রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীকে হুমকির অভিযোগে গ্রেপ্তার
ঢাকা, মার্চ ১৫ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও বিজিবি মহাপরিচালককে হুমকির অভিযোগে বৃহস্পতিবার এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
আবদুল আলীম নামে ওই ব্যক্তিকে ১০ দিন হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদে (রিমান্ড) পুলিশের আবেদন মঞ্জুর করেন ঢাকার মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নূর।
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৪ মার্চ পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির একান্ত সচিব, রাষ্ট্রপতির কার্যালয়, প্রধানমন্ত্রী ও বিজিবির মহাপরিচালকের সরকারি মোবাইল ফোনে এসএমএসে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বৃহস্পতিবার সকালে।
মেসেজের মাধ্যমে দেশে বিশৃঙ্খলা ও গণঅভ্যুত্থানের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে যাত্রাবড়ি থেকে র্যাব ও ডিজিএফআই সদস্যরা তাকে গ্রেপ্তার করে থানায় সোপর্দ করে।
এরপর ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আলীমকে আদালতে হাজির করে তার রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা যাত্রাবাড়ি থানার পরিদর্শক মাজহারুল ইসলাম।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, এ রকম হুমকি দেওয়ার কারণ ও এর পেছনে কারা রয়েছে সে সম্পর্কে তথ্য জানতে আসামিকে ১০ দিন পুলিশের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।
জিডিতে বলা হয়, ২০০৯ সালে রাজধানীতে পিলখানায় সেনা হত্যাকাণ্ডে সাংসদ ফজলে নূর তাপস ও প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানকের সহযোগিতা ও পরিকল্পনায় ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করা হয় বলে বার্তায় বলা হয়।
“এ ধরনের ক্ষুদে বার্তার [এসএমএস] মাধ্যমে আলীম দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা ও গণঅভ্যুথানের হুমকি দেয়।”
২০০৯ সালের ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় বিডিআর (বর্তমান বিজিবি) সদরদপ্তরে বিদ্রোহের ঘটনা ঘটে। ওই সময় সেখানে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ অন্তত ৭৩ জনকে হত্যা করা হয়।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/পিবি/পিডি/২১৪৬ ঘ.
http://www.bdnews24.com/bangla/details.php?cid=2&id=188763&hb=2
************************************
বার্তায় দুই জনকে(তাপস, নানক) দোষী বললে কিভাবে হাসিনা ও জিল্লুর কে হুমকি দেওয়া হল? আর গণ-অভ্যুত্থানও যে ঘটাবে সেটাও স্পষ্ট নয়। বিজিবি প্রধানের সরকারী মোবাইল নাম্বার আলীম কিভাবে পেল? আমরা দেখেছি ২০০৯ সালে পিলখানা বিদ্রোহের পর ডজনের উপর বিদ্রোহী বিডিআর সদস্য গ্রেফতার হয়ে রিমান্ডে মৃত্যু হয়েছে। পিলখানার অস্ত্র লুট ও কিলারদের বড় অংশকে লেদার লিটন পার করে দেয়। কিন্তু লিটন RAB এর হাতে গ্রেফতার হয়েও তাকে সরকার ছাড়িয়ে দেশ হতে পালাতে সাহায্য করে। সঠিক সময় তথা সময় থাকতেও কেন পিলখানায় সেনা প্রেরিত হল না তার কোন সন্তোষ বা যৌক্তিক উত্তর কেউ দিতে পারেনি। এখন বিরোধী দলের আন্দোলন এবং আল্টিমেটামকে ঘিরে এই ধরণের আরো রহস্যজনক কান্ড ঘটতে পারে। ঠিক যেমন গত বছর ২০১১র ডিসেম্বেরে তথাকথিত সেনা অভ্যুত্থান! যা আজ পর্যন্ত জানা গেল না কি তার পটভূমি।
ভাল প্রশ্ন করেছেন! কিন্তু জবাব দেবে কে?
লিখুন লিখতে থাকুন।