তসলিমার আবোল-তাবোল

তসলিমার আবোল-তাবোল কবে বন্ধ হবে! এতো বছর ধরে লিখছেন, একটি কথাই প্রতিয়মান, নারীকে তিনি কখনোই যৌন গ্রন্‌থাগার বা যৌন শোকেসের বাইরে দেখতে রাজি নন। সেকেলে চিন্‌তাধারা নিয়ে যেসব কথা লেখেন, এর মধ্যে ফেমিনিজম নেই। কতো আগে নারী স্বাধীনতার কথা বলেছেন মেরী ওলস্টোনক্রাফট, ভার্জিনিয়া ওলফ, বেগম রোকেয়া ইত্যাদি। কতো আগে বর্তমানকে অতিক্রম করে গেলেন রাজা রামহোমন রায় এবং বিদ্যাসাগর। তসলিমার নারী চিন্‌তাধারায় এমন খরা প্রকৃত নারীবাদের পরিপন্‌থী। তার লেখাগুলোতে নারীকে কেন্দ্র করে যৌনবাদকে ফুটিয়ে তোলাই উদ্দেশ্য। তসলিমা মার্কা নারীবাদিদের আন্দোলন আমের আচারের মতো সাময়িক মজা লাগলেও স্বাধীনতার কিছুই নেই। স্বাধীনতার মানে যৌন স্বাধীনতা নয় বরং স্বাধীনতাবোধ এবং অধিকারগুলোকে জাগিয়ে দেয়া। নিজেকে দিয়ে তিনি যে নারীর কথা বলছেন, নারী তা নয়। তসলিমার নিজের জীবনটা ছোটবেলা থেকেই একটি যৌনরাণীর শোকেস, নানান ধরনের যৌনবিলাসিতায় সেই ফ্যান্টাসিই বারবার প্রমাণ হয়েছে। লালপাড়ার লালকন্যাদের মতো বহু পুরুষের সঙ্গে যে যৌনকেলি, সেটাকে চাপিয়ে দেওয়ার প্রবণতা তার লেখায় প্রাধান্য পেয়েছে। যৌবনের পুরোটা সময় একটার পর একটা পুরুষ ধরেছেন আর ছেড়েছেন, নিজের সমকামিতা নিয়ে যেভাবে লিখেছেন, লজ্জাই হয়। তার মাথাটা কি খারাপই হয়ে গেছে নাকি যে কোন মূল্যে নিজেকে প্রচারের জন্য পশ্চিমী কায়দায় নিজের কলামের মাধ্যমে উলঙ্গ করে বলা, এদিকে দেখো। আমি জানি না ফেমিনিজম তিনি আদৌ বোঝেন কি-না। জরায়ুর স্বাধীনতা নিয়ে তার আন্দোলন অশ্লিলতা ছাড়া কিছু নয়। নারীর প্রতি যেসকল অবিচার হয়, মানুষ হিসেবে যেভাবে অবজ্ঞা করা হয়, যেভাবে ভুল ব্যাখ্যা করে গ্রন’গুলো, পুরুষশাসিত সমাজ এখনো যে চোখে দেখে… এসব বুঝতে হলে ফিরতে হবে প্রকৃত নারীবাদিদের কাছে এবং নিশ্চয়ই সেটা তসলিমা নাসরিন নন। নারী স্বাধীনতার নামে তিনি যে যৌনবিলাস শেখাচ্ছেন, সমাজের কাছে এই ম্যাসেজটি ভুল তথ্য পৌঁছে দিচ্ছে। জরায়ুর স্বাধীনতা চাইলে সবার আগে নারীর অধিবারবোধগুলোকে জাগ্রত করতে হবে, যেন প্রয়োজনে যৌন স্বাধীনতার ব্যবহার ও অপব্যবহার সনাক্ত করতে পারে। তার লেখার মূল প্রতিপাদ্য যৌনতা এবং অশ্লিলতা, যুগে যুগে ছিলো এবং থাকবে কিন্‌তু সেটাকে নারী স্বাধীনতা বলে চাপিয়ে দেয়ার সুযোগ একেবারেই নেই।

তসলিমার নারী স্বাধীনতা নিয়ে আমি কখনোই কোন মন্‌তব্য করিনি। এখন মন্‌তব্য করার কারণ, বয়স যতোই বাড়ছে ততোই তিনি উল্টাপাল্টা লিখে আত্মপ্রচারে আরো বেশি মরিয়া। সামপ্রতিকালে কয়েকটি লেখায় চোখ বুলিয়ে যা পেলাম, বর্তমান বলে কিছু নেই। যৌনতাই যার একমাত্র লেখার বিষয়, তাকে কখনোই ফেমিনিস্ট বলা উচিত নয়। তসলিমার নিজের অতীত এবং বর্তমান বিচার করে একটি কথাই প্রতিয়মান, নারী নির্যাতনের অজুহাতে বরং তিনি নিজেই একজন পুরুষনির্যাতক বলে প্রমাণ করেছেন।

Loading


মন্তব্য দেখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *