কমন প্রশ্নের সঠিক উত্তর কেউ দিতে পারেন না

কী হবে ঈদের পর? ২৫ অক্টোবরের পর কী হতে যাচ্ছে? কাদের মোল্লার রায় কি কার্যকর করবে সরকার? সুষ্ঠু নির্বাচন দিলে হেরে যাবে জেনেও কি আওয়ামী লীগ নির্বাচন দেবে? এরকম নানা প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয় এখন। আমি যেখানে থাকি কোনো বাংলাদেশী নেই। ওই শহরটায় একমাত্র বাংলাদেশী আমি। তবে একাকিত্ব কাটাতে প্রায় লন্ডনে অথবা ম্যানচেস্টারে যাওয়া হয়। দেখা হয় হাজারো বাংলাদেশীর সঙ্গে। সবাই খুব সম্মান করেন। এটাই বড় পাওয়া। সবাই সাংবাদিক হিসাবে জানতে চায় আসলে কী হতে যাচ্ছে। ওপরের প্রশ্নগুলো একেবারে কমন! তারপরও সঠিক উত্তর দেয়া যায় না। সঠিক উত্তর জানার চেষ্টা করি। দেশে কথা বলি নানাজনের সঙ্গে। সরকারের এবং প্রশাসনের ভেতরে-বাইরে পরিচিত জনদের সঙ্গে আলোচনা করি। বোঝার চেষ্টা করি। কেউ কমন প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে পারেন না। এম সি কিউ। চারটা অবশন দেয়া হয়। সবগুলোই কাছাকাছি। এর মধ্যে একটি হচ্ছে একেবারে সঠিক উত্তর। সরকারও এরকম চারটি বিকল্প নিয়ে ভাবছে। কোনটা যে শেষ পর্যন্ত বাস্তবায়ন হবে সেটা সময় নির্ধারণ করবে। তবে একটা বিষয় জোর দিয়ে বলা যায়, বিএনপি বা ১৮ দলীয় জোট ক্ষমতায় আসবে এমন কোনো অপশন নেই সরকারের সামনে। যতগুলো অপশন বা বিকল্প সবই হচ্ছে ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে রাখা নিয়ে।
এরকম কয়েকটি অপশন জানা গেছে এবার। ২৪ অক্টোবরের পরও সংসদ অধিবেশন বসবে। এটা কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং অশুভ ইঙ্গিত দিচ্ছে। শেখ হাসিনার আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী সংশোধিত সংবিধান মতে ২৫ অক্টোবরের পর থেকে সংসদ বহাল থাকলেও অধিবেশন থাকার কথা নয়। ২৫ অক্টোবর থেকে ২৫ জানুয়ারির মধ্যে যে কোনো দিন নির্বাচন হওয়ার কথা। এর মধ্যে সংসদ থাকবে তবে অধিবেশন বসবে না। এটাই হলো শেখ হাসিনার আকাঙ্ক্ষিত সংবিধানের বাণী। এই সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনের কথা শেখ হাসিনা বার বার বলছেন। তিনি এক সময় এটাও বলেছিলেন ৯০ দিন আগে সংসদ ভেঙে দেয়া হবে। কিন্তু শেষ পর্যায়ে এসে সরকারের সিদ্ধান্ত হচ্ছে ২৫ অক্টোবরের পরও চলতি অধিবেশন অব্যাহত থাকবে। সরকারি দলের সিনিয়র নেতারা জাতীয় সংসদেই বিষয়টি উত্থাপনও করেছেন। এখানেই অনেক রহস্য লুকিয়ে আছে!
সংসদ অধিবেশন বহাল থাকার একটি মাজেযাও রয়েছে। ২৪ থেকে ৩০ অক্টোবরের ভেতরে আবদুল কাদের মোল্লার ফাঁসি দিতে চায় সরকার। সরকারের নীতিনির্ধারকরা মনে করেন এই সময়ের মধ্যে ফাঁসি দিলে জামায়াতে ইসলামী কঠিন অ্যাকশনে যাবে। এই ইস্যুতে বিএনপি আন্দোলন থেকে একটু পিছিয়ে থাকতে পারে। আর বিএনপি আন্দোলনের কঠিন সিদ্ধান্তের দিকে অগ্রসর হলেই সামনে একটি আলোচনার মুলা ঝুলানো হয়। থেমে যাবে আন্দোলন। দেখা যাক কী হয়, এরকম একটি এলার্জি রয়েছে বিএনপির ভেতরে। শেষ পর্যন্ত কী হয় সেটা দেখার অপেক্ষা শুরু হয় তখন! এই আলোচনার খেলা অনেক দিন থেমে থাকার পর আবার শুরু হয়েছে। কারণ ২৫ অক্টোবর ঘনিয়ে আসায় আলোচনার খেলোয়াড়রা সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। যদিও প্রবীণ অভিজ্ঞ সাংবাদিক এবিএম মূসা তার অভিজ্ঞতা থেকে বার বার বলছেন আলোচনায় কোনো সমাধান হবে না। তিনি এটাও বলছেন, বিএনপি কিছুই করতে পারবে না। ২৫ অক্টোবরের পরও কিছুই হবে না। আর আমি মনে করি আলোচনায় সমাধান হবে। সেটা হলো দুই দলের নেতাদের পরস্পরের মধ্যে কথা-বার্তা হবে। সেই আলোচনার সর্বশেষ ফলাফল হবে আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচনে চলে যাওয়া। আওয়ামী লীগ নেতারাও জোরেশোরে বলছেন বিএনপি শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচনে যাবে। কারণ তারা বিএনপির দুর্বল জায়গাগুলো গত পৌনে ৫ বছরে চিহ্নিত করতে পেরেছেন। আওয়ামী লীগ পরীক্ষা করে দেখেছে ইলিয়াস আলীকে গুম করার পর তুঙ্গে উঠেছিল আন্দোলন। এক মামলায় সব সিনিয়র নেতা আত্মগোপনে চলে গেলেন। তুঙ্গে ওঠা আন্দোলন এক মামলায়ই খতম।
সরকার আবদুল কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর করার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে বলে সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে। সরকারের প্রথম সিদ্ধান্ত ছিল সেপ্টেম্বরের ভেতরে কার্যকর করা্। সেই সিদ্ধান্ত থেকে কিছুটা পিছুটান দিয়েছিল কৌশলগত কারণে। এবার অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে কার্যকর করতে চায়। সরকারের ধারণা এই ফাঁসি কার্যকর করার পর জামায়াতে ইসলামী আন্দোলনে যাবে। বিএনপি কিছুটা অস্থিরতায় ভুগবে। এই সুযোগে সরকার নকশা অনুযায়ী কৌশল কাজে লাগানোর চেষ্টা করবে। এই কৌশলের মধ্যে রয়েছে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় ব্যাপক হামলা চালিয়ে, মন্দির, গির্জা বা বৌদ্ধ ধর্মীয় উপাসনালয় ভাংচুর করে সেটা জামায়াতে ইসলামীর ওপর চাপিয়ে দেয়া। এই হামলার পরপরই আওয়ামী মিডিয়াগুলো একতরফা প্রচারণা শুরু করবে। নানা জঙ্গি তত্ত্ব হাজির হবে। সুযোগে ইসলাম-বিদ্ধেষী রাষ্ট্রগুলোকে আয়ত্তে নেয়ার চেষ্টা করা। তাদের বলা জামায়াতে ইসলামী এবং বিএনপি যৌথ আন্দোলন করছে। তারা ক্ষমতায় আসলে সংখ্যালঘুরা নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়বে। যেমনটা চেষ্টা করা হয়েছিল ২০১২ সালের শুরুর দিকে কক্সবাজারে রামুর বৌদ্ধ পল্লীতে। তখনও সরকার প্রপাগান্ডায় মেতে উঠেছিল। কিন্তু সেই নকশা পুরোপুরি সফল হয়নি।
শেষ পর্যন্ত জামায়াত বা বিএনপির ওপর চাপাতে পারেনি রামুর ঘটনা। আওয়ামী মিডিয়াগুলো কিন্তু তখনও সক্রিয় ছিল জামায়াতে ইসলামী এবং বিএনপির ওপর দোষ চাপানোর জন্য। অনেক প্রপাগান্ডা শুরু হয়েছিল। ‘আমার দেশ’সহ যেসব মিডিয়া আসল চিত্র তুলে এনেছিল, সে মিডিয়াগুলো এবার নেই। সরকার আগেই বন্ধ করে দিয়েছে। আওয়ামী মিডিয়াগুলোর এখন একচেটিয়া দাপট। এই সুযোগ কাজে লাগাবে সরকার। যেমনটা ৫ মে গুলিস্তান, বায়তুল মোকাররম এলাকায় ঘটানো হয়েছে। আওয়ামী মিডিয়াগুলো সেদিন আওয়ামী আক্রমণে রাজপথে পিটিয়ে হেফাজত কর্মী খুনের ঘটনা একবারও দেখায়নি। গুলিস্তান-পল্টন এলাকায় সেদিন নিহত হয়েছেন ৭ জন। সবাই হেফাজত কর্মী। আওয়ামী গুণ্ডা বাহিনী এবং পুলিশের যৌথ আক্রমণে তারা নিহত হন। কিন্তু আওয়ামী মিডিয়াগুলোর খবরের শিরোনাম ছিল গুলিস্তান-পল্টান-বায়তুল মোকাররম এলাকায় হেফাজতের তাণ্ডব! কে বা কারা আগুন দিয়েছে সেটা ফলাও করে প্রচার করেছে হেফাজতের তাণ্ডব হিসাবে। একেবারে কমন প্রশ্ন। হেফাজত এতই তাণ্ডব করে থাকলে তাদের ৭ জন কর্মী ওই এলাকায় নিহত হলেন কেমন করে! হেফাজতের তাণ্ডবে তো পতিপক্ষ নিহত হওয়ার কথা! আওয়ামী মিডিয়াগুলো আবারও ওঁত্ পেতে রয়েছে। ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গে জামায়াত বা ইসলামী দলগুলোর নামে প্রপাগান্ডা শুরু হয়ে যাবে।
যদিও কট্টর আওয়ামী সমর্থক পত্রিকা দৈনিক ইনকিলাব ৫ মে হেফাজতের ঘটনার বিষয়ে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়, আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মীরা বায়তুল মোকাররম এলাকায় কোরআন শরীফে আগুন দিয়েছিল। ক্ষুদ্র দোকান লুটপাট করেছিল আওয়ামী হকার্স লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ। তাদের সমর্থক পত্রিকা ইনকিলাব। মাত্র ক’দিন আগেও ইনকিলাব সম্পাদকের পাশে বসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি মুনাজাতে অংশ নিয়েছেন। তারপরও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বার বার বলছেন, হেফাজত কোরআন শরীফে আগুন দিয়েছে। তাল মিলিয়ে বলে যাচ্ছে আওয়ামী মিডিয়াগুলো। এমনিভাবে সংখ্যালঘুদের ওপর এবং সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় উপাসনালয়ে হামলা চালিয়ে বার বার বলা হবে জামায়াতে ইসলামীর কথা, বিএনপির কথা। আওয়ামী মিডিয়াগুলো সে অনুযায়ী সাজানো তাদের প্লট কাজে লাগাবে। যেমনটা দেখা গেছে মুফতি ইজাহারের মাদরাসার বেলায়। ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় আওয়ামী লীগ মিছিল বের করল। তারা জানত কীভাবে এখানে ওই সময় ঘটনা ঘটবে! এত দ্রুত ব্যানার পেল কোথায়! আওয়ামী মিডিয়াগুলো সেটাকে নিয়ে রীতিমত বাজিমাত করার চেষ্টা করছে।
দ্বিতীয় আরেকটি অপশনের কথা জানা গেছে। সেটা হচ্ছে সংখ্যালঘুদের উপাসনালয় এবং ব্যক্তিগত হামলার পাশাপাশি আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ একাধিক নেতার ওপর হামলা হতে পারে। রাজনৈতিক নেতাদের গুপ্ত হত্যাকাণ্ড বেড়ে যাবে। গুম হতে পারেন গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় ব্যক্তিদের কেউ কেউ। হামলা হবে মিডিয়া কর্মীদের ওপর। সিনিয়র কোনো নাগরিক বা পত্রিকার সম্পাদকের ওপর গুপ্ত হামলার ঘটনা ঘটতে পারে। এমন পরিকল্পনা রয়েছে। এতে চরম নৈরাজ্যকর অবস্থায় যাবে দেশ। সব দোষ যাবে তখন জামায়াতে ইসলামী এবং ইসলামী সংগঠনগুলোর ওপর। জঙ্গি তত্ত্ব হাজির করবে আওয়ামী মিডিয়া এবং সরকারের সুদক্ষ গোয়েন্দা বিভাগগুলো। এরকম একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতির অজুহাত দেখিয়ে সরকার দেশে জরুরি অবস্থা জারি করবে। তখন শুরু হবে ব্যাপক ধরপাকড়। পুলিশ, র্যাবের পাশাপাশি সরকার আরেকটি বাহিনী গঠন করেছে বিজিবি দিয়ে। ওই বাহিনীকে মাঠে নামিয়ে রক্ষীবাহিনীর মতো ক্ষমতা দেয়া হবে। বিনা ওয়ারেন্টে তারা যে কোনো ব্যক্তিকে গ্রেফতার করতে পারবে, সোর্স ওয়ারেন্ট ছাড়া তল্লাশি করতে পারবে যে কোনো জায়গায়। তাদের দেয়া হচ্ছে গুলি করার এখতিয়ার। ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমোদন লাগবে না। তারা চাইলেই গুলি করতে পারবে।
জরুরি অবস্থা জারির পর দেশ পরিচালনার জন্য সরকার জাতীয় সংসদের অনুমোদন নিতে পারে। এজন্য সংসদ অধিবেশন অসমাপ্ত রেখে মূলতবি করা হচ্ছে একটি কৌশল। যেন নতুন অধিবেশন ডাকতে না হয়। সে অধিবেশনে জরুরি অবস্থায় সরকারের ক্ষমতা আরও বৃদ্ধির লক্ষ্যে, নতুন আইন তৈরি করার পরিকল্পনার কথাও শোনা যাচ্ছে। এতে দেশে চরম অস্থিতিশীলতা বিরাজের অজুহাতে জরুরি অবস্থা চলাকালীন নির্বাচন অনিশ্চয়তায় পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। যেমনটা ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি থেকে ২০০৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত দুই বছর জরুরি অবস্থা ছিল। এই নজির দেখিয়ে সরকার তখন ক্ষমতা অব্যাহত রাখার অপচেষ্টা হতে পারে। সরকার এরকম নানা অবশন সামনে রেখে অগ্রসর হওয়ার চিন্তা করছে। যে কোনো অজুহাতে ক্ষমতা আঁকড়ে থাকাই হচ্ছে তাদের মূল লক্ষ্য। এরই মধ্যে সরকার বুঝে গেছে বিএনপি আন্দোলনের দল নয়। বিএনপি আন্দোলন করতে পারবে না সেটা সরকারের মন্ত্রীরাও অহরহ বলছেন।
সরকার আরেকটা বিষয় ভালোই উপলব্ধি করেছে। সেটা হলো সুষ্ঠু কোনো নির্বাচন হলে তারা ক্ষমতায় আসতে পারবে না। সুতরাং ক্ষমতায় আসতে পারবে না এটা বোঝার পর কেউ ক্ষমতা ছাড়তে চাইবে না। এটাই হলো স্বাভাবিক। এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর ৭টি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে পরাজিত হয়েছে। সবগুলোতেই ছিল তাদের মেয়র। চট্টগ্রামে পরাজয় দিয়ে শুরু হয়েছিল। সর্বশেষ দ্বিতীয় গোপালগঞ্জ হিসাবে পরিচিত গাজীপুরেও হেরেছে সরকারদলীয় প্রার্থী। সুতরাং সরকার সিগন্যাল পেয়ে গেছে। এই সিগন্যাল পাওয়ার পর ক্ষমতা ধরে রাখার ছক আঁকছে সরকার। সেই নকশা আঁকা পথে শেষ পর্যন্ত গ্রেফতার হতে পারেন ১৮ দলীয় জোট নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া।
সরকারের এতসব বিকল্পের বিপরীতে যাদের ক্ষমতায় যাওয়ার সম্ভাবনা উজ্জ্বল তাদের পরিকল্পনা কী? সেটা জানারও চেষ্টা করেছি। সুষ্ঠু কোনো সুপরিকল্পিত পরিকল্পনার কথা জানা যায়নি। দেখা যাক শেষ পর্যন্ত কী হয় সেই তত্ত্বের ওপরই এখনও নির্ভরশীল তারা। তবে কেউ কেউ মনে করেন আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচনে গেলেও বিজয় সুনিশ্চিত। আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচনে বাইরে সুন্দর, সুষ্ঠু লাইনে ভোটের পর ফলাফলে হেরে গেলে কী হবে সেটা কেউ জানে না। আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচনে কোনো ভোট গণনা হবে সেটা কি কেউ জানেন?

পূর্ব প্রকাশিত : দৈনিক আমার দেশ, অনলাইন

Loading


মন্তব্য দেখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *