্ব প্রাপ্ত স্ত্রীর সাথে অরাকার কাছে গেলেন ( স্ত্রীর কথামত চলা? স্ত্রীদের কথা শুনলে ওরা মাথায় উঠে যায় )৷ আপনি রাসুল, সমগ্র মানবজাতীর জন্য পথ প্রদর্শনকারী –আপনাকে অনুসরণ করা মানুষের কর্তব্য -আপনি তাদের মডেল….বললেন ওরাকা৷ (আমরা কি স্ত্রীর সাথে রাসুল (স) এর মত আচরণ করছি?

বি দ্র – () এর প্রশ্ন গুলো আমার মনের প্রশ্ন ….ঘটনায় বর্ণিত কারো নয় ….

Loading


Comments

একটি সত্য কাহিনী ও কিছু প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন? — 9 Comments

  1. salam sister.u wrote a excellent job..for ur regards i m writing that….islam has increase the hounurs of women this is the gret example for u for everybody .islam always offer that if a women directs u god job to follow then u must follow……….so dont mistakes siter…….allah hafej

  2. অনুসন্ধানীর মন্তব্যয়ের সাথে সহমত।

  3. লেখক যা লিখেছেন, এগুলো সবই ঐতিহাসিক বিষয়। ইসলামের সাথে এর কোটিরই কোন বিরোধ নেই। মুসলমানদের সাথেও বিরোধ থাকার কথা নয়। কিন্তু প্রশ্নগুলো কেন রেইজ করা হয়েছে তা বুঝা গেল না। মুসলিম বিশ্বে খুব কম সংখ্যক মহিলার সামাজিক অবস্থা বিবি খাদিজার মত। সাধারনতঃ মুসলিম সমাজে মেয়েরা স্বামীর বাড়ী চলে যায়, আর ছেলেরা বাবা-মা থেকে সংসারের দায়িত্ব বুঝে নেয় এটাই নিয়ম। কিন্তু মেয়েরা যদি স্বামীকে বাবা-মা’র সংসারে নিয়ে আসে তাহলে ভাইদেরকে গিয়ে বৌয়ের বাড়ীতে গিয়ে থাকতে হবে। এতে মেয়েদের সমস্যা বাড়বে বৈ কমবে না। আর নারী পুরুষের মধ্যকার থাকা না থাকার এই বিষয়টি একটি প্রয়োজনের তাগিদ, কোন প্রতিযোগিতার বিষয় নয়। ছেলে-মেয়ে,বাবা-মা, ভাই-বোন আদর্শ মুসলিম পরিবারের এক এক জন সদস্য। যার যতদিন প্রয়োজন ততদিন পরিবারের লোক জন একত্রে বসবাস করে থাকে। আবার প্রয়োজন পরিয়ে গেলে আলাদা হয়ে যেতেও ইসলামে কোন বাধা নেই। কিন্তু বাবা-মা ভাই-বোন অর্থ কষ্টে রেখে কেহ সুখী জীবন যাপন করার জন্য পরিবারের কোন সদস্য আলাদা হয়ে যাক এটা ইসলাম অনুমোদন করে না। শরীর স্বাস্থ ধন সম্পদ বিদ্যা বুদ্ধি এসবই আমাদের কাছে আল্লাহ্র আমানত। পরিবারের নিকটতম সদস্যগন এই আমানতের প্রাথমিক বেনিফিশিয়্যারি। ইসলাম এক মুসলমানকে আর এক মুসলমানের ভাই বলে অভিহিত করেছে। আনসারগন মোহাজেরগনের সব কিছু ভাগাভাগি করেছে। আসলে ইসলামী শিক্ষা অনুসরন করলে এরকম প্রশ্ন উঠতোনা। তবুও উঠে, এবং উঠে বলেই ইসলামে তালিমের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

    ইসলামে নারী পুরুষের মধ্যে প্রতিযোগিতার স্থান নেই। মোহাম্মদ (স:) এর বাবা-মা জীবিত থাকলে অবশ্যই তিনি বিবি খাদিজার বাড়ীতে গিয়ে থাকতে রাজী হতেন না। কিন্তু তিনি নিজে বিবি খাদিজার বাড়ীতে ছিলেন এবং আবু তালিবের কষ্ট লাঘবের জন্য শিশু আলীকেও নিয়ে তাঁর সাথে রেখেছিলেন। এগুলো কোন তাৎপর্যহীন ঘটনা নয়। কিন্তু ইসলাম তখনেন শুরু হয়নি, তাই ইসলামী বিধান অনুসারে তিনি গিয়ে স্ত্রীর বাড়ীতে ছিলেন এমনটা মনে করার কারন নেই, কারন তাহলে তাকে তের জন স্ত্রীর বাড়েিত গিয়ে থাকতে হতো। অপরদিকে আরবের এখনকার সমাজেও এমন কোন বিধান নেই। শুধু পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য যা প্রয়োজন ছিল তিনি তাই করেছিলেন। সাহাবীদের মধ্যে রসূল (সাঃ) কে অ্নুসরণ করার জন্য কেহ বাবা-মাকে ছেড়ে স্ত্রীর বাড়ীতে থাকতে যাননি। ইসলামে এটাকে সূন্নাহ্ হিসাবেও গ্রহন করা হয়নি। কারন রসূল (সাঃ) যা করেছেন তার সবটাই আমাদের জন্য সূন্নাহ্ নয়; শুধু যা করতে বলেছেন তা’ই সূন্নাহ্। লেখক যে সকল ইস্যূ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ইসলাম এর কোন একটি কাজ করতেও মেয়েদেরকে নিষেধ করেনি। তবে বলা হয়েছে শুধু খেয়াল রাখতে, যেন একটা সমস্যার সমাধান করতে গিয়ে আর একটি সমস্যার সৃষ্টি হয়ে না যায়। আসলে মেদের সাথে পুরুষের সম্পর্ক কস্পিটিশনে নয় কমপ্লিমেন্টেশনের। আর বিয়ে শুধু দু’জন নারী পুরুষের মধ্যে হয় না; বিয়ের সাথে সংস্লিষ্ট থাকে দ’টি পরিবার। কমাপ্লমেন্ট করেুন। একে অন্যকে সহযোগীতা করুন। সুখে থাকতে পাবেন।

  4. ত্যাগই মানুষের অধীকার অর্জনের পাথেয় তাই মা-বাবা, শশুড়-শাশুড়ি সকলের প্রতিই স্বামী-স্ত্রী উভয়কেই সমান দায়িত্বশীল হতে হবে। আজ যাহা আমি তাদেরকে (মা-বাবা, শশুড়-শাশুড়িকে) দিলাম কাল আমার পরবর্তী বংশধরেরা আমাকে দিবে। অর্থাৎ আজকের দেয়া ঋণ আগামীতে ফেরৎ পাব। এটাই বিধান।

  5. @ Reply
    Hamid Haque Toronto canada
    Your response seems out of context to me.
    @ writer:
    একান্ন পরিবারে বাস করার মজাই আলাদা! একান্ন পরিবারের কালচার পৃথিবীর অনেক দেশেই আছে ভারতবর্ষে তো বটেই। হিন্দী সিরিয়্যল দেখলে প্রমান পাবেন। ইসলাম কাউকে বাধ্য করেনা একান্ন পরিবারে থাকতে। কিন্তু সমস্যার মূল হোতা নারী অর্থাৎ শাশুড়ী বা অন্য কোন মহিলা সদস্য যারা পুত্রবধুর প্রতি দূর্ব্যবহার করে ফলে সবাই মিলে একসাথে থাকা সমস্যা হয়। আবার পুত্রবধু যদি অতি বেশী প্রাইবেসী আসক্ত হন বা সেল্ফ সেন্টার্ড তথা অতিরিক্ত আত্মকেন্দ্রিক কিংবা ফ্যমিনিষ্ট মনবৃত্তির মহিলা হন তার পক্ষেও শাশুড় শাশুড়ীর সঙ্গে বাস করা অস্ম্ভব মনে হয়। তাহলে দেখা গেল উভয় ক্ষেত্রে সমস্যা আসে মহিলাদের পক্ষ থেকে। কিন্ত এখানে মনে রাখতে হবে ইসলাম মা বাবার প্রতি উত্তম দায়িত্বশীল হওয়াকে এবাদতের অংশ মনে করে। শুধু মাত্র বৌয়ের স্বার্থে বৃদ্ধ মা বাবাকে দূরে সরিয়ে রাখা বিরাট পাপ! কোন সন্তান বিয়ের পরেও তার মা বাবাকে নিজের ঘরে রেখে যে পূণ্য অর্জন করবে তা কখনও সমান নয় যদি তাদেরকে দূরে রাখে বা বৃদ্ধ আশ্রমে রাখে বরং তা হতে পারে স্বামী স্ত্রী উভয়ের জন্য মহা পাপ যদিও স্ত্রী বাহ্যত ইসলামী মনভাবাপ্ন হন। আসলে একজন আদর্শ স্বামীর দাযিত্ব হল মা বাবার প্রতি যেমন খেয়াল রাখা তেমনি স্ত্রীর প্রতিও যত্নবান হওয়া। এক চোখা না হয়ে ব্যল্যন্স রাখতে হবে। দূর্ভ্গ্যবশতঃ অনেকেই এ দায়িত্ব সুষ্টভাবে ম্যনেইজ করতে পারেন না। আর যে স্ত্রী তার স্বামীকে বাধ্য করে তার পিতামাতা থেকে দূরত্বে থাকতে তিনিও একজন অপরাধী হবেন আল্লাহর দরবারে এতে কোন সন্ধেহ নাই এবং এবং স্বামীও তার স্ত্রীর মা বাবার প্রতি সেবা করার সুযোগ না দিলে একইভাবে অপরাধী হবেন।

  6. Dear Kaniz Fatima
    Do you belive on Allah! Have you ever experinced any miracal ! Belive on allah it’s always comes from your heart, If you do ! it’s up to you ~! if you don’t it up to you !All your comment under bracket is very controversary. can you show me any law that you have to marrie as a women or man over or under age.Any country in the world have the law as a man you have to marrie younger then you or older than you. If you can answer this I have lot’s of refferance that I can place in frpnt of you
    Dear Nazmul huda it’s for you too…….

    • It appears a very strange comment. Does she have to experience miracle to believe in something? Where on earth have you got this idea from? It rather falls on your corner to explain first your side of the argument, if something bothers you. Please comment on what you perceive to be controversial in regard to what she asserted in the brackets. Why does she have to show you the evidence of a man marrying a woman older than him? What’s wrong with that? Was it something strange then, or even now? What is the reason here for evidencing something that is your problem rather than her? If you have something to say, you can put forward your argument with whatever evidences you might feel necessary to substantiate.

    • প্রিয় Hamid Haque Toronto canada, আমার ধারণা আপনি পোস্টের মূল বক্তব্য সঠিক ভাবে অনুধাবন করতে সক্ষম হন নাই! দীর্ঘদিন বিদেশে বসবাস করলে বাংলা ভাষা বুঝতে একটু অসুবিধা হতেই পারে। তাই আরও মনোযোগ দিয়ে পোস্টটি পড়বার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।

  7. যৌক্তিক প্রশ্ন! এবং প্রশ্নেই উত্তর দেওয়া আছে!! কাজেই নতুন করে আর কোন উত্তরের প্রয়োজন নেই বলে মনে করি। যাদের কাছে অন্য কোন উত্তর আছে, তাদের মতামত জানতে আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছি।
    চমৎকার পোস্ট আর প্রাসঙ্গিক প্রশ্নের জন্য ধন্যবাদ বোন কানিজ ফাতিমা।

মন্তব্য দেখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *