নায়ক যখন ভিলেন হয়ে যায় !

কল্পনা করুন সমাজ সংস্কারের উদ্দেশ্য আপনি একটি  নাটক রচনা করেছেন সেখানে দেখা গেল দর্শকেরা আপনার  নায়ককেই ভিলেন হিসেবে মনে করছে তাহলে কি আপনার নাটকের উদ্দেশ্যটি পূরণ হবে?
পর্দায় নায়কের ভাগ্যে জোটে দর্শকের তালি। খলনায়কের ভাগ্যে জোটে প্রতি মুহূর্তে গালি।  
আজ ইসলামের ভাবমূর্তির পুনর্জাগনে অনেকের যে প্রচেষ্টা সেখানেও কিন্তু   একই অবস্থা দেখা যায়!
তাই দেখা যায় অনেকই তাদের মন মানসিকতায় ফিরে যেতে চায় পুরানো যুগের আস্তানায়!
আমরা  চাইলেও  কখনও আর সেই ঐতিহাসিক পুরানো যুগে ফিরে যেতে পারব না। সে সব যুগের অনেক বাস্তবতা আজকে আর নাই । তার আকর্ষণও  নাই এ যুগের মানুষের কাছে।
তাই অযথা সেগুলোকে ধর্মের দোহাই দিয়ে সে যুগের সবকিছুকে পবিত্র করার প্রচেষ্টা কোন ধার্মিকতা নয় কিংবা জ্ঞানের লক্ষণও নয়।
অধিকন্তু, “আমরা বনাম ওরা” বলার  সে যুগের যুদ্ধংদেহী বাস্তবতায় ছিল বিভিন্ন অঞ্চলের গোত্রীয়  প্রাধান্যতা ও জাতিসত্তা টিকিয়ে রাখার সাথে সম্পৃক্ত। আজ সে সবের  প্রয়োজন  নাই। 
আজকের বাস্তবতা হচ্ছে “ন্যশন স্টেট” বা ভৌগলিক জাতীয়তা। এখানে রাষ্ট্রে  সকল ধর্মের ও বর্ণের মানুষের সমান অধিকার। আজকের ভূরাজনৈতিক পরিবেশে একে হারাম বলেও কোন লাভ হবে না।  আজকের সমস্যা আজকের বাস্তবতার প্রেক্ষিতেই সমাধান করতে হবে।
তা না করতে গেলে অযাচিত সমস্যার সৃষ্টি হবেএবং  যারা করতে  চাচ্ছে সেখানে সাম্প্রদায়িকতা প্রকাশ পাচ্ছে তা একটি  সুস্থ সমাজের কাম্য হতে পারেনা।
আজ মানুষ সে সব দেখতে চায় না। সে জন্য ট্রাম্পকে মানুষ ঘৃণা করে ভারতের মুদিকে ধিক্কার দেয়।  কিন্তু ট্রাম্প ও মুদি একা নয় এদের আছে অসংখ্য  ভক্ত ও সমর্থক। প্রশ্ন হচ্ছে এদের এত সংখ্যক সমর্থক গড়ে উঠলো কিভাবে? খুঁজে দেখুন এর পিছনে কাজ করছে হয় তাদের ধর্মীয় আবেগ না হয় বর্ণবাদ মানসিকতা ও মিথ্যা প্রচার ।
আজকের ভুরাজনৈতিক বাস্তবতায় মুসলিমরা বিশ্বে  সবচেয়ে নির্যাতিত জনগুষ্টি
 এমন  কি  বিশ্বের বুকে সংখ্যাগরিষ্ঠ  মুসলিম দেশ  হিসাবে পরিচিত কোন দেশই অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামরিক ক্ষেত্রে শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে নাই। যদিও সে সব দেশে আল্লাহ দিয়েছেন অনেক প্রাকৃতিক সম্পদ ও জন সম্পদ। কিন্তু সে সব দেশে কোন গণতন্ত্র, ন্যায় বিচার, আইনের শাসন কোন সিস্টেমই কাজ করেনা বা করতে দেয়া হয় না।
 আর  সে সব সম্পদে  সাম্রাজ্যবাদীদেরকে পরোক্ষভাবে অংশ দিতে মুসলিম দেশে দেশে সৃষ্টি হয়েছে স্বৈরাচারী সরকার ও রাজতন্ত্র এবং চলছে নোংরা রাজনীতি।  যার উদ্দেশ্য হচ্ছে কোন মতে ক্ষমতায় ঠিকে থেকে সীমাহীন দুর্নীতি করা, অবৈধ সম্পদের পাহাড়  গড়া এবং সে অর্থ বিদেশে পাচার করা।
 সে যাক আমাদের এখানে রাজনৈতিক বক্তব্য দেয়া উদ্দেশ্যে নয়। আমাদের চিন্তা অন্য-খানে।
আমরা জানি বিশ্বের প্রায় সব অমুসলিম দেশেই মুসলমানেরা নানা ভাবে চাপের মুখে। কোথাও কোথাও সরাসরি হত্যা-নির্যাতনের শিকার। মুসলমানেরা এখন তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন।
 কয়েক বছর আগেও যেসব ভারতীয় মুসলিমরা সবচেয়ে বড় গণতন্ত্রের দেশের নাগরিক হিসাবে গর্ববোধ করতেন এখন তারাও বলছেন যে তারা আছেন খুব চাপের মুখে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর সেদেশে মুসলমানদের উপর চাপ আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে।
ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর সাতটি মুসলিম দেশের নাগরিকদের বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিয়ে বুঝিয়ে দেন মুসলমানরাই তার প্রধান টার্গেট। গণতন্ত্রে গণশাস্তি দেওয়ার কোনো বিধান নেই। কিন্তু সাত মুসলিম দেশের সব নাগরিকের বিরুদ্ধে এমন শাস্তিরই আদেশ দেন ট্রাম্প। ভারত সরকার সারা দেশে জাতীয় নাগরিক-পঞ্জি বা এনআরসি ঘোষণা দেয়ার পর  সে দেশের মুসলিম নাগরিকরা যে হয়রানির শিকার হওয়ার আশঙ্কা করছেন তা আমরা জানিযদিও ভারত সরকার বলছে, এ ধরণের কোনো আশঙ্কা নেই।  কিন্তু বাস্তবে বিশ্বের মানুষ দেখছে ভিন্ন চিত্র।
ইউরোপেও মুসলমানদের অবস্থা খুব একটি ভাল নয়
তাই আজ সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হচ্ছে, মুসলিমরা কিভাবে এ নাজুক অবস্থা থেকে মুক্তি পাবে এবং এ বিশ্বে নিজেদের অবস্থানকে সুদৃঢ় করতে পারবে?‌
তাই আজ সময় এসেছে  পিছনের দিকে না তাকিয়ে সামনের দিকে তাকানো। আমাদেরকে দেখতে হবে আমাদের মত এরকম দুরবস্থায় কি কেউ পড়েছিল যা থেকে তারা মুক্তি পেতে পেরেছে? একটু চিন্তা করলেই সে উদাহরণ পাওয়া যাবে।
দেখুন ইহুদী একটি ছোট জাতি কীভাবে এক শতাব্দীরও কম সময়ে কত শক্তিশালী হয়ে উঠেছে যে পুরো পশ্চিমা শক্তি এখন তাদের পায়ে চুমু খায়।
একটু ভাবুন কীভাবে তারা এ অবস্থায় পৌঁছল কিভাবে তারা এ শক্তি অর্জন করতে পারল
তাদের শক্তিশালী হওয়াটা কার  জন্য ভাল না খারাপ তা বিবেচ্য নয় তবে তারা তাদের শক্তিকে যে সুসংহত করতে সক্ষম হয়েছে সেটি তো অস্বীকার করার উপায় নাই?
ইহুদীরা অন্যের কাছে তাদের ধর্মকে বন্দক দিতে হয় নাই কিংবা তাদের ধর্ম থেকে যারা সরে গিয়েছে বা অবিশ্বাস করছে তাদেরকেও তারা ফেলে দেয় নাই।
তারা নীরবে নির্জনে কাজ করেছে আজও করে যাচ্ছে যা প্রযুক্তি ও  বিজ্ঞান চর্চায় রাখছে বিরাট অবদান।
মানুষ আল্লাহর খলিফা হওয়া মানে এটি নয় যে এখানে খিলাফত কায়েম করতে হবে বরং পশু পক্ষী যা পারেনা মানুষ তার জ্ঞান বুদ্ধি দিয়ে তা অর্জন করতে যে পারে সেটিই হচ্ছে মানুষ যে আল্লাহর খলিফা তার প্রমাণ।
আজ মানুষ চাঁদে যেতে পারছে। আরামে বসে আকাশে উড়ে এক দেশ থেকে অন্য দেশে যেতে পারছে, মানব দেহের অনেক কঠিন রোগ নিরাময়ের ঔষধ তৈরি করতে পারছে, পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে নিমিষে কথা বলতে পারছে, নিজের ছবি  ভিডিও আদান প্রদান করতে পারছে এ সবই হচ্ছে মানুষকে যে আল্লাহ খলিফা করে পাঠিয়েছেন সে বৈশিষ্ট্যের বহি:প্রকাশ।
এ ছাড়া  কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স  দিয়ে মানুষের পক্ষে আরো কত কিছু করার অপার সম্ভাবনা যে অদূর ভবিষ্যতে পড়ে আছে তা সময়ই বলে দিবে।
মানুষ চেষ্টা করলে কি না পারে সেটিই হচ্ছে খলিফার  বৈশিষ্ট্যে এবং মানুষ তা দেখাতে পারছে। অদূর ভবিষ্যতে আরো কত কিছু হবে অনেকেই জানেনা, কিন্তু হবে।
আজ যদি মুসলিমদেরকে সত্যি যদি শক্তিশালী হতে হয় তবে প্রথম কাজ হচ্ছে আমাদেরকে  নীরবে নির্জনে জ্ঞান অন্বেষণে নিয়জিত হতে হবে।
তাই আজ মুসলিমদের রাস্তা একটিই তা হল মানব সভ্যতার অগ্রগতিতে এমনভাবে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে হবে সৃজনশীল প্রতিভার শ্রেষ্ঠত্বের সন্ধানে যাতে নিজেদের অবস্থানকে সভ্যতার উন্নয়নে অপরিহার্য বলে বিবেচিত হয় সকল দলমত ও ধর্মের মানুষের কাছে। অর্থাৎ সার্বজনীন গ্রহনযোগ্যতা অর্জন করা যায় বিশ্ব দরবারে।
বৃক্ষ তোমার নাম কি,ফলে পরিচয় — A tree is known by its fruit.
সে লক্ষে সংগঠন ও সংস্থ বা কোন দল করতে চাইলে আরো ভাল তবে সেটি হতে হবে অরাজনৈতিক তা না হলে ক্যাডার ভিত্তিক রাজনীতির আরেক কোন্দল সৃষ্টি হবে। কাজের কাজ কিছুই হবে না বরং নায়ক তখন ভিলেন রুপে প্রকাশিত হবে।

পরিসংখ্যান কথা বলে

সাউথ আফ্রিকার আল বারাকার ব্যন্কের ডাইরেক্টর জেনারেল, জনাব হাফেজ এ বি এম মোহাম্মদের এক ভাষন থেকে কিছু উদৃতি দিয়ে আজকের পোষ্টটি উপস্থাপন করলাম। 

বিশ্বের জনসংখ্যাতাত্ত্বিক কিছু ভাবনা।

পৃথিবীর ইহুদী জনসংখ্যা ১৪ মিলিয়ন

৭ মিলিয়ন আমেরকিায়
৫ মিলিয়নএশিয়ায়
২ মিলিয়নইউরোপে
১০০ হাজার অফ্রিকায়

বিশ্বের মুসলিম জনসংখ্যা : ১.৫ বিলিয়ন

১ বিলিয়নএশিয়া/মধ্য প্রাচ্যে
৪০০ মিলিয়নআফ্রিকায়
৪৪ মিলিয়নইউরোপে
৬ মিলিয়নআমেরিকায়
  • প্রতি পাঁচ জন মানুষের মাঝে  ১ জন মুসলিম।
  • প্রতি একজন হিন্দুর তুলনায় ২ জন মুসলিম।
  • প্রতি একজন বোদ্ধিষ্টের তুলনায় ২ জন মুসলিম।
  • প্রতি একজন ইহুদীর তুলনায় ১০৭ জন মুসলিম।

কিন্তু তা স্বত্তেও  মাত্র ১৪ মিলিয়ন ইহুদী ১.৫ বিলিয়ন মুসলিমদের তুলনায় অনেক বেশী শক্তিশালী এবং বিশ্বের শক্তিশালী প্রতিটি রাষ্ট্রের বৈদেশিক নীতি চলে তাদের স্বার্থে।

প্রশ্ন হল কিভাবে? 

এ প্রশ্নের উত্তরের আগে আসুন আরো কিছু তথ্য দেখি:

আধুনিক বিশ্বের মানব ইতিহাসে যারা ভুমিকা রেখেছেন তারা কারা?

Albert Einsteinইহুদী
Sigmund Freudইহুদী
Karl Marxইহুদী
Paul Samuelsonইহুদী
Milton Friedman         ইহুদী

চিকিৎসা শাস্ত্রে যারা মাইলফলক রেখেছেন তারা কারা?

Vaccinating NeedleBenjamin Rubenইহুদী
Polio VaccineJonas Salkইহুদী
Leukemia DrugGertrude Elionইহুদী
Hepatitis BBaruch Blumbergইহুদী
Syphilis DrugPaul Ehrlichইহুদী
Neuro muscularElie Metchnikoffইহুদী
EndocrinologyAndrew Schallyইহুদী
Cognitive therapyAaron Beckইহুদী
Contraceptive PillGregory Pincusইহুদী
Understanding of Human EyeG. Waldইহুদী
EmbryologyStanley Cohenইহুদী
Kidney DialysisWillem Kloffcameইহুদী

নবেল পুরস্কার বিজয়ী :
বিগত ১০৫ বছরে ইহুদীর মাঝে নবেল পুরস্কার বিজয়ী হচ্ছেন ১৮০ জন
অতচ  ১.৫ বিলিয়ন মুসলিমদের অর্জন হচ্ছে ৫ টি নবেল পুরস্কার!

যে সব আবিষ্কারকেরা প্রযুক্তির ইতিহাস সৃষ্টি করলেন তারা কারা?
Micro- Processing ChipStanley Mezorইহুদী
Nuclear Chain ReactorLeo Szilandইহুদী
Optical Fibre CablePeter Schultzইহুদী
Traffic LightsCharles Adlerইহুদী
Stainless Steel                     Benno Straussইহুদী
Sound Movies                       Isador Kiseeইহুদী
Telephone MicrophoneEmile Berliner                 ইহুদী
Video Tape RecorderCharles Ginsburgইহুদী

বিশ্বে প্রভাবশালী কয়েকজন ব্যবসায়ী ব্যক্তি:
PoloRalph Laurenইহুদী
Coca ColaWarren Edward Buffett ইহুদী
Levi’s JeansLevi Straussইহুদী
Starbuck’sHoward Schultzইহুদী
GoogleSergey Brin                    ইহুদী
Dell ComputersMichael Dell ইহুদী
Oracle                  Larry Ellisonইহুদী
DKNY                   Donna Karanইহুদী
Baskin & Robbins  Irv Robbinsইহুদী
 Irv RobbinsBill Rosenberg       ইহুদী

বিশ্বের ইহুদী দানশীল ব্যক্তি:
George Soros
Walter  Annenberg

পুরা মুসলিম বিশ্বে (৫৭ টি দেশ) মানসম্মত বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা মাত্র পাঁচ শত।
আমেরিকার একাই আছে ৫,৭৫৮ ইউনির্ভাসিটি  ভারতে আছে ৮,৪৭০টি

গড় পড়তা শিক্ষার হার:
শিক্ষার হার ক্রিষ্টান বিশ্বে ৯০%
শিক্ষার হার মুসলমি দেশে ৪০%
১৫টি  ক্রিষ্টান সংখ্যা গরিষ্ট দেশের শিক্ষার হার ১০০% শিক্ষিত 
১০০% শিক্ষিত মুসলিম দেশ সংখ্যা : একটাও নাই!
৯৮% ক্রিষ্টান দেশের লোক কমপক্ষে প্রাইমারী স্কুল পর্যন্ত পড়ালেখা শেষ করেছে
মুসলমি বিশ্বের মাত্র ৫০%  প্রাইমারী স্কুল পর্যন্ত পড়ালেখা শেষ করতে সক্ষম হয়েছে।
৪০% ক্রিষ্টান সংখ্যা গরিষ্ট দেশের মানুষ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়ন করেছে
আর মুসলমি দেশে দশমিক অর্থাৎ পয়েন্ট ২%  বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত অধ্যায়ন করতে পেরেছে।
 এবার দেখুন বিজ্ঞানির হার:
মুসলিম দেশের গড়পড়তা ২৩০ জন বিজ্ঞানি প্রতি দশ লক্ষ বা এক মিলিয়ন মুসলমিদের মাঝে। 
অমেরিকাতে ৫০০০ বিজ্ঞানি পাওয়া যাবে প্রতি মিলিয়নে।
ক্রিষ্টান বিশ্বে ১০০০ টেকনেশিয়ান পাওয়া যায় প্রতি মিলিয়নে।  
পুরা আরব বিশ্বে মাত্র ৫০ জন টেকনেশিয়ান  পাওয়া যায় প্রতি মিলিয়নে।  
রিচার্স ও জ্ঞানবিজ্ঞান উন্নয়নে মুসলিম বিশ্ব খরচ করে দশমিক ২% জাতীয় আয়ের/GDP.
খৃষ্টান বিশ্ব এ খাতে জাতীয় আয়ের/GDP ব্যয় করে ৫%।

হাইটেক সামগ্রির রপ্তানির পরিমান ০.৯% পাকিস্থানে, ০.২% সৌদী আরব, কুয়েত, মরক্কো ও আলজেরিয়া ০.৩%।
আর অমুসলিম ছোট্ট দেশ সিঙ্গাপুর একাই ৬৮%।

এভাবে অন্যান্য খাতের বেলায় আরো খারাপ পরিসংখ্যান প্রকাশ পায় তাই আলোচনা দীর্ঘায়িত না করে একথা বলা যায় মুসলিম সমাজ যে প্রক্রিয়ায় চলছে তার পরিবর্তন করতে না পারলে ভবিষ্যত অন্ধকার।

একি কাজ একি পদ্ধতীতে সবসময় করে যারা আশা করে ভিন্ন রিজাল্ট তারা আসলে বাস করেন বোকার স্বর্গে।
তাই আজ সময় এসেছে বাক্সবন্ধী মানষিকতার আসান করে সমাজে যুগোপযুগী নতুন নেতৃত্ব প্রতিষ্টার।

উপরোক্ত পরিসংখ্যানের কথা শুনে মুসলিম হিসাবে হয়ত  কারো মনে দুঃখ লাগবে আর কেউ হয়তবা বলবেন তো কি হয়েছে দুনিয়ায় এত সফলতা অর্জন মুসলিমদের কাম্য নয় বরং  আখেরাতের সফলতা পেতে মনোনিবেশ করাই আমাদের কর্তব্য। তবে দুনিয়ার সফলতা অর্জনে আখেরাতের সফলতা অর্জন বিফল  হয়ে যাবে মনে করা কি ঠিক হবে? মহান আল্লাহ তো তাঁর বান্দাকে দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যান চাইতে দোয়া  শিখিয়েছেন। “রাব্বানা আতিনা ফিদ দুনিয়া হাছানা ওযা ফিল আখিরাতি হাছানা” আর আল্লাহ এ কথাও কোরআনে বলেন যে  আল্লাহ কোন জাতিকে সাহায্য করেন না যে তার অবস্থার পরিবর্তনে নিজে চেষ্টা না করে। আল্লাহ তো তাঁর বান্দাকে  সৎ কাজের আদেশ ও মন্দ কাজের প্রতিহত করার কথা বলেন। অতএব,পৃথিবীতে শক্তিশালী জাতি হিসাবে দাড়াতে না পারলে মন্দ কাজ কি ভাবে প্রতিহত করা সম্ভব?
বটম লাইন হল,মুসলিমদেরকে জ্ঞান-বিজ্ঞানে অগ্রসর হতে হবে বিশ্ব জয়ের উদ্দেশ্যে নয় বরং জাতি হিসাবে নিজেদেরকে স্মার্ট ও বুদ্ধিমান প্রমান করে বর্তমান সভ্যতায় অবদান রাখতে  এবং পৃথিবীর বুকে নিজেদের সম্মান ও মর্যাদা বৃদ্ধির মধ্যামে আদর্শ জাতি হিসাবে অস্থিত্ব রক্ষার স্বার্থে সেই সাথে  মানুষ যে আল্লাহ খলিফা তার বৈশিষ্ট্যতা  প্রকাশ করতে।

Comments are closed.