পিঁপড়ার শিক্ষা

আমার জন্ম কোনো শহুরে ডাক্তারের কিনিকে কিংবা হাসপাতালে হয়নি। হয়েছে গ্রামীণ পরিবেশে গ্রামের বাড়িতে টিনের চালাঘরে মাটির মেঝেতে। মাটিতে হামাগুড়ি দিয়েই আমি হাঁটতে শিখেছি। শিখতে গিয়ে আছাড় খেয়েছি, মাটিতে পড়েছি, আঘাত পেয়েছি, মাটিতে ভর করে আবার ওঠে দাঁড়িয়েছি। এই ‘পড়া’ আর ‘ওঠে দাঁড়ানো’ কেবল আমার শিশুবয়সের অভিজ্ঞতাই নয়, বরং এগুলো আমার চিরজীবনের জীবন সাথী। কিছু দিন পরপর তারা ঘুরেফিরে আসে আমার কাছে, জানান দেয় তাদের অস্তিত্বের কথা। ইদানীং পড়ন্ত বেলায় এসে নতুনভাবে অনুভব করি, আমার জীবনের উত্থান-পতনের সাথে সফলতা-ব্যর্থতা, সুখ-দুঃখ ও আনন্দ-বেদনা নিবিড়ভাবে জড়িয়ে আছে। এখানেই শেষ নয়, আরো বুঝতে পারি, এ সবই সমানভাবে আমার জীবনকে সমৃদ্ধ করেছে, করেছে বৈচিত্র্যে ভরপুর। বুড়ো বয়সের কথা যাই বলি না কেন, আমার ছেলেবেলার গল্পটা কিন্তু এখনো শেষ হয়নি, তাই আবার ফিরে যেতে চাই সেই সময়ে।

একটু বড় হওয়ার পর যখন খেলতে শিখেছি, তখন আমার হাতে কেউ রঙ-বেরঙের খেলনা ধরিয়ে দেয়নি। আমার খেলার প্রথম ও প্রধান উপকরণ ছিল মাটির ধুলো; মাটির উঠোনে মাটিতে বসেই খেলেছি। ধুলো দিয়ে একমুখী সুড়ঙ্গ তৈরি করে কবুতরের ঘর বানাতাম। সে ঘর কখনো আপনা-আপনি ধসে পড়ত, কখনো নিজেই ভেঙে দিতাম। খেলনা ছিল না বলে মাটি নিয়ে খেলায় কি আমার আনন্দ কম ছিল? মোটেও না! মাটিতে মাখামাখি করে বড় হয়েছি বলেই হয়তো মাটির প্রতি আমার এত টান। এর চেয়ে গূঢ় আরেকটা কারণও আছে। ‘মাটিতে আমার উৎপত্তি এবং মাটিতেই আমার শেষ পরিণতি’! অবশ্য এ কথা সবার বেলায়ই সমানভাবে সত্য।

মাটিতে বসে খেলতে খেলতেই একসময় পরিচয় হয় পিঁপড়ার সাথে। এক অর্থে বলতে পারি পিঁপড়াই আমার প্রথম খেলার সাথী, জীবনে চলার পথে প্রথম বন্ধু। গভীর কৌতূহল নিয়ে খেলা ফেলে প্রায়ই আমি পিঁপড়ার দিকে তাকিয়ে থাকতাম, তার গতিবিধি লক্ষ করতাম, তাকে অনুসরণ করতাম। দেখতাম, একই পথে বিপরীত দিকে চলার সময় দুই পিঁপড়া যখন এক জায়গায় মিলিত হয় তখন একটা আরেকটার মাথার সাথে ঠেকা দিয়ে ক্ষণিকের জন্য দুটোই থমকে দাঁড়ায়। তারপর আবার দু’দিকে দুই পিঁপড়া চলতে শুরু করে। আমার কাছে এই থমকে দাঁড়ানোর একটাই মানে হয়, অর্থাৎ একটা আরেকটাকে কানে কানে কিছু বলে যায়। পিঁপড়ারা যে কথা বলে তার তো প্রমাণ আছে পবিত্র কুরআনে। নবী সুলাইমান আ: একবার তাঁর সৈন্যসামন্ত নিয়ে কোনো এক পাহাড়ি উপত্যকা পার হওয়ার সময় শুনতে পেয়েছিলেন এক পিঁপড়ার সর্দার তার দলের সদস্যদের বলছে, ‘এই, তোরা তাড়াতাড়ি পথ ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে যা, সুলাইমান নবী আ: তাঁর দলবল নিয়ে আসছেন, তোদের পিষে মেরে ফেলবেন অথচ তাঁরা টেরও পাবেন না।’ পিঁপড়ার কথা শুনে আল্লাহ্র নবী মুচকি হাসি হেসেছিলেন।

পিঁপড়ার সাথে খেলতে গিয়ে আরো দেখতাম, সে অকারণে কখনো কোথাও দাঁড়িয়ে থাকে না, বসা-শোয়ার তো প্রশ্নই ওঠে না। সে অনবরত হাঁটছে, ছুটছে, চলছে তার কাজে, খাবারের সন্ধানে, খাবার আহরণে ও সংরক্ষণে। কোথাও খাদ্য কিছু পেলে, সে পেটুকের মতো একা একা গোগ্রাসে গিলতে চায় না, খায় না। সে কী করে? বয়ে নিয়ে যায় তার ডেরায়। এর দুটো অর্থ হতে পারে, ১. সে সহযোগীদের সাথে ভাগাভাগি করে খেতে চায়। ২. বর্তমানে কিছু খেয়ে, আগামী দিনের জন্য কিছু সঞ্চয় করে রাখতে চায়। সে যখন তার মাথার প্রথম বোঝা নির্দিষ্ট স্থানে ফেলে ফিরে আসে, তখন একা আসে না। তার পেছনে লাইন ধরে আসতে থাকে তার দলের আরো হাজারো পিঁপড়া। সবাই মিলে খাদ্যবস্তুটাকে ভাগাভাগি করে টানাটানি করে তারা বয়ে নিয়ে যায় তাদের নিরাপদ আস্তানায়।
সে বয়সে না বুঝলেও এখন বুঝি, পিঁপড়ার কাছে আমার অন্তত চারটা বিষয় শেখার ছিল।
প্রথমত, পিঁপড়া কখনো অলস বসে থাকে না। সে সবসময় কিছু না কিছু করছে অথবা পথ চলছে।
দ্বিতীয়ত, পিঁপড়া স্বার্থপর নয়, সে যা পায়, একা খায় না, অন্যদের সাথে মিলেমিশে ভোগ করে।
তৃতীয়ত, পিঁপড়ার কাছে বর্তমানের চেয়ে ভবিষ্যতের গুরুত্ব কোনো অংশে কম নয়। তাই সে খাবার পেলেই, তাৎক্ষণিক খিদে মেটাবার সাথে সাথে ভবিষ্যতের জন্য সংরক্ষণেরও চিন্তা করে।
সবশেষে, ‘একের বোঝা দশের লাঠি’, কথাটা পিঁপড়া, মানুষের চেয়ে ভালো বুঝে। আর তাই তো পিঁপড়ারা সব কাজ দল বেঁধে করে। খাদ্যকণা ছোট হলে একা মুখে করে বয়ে নিয়ে যায়, জিনিসটা বড় হলে কয়েকজনে মিলে টেনে নেয়। এ ছাড়াও তারা একত্রে জটলা বেঁধে সুতোর গুটলির মতো হয়ে পানির ওপর দিয়ে সহজেই খাল নালা পার হয়ে যায়। জীবনের শুরু থেকে যদি পিঁপড়ার কাছে পাওয়া এসব জ্ঞান কাজে লাগাতে পারতাম, তা হলে জীবনটা হতে পারত আরো সফল, সার্থক এবং সুন্দর!

কার কাছে জেনেছিলাম তা মনে নেই, তবে যখন বুঝলাম, মরা ফড়িং পিঁপড়ার খুব প্রিয় খাবার, তখন পিঁপড়ার সাথে খুব মনোযোগ দিয়ে আমি আরেকটা নিষ্ঠুর খেলা খেলতাম। রোদ-বৃষ্টিতে এ খেলা জমত ঘরের বারান্দায়, বিকেলে বাড়ির আঙিনায়। খেলাটা কেন নিষ্ঠুর ছিল সে কথা বলছি এখন। ফুল বাগানের কোনো গাছে অথবা বাঁশের বেড়ায়-বসা ফড়িং অতি সাবধানে চুপি চুপি ধরে নিয়ে আসতাম। (খালি হাতে যারা ফড়িং ধরেছেন তারা নিশ্চয়ই জানেন, কাজটা কতখানি কঠিন!) তারপর দু’হাত দিয়ে ফড়িংয়ের দুই ডানা ধরে বিপরীত দিকে হ্যাঁচকা টান মেরে নির্মমভাবে ফড়িংটাকে ছিঁড়ে ফেলতাম, সব শেষে তার অবশিষ্ট দেহটাকে টুকরো টুকরো করে মাটিতে চলমান পিঁপড়ার পথে ছড়িয়ে দিতাম।
কিছুক্ষণ পর দেখতাম দলে দলে পিঁপড়ারা এসে ছিন্নভিন্ন ফড়িংয়ের ওপর হামলে পড়ত। টেনে টেনে নিয়ে যেত গর্তের দিকে যেখানে থাকত তারা। ছোটবড় ফড়িংয়ের টুকরোগুলো টেনে নেয়ার সময় প্রকৌশলী পিঁপড়াদের বিভিন্ন জাতের কৌশল-কসরত দেখতে আমার খুব মজা লাগত; কিন্তু আমার জন্য যেটা ছিল মজার খেলা, পিঁপড়ার জন্য সেটা ছিল মোক্ষম সুযোগ এবং একই খেলা, নিরপরাধ ফড়িংয়ের জন্য ছিল জীবনমরণ সমস্যা।
খেলার আনন্দে আমি এমনভাবে মশগুল থাকতাম, আল্লাহ্র এক মখলুককে খাওয়াতে গিয়ে আরেকটাকে যে বধ করছিলাম সে কথা কখনো মনেই হতো না। এর অবশ্য দুটো কারণ থাকতে পারে।

প্রথমত, মানুষ হিসেবে আমরা প্রাণী বধ করেই তো মাছ-গোশত খেতে অভ্যস্ত হয়ে যাই। তাই তো এক প্রাণী মেরে আরেক প্রাণীর পেট ভরানোটা স্বাভাবিকই মনে হয়।
আরেকটা কারণ হতে পারে, অল্প বয়সের জন্য সে সময় এসব দার্শনিক তত্ত্বকথা মাথায় জায়গা পায়নি।

সেটাইবা বলি কী করে? আজ আমার বুদ্ধি হয়েছে কিনা জানি না, তবে বয়স তো বেড়েছে, আজো কি এ প্রশ্নের উত্তর জানি? আল্লাহ্র দুনিয়ায় কত প্রাণী আছে যাদের একটা অনবরত আরেকটাকে মেরে খেয়েই তো বেঁচে আছে।

এ প্রসঙ্গে প্রয়াত ড. জেমস হেফ্নার আমাদের ইউনিভার্সিটির প্রেসিডেন্ট থাকাকালে কোনো এক ফ্যাকাল্টি ইনস্টিটিউটে তার এক বক্তৃতায় বলেছিলেন, ‘আফ্রিকার গভীর জঙ্গলে চিতা ভোরবেলা ঘুম থেকে ওঠেই দৌড়াতে থাকে। কারণ তার শিকার, গ্যাজেলের চেয়ে সে যদি দ্রুত দৌড়াতে না পারে তাহলে সারাটা দিন তাকে উপস থাকতে হবে। একইভাবে গ্যাজেলের যখন ঘুম ভাঙে, সেও পাগলের মতো দৌড়াতে থাকে, কারণ সে যদি চিতাকে দৌড়ে হারাতে না পারে, তাহলে শিকারি বাঘের থাবায় তার মৃত্যু অবধারিত।’ সেদিন তিনি উপস্থিত ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকদের উদ্দেশে আরো বলেছিলেন, ‘No matter whether you are a Cheeta or a Gazelle, you better be running!’ অর্থাৎ তীব্র প্রতিযোগিতাময় আধুনিক জীবনে টিকে থাকতে হলে আলসেমির কোনো সুযোগ নেই। অনবরত নিজের যোগ্যতায় শান দিতে হয়, উদ্ভাবনী শক্তির বিকাশ ঘটাতে হয়, দক্ষতা ও উৎপাদন ক্ষমতা বাড়াতে হয়, কম খরচে নিত্য-নতুন ভালো জিনিস বাজারে ছাড়তে হয়। জীবনের এ এক অদ্ভূত দৌড়, এ এক অদ্ভুত পেরেশানি, কঠিন বাস্তবতা! এটাই প্রাকৃতিক, এটাই স্বাভাবিক, এটাই সার্বজনীন, এরই নাম ‘জীবনযুদ্ধ’! নাম না জানা আরেক মনীষী বলেছিলেন, ‘জীবনে যত পার কাজ করিয়া লও। মরণের পরে কবরে গেলে বিশ্রামের জন্য অফুরন্ত সময় পাইবে।’

এই দেখুন, বারবার প্রসঙ্গ ছেড়ে যাচ্ছি। পিঁপড়ার কথা আমার আরেকটু রয়ে গেছে। একটু ধৈর্য ধরে বাকিটাও আপনাদের শুনতে হবে। সম্প্রতি একটি ঘটনাকে অছিলা করে আমি চলে গিয়েছিলাম আমার বালকবেলায়। এই বুড়ো বয়সে এসে আবার মেতে উঠেছিলাম পিঁপড়াকে খাওয়ানোর পুরনো খেলায়। শুনুন সে খেলার বয়ান। একদিন আমার ইংল্যান্ড প্রবাসী বন্ধু মাহবুব একটা ই-মেল পাঠাল। এতে দেখা যায়, আমরা হামেশা যেসব খাবার খাই, তার মধ্যে বেশ কতগুলো আইটেম একেবারেই বিষতুল্য অর্থাৎ highly cancerous, অথচ না জেনে আমরা হরদম সেগুলো খেয়ে যাচ্ছি। তার মধ্যে যে ক’টার নাম মনে পড়ছে তা হলো, সাদা চিনি, সাদা ময়দা (সাদা ভাতও ভালো নয়), পটেটো চিপস, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, সোডা, টিনজাত টমেটো ইতাদি ইত্যাদি। তখন আমি মাঝে মধ্যে চায়ের সাথে সাদা চিনি এস্তেমাল করতাম। সেদিন ঠিক করলাম, সাদা চিনি খাওয়া একেবারেই ছেড়ে দেবো। ছোট্ট বোয়ামে সামান্য সাদা চিনি ছিল। চিনিগুলো ট্র্যাশক্যানে ফেললাম না। ভাবলাম, বাইরে রেখে দিলে পিঁপড়ারা খেয়ে ফেলবে। পিঁপড়াকে কেন চিনি খাওয়াতে চাইলাম, তারও একটা কারণ ছিল; কিন্তু সেদিকে আজ আর যাচ্ছি না। চিনির বোয়াম নিয়ে ঘরের বাইরে সিঁড়িতে গিয়ে পিঁপড়া দেখতে লাগলাম, বেশ খোঁজাখুঁজির পর পেলাম দু-তিনটা। একটার ওপর চিনিগুলো ঢেলে দিলাম। তারপর একটা মরা গাছের ডাল নিয়ে নেড়েচেড়ে চিনিচাপা পিঁপড়াটাকে উদ্ধার করলাম, চিনির কবর থেকে মুক্ত হয়েই বেচারা পিঁপড়া দৌড়ে পালাল। চিনি খাওয়া বা নেয়া তো দূরে থাক, চিনির প্রতি তার কোনো আকর্ষণই দেখলাম না। ভাবলাম, হয়তো চিনিচাপার ভয়ে সে পালিয়েছে। ছোট্ট কাঠিতে করে অন্য জায়গা থেকে আরেকটা পিঁপড়াকে বয়ে এনে ফেললাম একই চিনির স্তূপের ওপর। আবার তাজ্জব হয়ে দেখলাম, সেও চিনি খেল না, খেতে চাইলই না। কতক্ষণ পর খেলা ফেলে ঘরে চলে গেলাম। আধঘণ্টা পর আবার বের হলাম, ভেবেছিলাম গিয়ে দেখব হাজারো পিঁপড়া এসে চিনির ঢিবিতে ভিড় করেছে। এবারো হতাশ হলাম! আশপাশে পিঁপড়া হাঁটছে; কিন্তু কেউ চিনির ধারেকাছেও ঘেঁষছে না। সেদিন পিঁপড়াকে আমার চিনি খাওয়ানো হলো না। মনে মনে বললাম, আমার বাড়ির সব পিঁপড়া নিশ্চয়ই ডায়বেটিক রোগী; না হলে চিনি খাবে না কেন?
তারপর চলে গেল কয়েক দিন। সাংসারিক ব্যস্ততায় ডায়বেটিক পিঁপড়াদের কথা বেমালুম ভুলে গেলাম। আমি কিনে আনলাম অরগ্যানিক কোকোনাট সুগার। একটু ভেজাভেজা, দেখতে গুড়ের মতো। এখন আমি কোকোনাট সুগার দিয়েই চা খাই। এ রকম কেটে গেল কয়েক সপ্তাহ। হঠাৎ একদিন মনে হলো, আচ্ছা দেখি তো, পিঁপড়ারা কোকোনাট সুগার খায় কিনা। ওই দিন পিঁপড়া খোঁজাখুঁজি না করে চা চামচে এক চামচ কোকোনাট সুগার সিঁড়িতে রেখে এলাম। ১৫-২০ মিনিট পরে গিয়ে দেখলাম শত শত পিঁপড়া কোকোনাট সুগারের দানা মাথায় করে বয়ে নিয়ে যার যার আস্তানার দিকে বেহুঁশ হয়ে ছুটছে। তার মানে পিঁপড়ারা ডায়াবেটিক নয়। এখানে আপনাদের জন্য একটি প্রশ্ন, যে ‘সাদা চিনি’ পিঁপড়াও খায় না, সেটা আমরা খেতে যাবো কেন? ইচ্ছে হলে আপনারাও এই পরীক্ষাটা করে দেখতে পারেন।
আপনাদের কাছে শেষ সওয়াল রেখেই আমি আজকের মতো বিদায় নেবো। পবিত্র কুরআনে ১১৪টি সূরার মধ্যে একটির নাম ‘হাতি’ (১০৫ নম্বর : সূরা আল-ফিল) আরেকটা ‘পিঁপড়া’ (২৭ নম্বর : সূরা আন-না’ম্ল)। ‘পিঁপড়া’তে আছে তিরানব্বইটি আয়াত এবং তার চেয়ে লক্ষ-কোটি গুণ বড় সূরা ‘হাতি’ আল্লাহ তায়ালা মাত্র পাঁচ আয়াতেই শেষ করে দিয়েছেন। কখনো ভেবে দেখেছেন, রহস্যটা কী?

Loading


মন্তব্য দেখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *