দলে গণতন্ত্র নেই কেন?

আজকের নিবন্ধের শিরোনামে আমি যে প্রশ্ন তুলেছি সেটা আমার একার নয়, অনেকের। প্রশ্নটি যে আজই হঠাত্ মাথায় এসেছে তাও নয়, বরং এ জিজ্ঞাসা আমাদের মনে ঘোরপাক খাচ্ছে বহু দিন ধরে, বহু বছর থেকে। এ প্রশ্নের সঠিক উত্তর বের করে তার শিগ্গির বিহীত জরুরি, নতুবা বাংলাদেশের গণতন্ত্র পূর্ণতা পাবে না। আর অসম্পূর্ণ গণতন্ত্র কখনো দেশ ও জাতি গঠনে সফল ভূমিকা রাখতে পারে না, জনগণের জন্য সার্বিক কল্যাণ বয়ে আনতে পারে না। তাই গুরুত্বের সাথে বিষয়টি সকলের, বিশেষ করে প্রধান দলগুলোর কর্তা ব্যক্তিদের গভীর চিন্তাপ্রসুত বিবেচনার দাবি রাখে। দলের ভেতরে গণতন্ত্রহীনতা নিয়ে সম্প্রতি বেশ লেখালেখি হচ্ছে। কয়েকটি প্রকাশিত কলাম জাতীয় দৈনিকের পাতায় অনেকের সাথে আমিও পড়েছি। সমস্যার ব্যাপকতা এবং গভীরতা কলামনিস্টরা (কলামিন্ট নয়) ভালভাবেই তুলে ধরেছেন। কিন্তু এর সমাধান কোথায়, কীভাবে বদলানো যায় দল পরিচালনার বর্তমান কুসংস্কৃতির ধারা, তার কোনো নির্ভরযোগ্য বিশ্লেষণ আমার চোখে পড়েনি। আজকের এই নিবন্ধে আমিও সমাধানের দিকে যাব না। যে কোনো সমস্যার সমাধানের আগে তার কারণগুলো সঠিকভাবে সনাক্ত করতে হয়। বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলের অভ্যন্তরে গণতন্ত্র চর্চা নেই কেন, তার দু’ একটি কারণ সম্বন্ধে আমি আমার কিছু চিন্তাভাবনা পাঠকদের সঙ্গে শেয়ার করতে চাই।

দেশে ছোট বড় অনেকগুলো রাজনৈতিক দল আছে, কিন্তু দুঃখের বিষয় কোনোটিতেই ষোলো আনা গণতন্ত্রের চর্চা নেই। তবে এ ব্যাপারে ছোট দলগুলোর অবস্থা বড় দলের চেয়ে কিছুটা ভাল। আমি আমার আজকের আলোচনা প্রধান দুই রাজনৈতিক দল অর্থাত্ আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখতে চাই। আওয়ামী লীগ দাবি করে তারা দেশের সবচেয়ে বড় দল, বিএনপি মনে করে তারাই এক নম্বর। আমার মতে জনসমর্থনের দিক থেকে দু’দলের অবস্থানই মোটামুটি সমান সমান। আমি বিএনপির আগে আওয়ামী লীগের নাম বলি দুই কারণেঃ প্রথমত, আওয়ামী লীগ বিএনপির চেয়ে বয়সে বড়; এবং দ্বিতীয়ত, বর্ণমালার ক্রমানুসারেও আওয়ামী লীগ বিএনপির আগেই আসে।

জনপ্রিয়তায় সবার সেরা হলেও উভয় দলের ভেতরে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও গণতন্ত্র চর্চা খুবই সীমিত। বিভিন্ন স্তরে অধিকাংশ সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় কিছুটা আলাপ আলোচনার পরিবেশ থাকলেও, কমিটি নির্বাচন কিংবা মনোনয়নের ক্ষেত্রে দলগুলোর মধ্যে গণতন্ত্রের কোনো ছিটেফুঁটোও দেখা যায় না। কেন দেখা যায় না? তার অনেকগুলো কারণ থাকতে পারে। আমি মাত্র দু’টি কারণ সনাক্ত করতে পেরেছি। আমার ধারণা এবং ব্যাখ্য বিশ্লেষণ কতটা বস্তু নির্ভর ও সঠিক সে বিচার পাঠকদের ওপরই রইল।

প্রশ্নটির উত্তর খুঁজতে হলে প্রথমে বুঝতে হবে যে উভয় দলের মূল নেত্রীগণ নিজ নিজ দলের ভেতরে সকল প্রকার আলোচনা-সমালোচনা, তর্ক-বিতর্ক, এবং জবাবদিহীতার ঊর্ধ্বে। এবং এটা অনেকটা ধ্র“ব (অ্যাবসোলিউট) অর্থে সত্য। তারও আছে ঐতিহাসিক কারণ। দুই দলের দুই নেত্রী দুই ঐতিহ্যবাহী পরিবারের উত্তরসূরি ও প্রতিনিধি। এই দুই পরিবারের সাথে বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণের মায়া মমতা এবং দূর্বলতা যতটা না যৌক্তিক তার চেয়ে অনেক বেশি আবেগের। আবেগ বেশি হলেও যুক্তি যে একেবারে নেই তা কিন্তু ঠিক নয়। নিজ নিজ সমর্থকের কাছে এই দুই পরিবারের দুই প্রাণপুরুষ বিশাল মাপের দু’জন মানুষ, অবিসংবাদিত মহান নেতা। তাঁদের দেশপ্রেম, সততা, সাংগঠনিক শক্তি, ক্যারিজমা, দেশের জন্য তাঁদের অবদান, এবং ত্যাগ তিতিক্ষা তাঁদের সংগঠন ও সংগঠনের সমর্থকদের কাছে প্রশ্নাতীত। দু’জনই চরম মূল্য দিয়ে জনগণের কাছ থেকে তাঁদের ভালবাসা নিজ নিজ পরিবারের জন্য স্থায়ীভাবে কিনে রেখে গেছেন। বর্তমানে ওই দুই পরিবারের দুই নেত্রী তারই অফুরন্ত ডিভিডেন্ড ভোগ করছেন। অবশ্য এই বলে আমি শেখ হাসিনা এবং খালেদা জিয়ার ত্যাগ, যোগ্যতা, ও অবদানের কথা অস্বীকার করছি না বা খাটো করে দেখছি না। কিছু কিছু অযাচিত ভুল ভ্রান্তি ও দূর্বলতা থাকা স্বত্বেও, তাঁরাও তাঁদের নিজস্ব যোগ্যতার পরীক্ষায় বলা চলে মোটামুটি সফলভাবেই ঊত্তীর্ণ হয়েছেন। তবে আগামী দিনে তাঁদের পরবর্তী প্রজন্ম কেমন করবেন তা এখনো পুরাপুরি স্পষ্ট নয়। দুই দলের তৃণমূল নেতাকর্মী ও সমর্থকদের কমিট্মেন্ট যতটা না তাদের দলের নীতি-আদর্শের প্রতি তার চেয়ে অনেক বেশি সংশ্লিষ্ট পারিবার ও পরিবারের প্রতিনিধিদের প্রতি। আর উভয় দলেই গণতন্ত্রহীনতার মূল বীজ এখানেই। অর্থাত দুটো দলই দুই ব্যক্তির উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত পারিবারিক সম্পত্তি। দলে তাঁদের প্রভাব, প্রতিপত্তি, ও ক্ষমতা নিরঙ্কুশ কিংবা একচেটিয়া।

দুই দলের নীতি আদর্শ ও মৌলিক সিদ্ধান্ত সব সময়ই ঘোরপাক খায় এই দুই ব্যক্তিকে কেন্দ্র করে। যারাই এই দুই দলের রাজনীতি করেন, যারাই কর্মী থেকে ছোট নেতা, মাঝারী নেতা, এমপি, মন্ত্রী, কেন্দ্রীয় নেতা, বড় নেতা হন, সবাইকে একই তরিকা অনুসরণ করতে হয়। অর্থাত নেত্রীর অনুগ্রহ ও আশির্বাদ নিয়ে নিচ থেকে উপরে উঠতে হয়, এর কোনো ব্যত্যয় নেই, নেই কোনো বিকল্প। দলের ভেতরে কোনো স্বয়ংক্রিয় মেক্যানিজম বা পদ্ধতি নেই যে কেউ নিজ গুণে তার সততা, নিষ্ঠা, কর্মক্ষমতা, সাংগঠনিক দক্ষতা, ও জনপ্রিয়তার সিঁড়ি বেয়ে নেত্রীর চোখের আড়ালে মই বেয়ে উপরে উঠে আসতে পারবে নেত্রীর কাছে। যে যত বড় কর্মী বা নেতা হন না কেন, যে মহূর্তে নেত্রী তাঁর ওপর বিগড়ে যাবেন সে মুহূর্ত থেকে তাঁর রাজনৈতিক জীবনের পরিসমাপ্তি ঘটতে পারে। বিগড়ে যাওয়াটা যৌক্তিক না অযৌক্তিক তাতে কিছু যায় আসে না। এমন ঘটনার ভূরি ভূরি উদাহরণ আছে। নাম নিয়ে কাউকে আমি বিব্রত করতে চাই না।

এখানে একটি কথা আরো পরিষ্কার করা প্রয়োজন। শুধু শুধু আনুগত্য বা চাটুকারিতা দিয়েও কিন্তু নেত্রীদের মন জয় করে নিচে থেকে উপরে ওঠা যায় না। নেত্রীরাও আজকাল এত বোকা নয়। আনুগত্য এবং বিশ্বস্ততা আবশ্যিক শর্ত (নেসেসারি কন্ডিশন) মাত্র, তবে যথেষ্ট (সাফিশিয়েন্ট) নয়। দলের ভেতরে মই বেয়ে উপরে উঠতে হলে আনুগত্যের সাথে সাহস, সাংগঠনিক যোগ্যতা, এবং কর্মক্ষমতারও প্রয়োজন। তবে দুএকটি বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে দুই দলেই যে এর কোনো ব্যতিক্রম হয়নি এমনটিও নয়। কী কারণে? কিসের জোরে? সে কথা আর খোলাসা করে নাইবা বললাম। এখানেও আমি নাম উচ্চারণ করে কারো জন্য অসুবিধা সৃষ্টি করতে চাই না। দুই দলের ওপর দুই নেত্রীর অ্যাবসোলিউট ক্ষমতা দল দু’টির ভেতরে গণতন্ত্র চর্চার সবচেয়ে বড় অন্তরায়।

অ্যাবসোলিউট ক্ষমতার কারণ কী তার ব্যাখ্যা তো আমরা ইতিমধ্যে আলোচনা করেছি। ঐতিহাসিক কারণে আমাদের দেশের জনগণই দুই নেত্রীর হাতে অ্যাবসোলিউট ক্ষমতা দিয়ে রেখেছে। নেত্রীদের আর দোষ কী? ইতিহাসে দেখা যায়, যেভাবেই হউক ক্ষমতা যখন কারো হাতে এসে পড়ে তখন স্বেচ্ছায় সেটা সে ছাড়তে চায় না, ছাড়ে না। ক্ষমতা জোর করেই ছিনিয়ে নিতে হয়। আমি যতদূর বুঝি বাংলাদেশের জনগণ তাদের নেত্রীদের হাত থেকে ক্ষমতা ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য এখনো তৈরি নয়। তাই বাস্তবতার দৃষ্টিকোণ থেকে আমি নেত্রীদের যতটা না দোষ দেই তার চেয়ে বেশি দোষারোপ করি আমাদের নিজেদেরকে – অর্থাত্ জনগণকে। এখানে আমি পাঠকদেরকে নবী করিম (সঃ) এর একটি হাদিসের কথা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই। রসুলুল্লাহ্ (সঃ) বলেছেন, ‘তোমরা যেমন, তোমাদের নেতারাও তেমন’।

আওয়ামী লীগ এবং বিএনপিতে গণতন্ত্র চর্চা না হওয়ার আরেকটি কারণ আছে। এ কারণ যতটা না ব্যক্তি কেন্দ্রীক তার চেয়ে বেশি সাংগঠনিক। আর তাই এটা আরো বেশি আলোচনা-পর্যালোচনার দাবি রাখে। উভয় দলেই কেন্দ্র, জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন, এমন কী ওয়ার্ড পর্যায়েও কমিটি নির্ধারণে নেতা কর্মীদের মতামতের তেমন কোনো মূল্য নেই। একই কথা অন্যভাবে বলতে গেলে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের বালাই নেই। পার্টির সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম প্রেসিডিয়াম বা স্থায়ী কমিটিতে নেত্রীর পছন্দ ছাড়া কেউই স্থান পায় না। যেহেতু তাঁর হাতে সর্বময় ক্ষমতা তাই স্বেচ্ছায় তিনি খাল কেটে কুমির আনতে যাবেন কেন? অর্থাত্ এমন কাউকে সে ফোরামে তিনি বসাতে যাবেন কেন যে কিনা পরে তাঁর অবাধ্য হবে, বা তাঁর কথা শোনবে না, এমনও তো হতে পারে দল পাঁকিয়ে এক পর্যায়ে নেত্রীকে চ্যালেঞ্জ করে বসতে পারে। এটা অত্যন্ত স্বাভাবিক মনস্তত্ত্ব। তবে নেত্রীর প্রতি নীতি নির্ধারণী ফোরামে সকল সদস্য বা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সকল অফিস বেয়ারাদের পূর্ণ আনুগত্য থাকলেও তাঁদের মধ্যে আবার থাকতে পারে একাধিক ধারা উপধারা। তাঁদের মধ্যে কে নেত্রীর অধিক কাছে যেতে পারে, বা বেশি প্রিয় পাত্র/পাত্রী হতে পারে তা নিয়ে থাকতে পারে নিরন্তর প্রতিযোগিতা, রেষারেষি, এমন কী হিসংা-বিদ্বেষ এবং সংঘাতও ।

জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন, এবং ওয়ার্ড পর্যায়ে সকল কার্যনির্বাহী কমিটি যদি স্থানীয়ভাবে গণতান্ত্রিক উপায়ে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়, তাহলে সমস্যটা কোথায়? সমস্যা আছে বৈকি। এতসব কমিটি এবং তাদের নেতৃত্বের ওপর কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ রাখা খুবই কঠিন হয়ে পড়বে, বলতে গেলে অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে। ফলে দলের ভেতরে শক্তিশালী চেইন অফ কমান্ড থাকবে না, থাকলেও সেটা হবে বড়জোর দূর্বল। তাই জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে যখন কমিটি ঠিক করা হয় তখন এক সাথে দুটি ঘটনা ঘটে। নেত্রী একটি বিষয়ে খেয়াল রাখেন – তাঁর প্রতি যে সব সদস্যের আনুগত্য কম বা নেই তাঁরা যাতে কমিটিতে আসতে না পারে। অন্যদিকে বিভিন্ন ধারা উপধারায় বিভক্ত কেন্দ্রীয় এবং জেলা পর্যায়ের নেতারা নেত্রীর কাছে অনবরত লবি করতে থাকেন যাতে যার যার বশংবদ লোক জেলা উপজেলা এমন কী ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড পর্যায়ে কমিটিতে স্থান পায়। যার গ্র“প যত বড় এবং শক্তিশালী হবে দিনের শেষে তিনিই নেত্রীর কাছে বেশি অপরিহার্য এবং গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়াবেন। এটা রাজনীতিরই অংশ। নেত্রী যদি দলের ভেতরে উপদলীয় রাজনীতি বা ফ্যাকশন্যাল পলিটিক্সের রাশ টেনে ধরতে পারেন বা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন তা হলে এ পরিস্থিতিতে দলে গণতন্ত্র চর্চা না হলেও যে জিনিসটি পাওয়া যায় তার গুরুত্বও কম নয়। অর্থাত্ কেন্দ্র থেকে একেবারে নিুতম স্তরে যদি নেত্রীর ইচ্ছায় নেত্রীর অনুগত লোকজন নেতৃত্বে থাকে তা হলে দলে চেইন অফ কমান্ড থাকে অটুট এবং কার্যকর। দলে গণতন্ত্র না থাকলেও, দেশে গণতন্ত্র চর্চার ক্ষেত্রে এটাও কম জরুরি নয়। নেত্রীর জন্য এ কাজটি সবচেয়ে কঠিন – অর্থাত দলের ভেতরের সব ধারা উপধারার ক্রমাগত ফ্রিকশনকে নিয়ন্ত্রণ করে এক মূল ধারায় ফেলে দলীয় কর্মসূচি এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। একটু খেয়াল করলেই স্পষ্টতই বোঝা যায় বর্তমানে দুই নেত্রীই এ কাজে হিমশিম খাচ্ছেন।

তবে এখানে আরেকটি কথা আছে। নেত্রীরা যদি মনে করেন গণতন্ত্রের স্বার্থে, শৃঙ্খলার প্রয়োজনে, দলে চেইন অফ কমান্ড ধরে রাখার জন্য তাঁরা অনির্দিষ্ট কাল ধরে দলগুলোকে গণতন্ত্র চর্চা থেকে দূরে সরিয়ে রাখবেন, তা হলে এটা কোনো যুক্তি হতে পারে না এবং এ যুক্তি মেনে নেওয়া যায় না। দলের নেতা কর্মী ও সমর্থকরা যদি দলকে তার নীতি আদর্শের জন্য সমর্থন করে, ভালোবাসে, এবং ভোট দেয় তাহলে তাদেরকে আস্তে আস্তে বুঝতে হবে যে, যে কোনো একজন যোগ্য, সত্, ও কর্মঠ ব্যক্তি অপছন্দনীয় হলেও দেশের বৃহত্তর স্বার্থে তাঁকেই সমর্থন দেওয়া উচিত। মানুষের মনোভাবে যদি এধরণের পরিবর্তন আনা যায় তাহলে একদিকে দলের ভেতরে ফ্যাকশন্যাল পলিটিক্স কমবে এবং অন্যদিকে দলের ভেতরে গণতন্ত্র চর্চার দুয়ারও খুলে যাবে। দলের সমর্থক এবং ছোট বড় নেতা-কর্মীদের মনোভাবে এরূপ ইতিবাচক পরিবর্তন আনার দায়িত্বও কিন্তু বড় দুই দলের দুই নেত্রীর কাঁধেই বর্তায়। এবং এখানে তাঁদের দু’জনের সীমাহীন ঘাটতি এবং দূর্বলতা স্পষ্টতই দৃশ্যমান।
লেখক: আবু এন. এম. ওয়াহিদ; অধ্যাপক – টেনেসী স্টেইট ইউনিভার্সিটি
এডিটর – জার্নাল অফ ডেভোলাপিং এরিয়াজ

Loading


মন্তব্য দেখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *