ইহুদী, নাসারা ও মুনাফিক প্রসঙ্গে

আল্লাহর বন্ধু (৪:১২৫), মানবজাতির নেতা (২:১২৪) ‍ও মুসলিম জাতির পিতা (২২:৭৮) হযরত ইব্রাহীম (আঃ) (২:১৩৫, ৩:৬৭) ইহুদী, নাসারা (খৃষ্টান) কিংবা মুশরিক (অংশিবাদী) ছিলেন না, বরং তিনি মুসলিম ছিলেন। তেমনি তার পুত্র হযরত ইসমাইল (আঃ) ও ইসহাক (আঃ) এবং ইসহাকের ছোট পুত্র হযরত ইয়াকুবের (আঃ) অর্থাৎ ইস্রাঈলের (৫:১২) ১২ জন সন্তান প্রত্যেকে ১২ টি গোত্রের প্রধান ছিলেন। (২:১৪০) তারাও কেউ ইহুদী, নাসারা কিংবা মুশরিক ছিলেন না। তারা ছিলেন ইসলামের অনুসারী মুসলিম। তাদের বংশধরদের মূলত বণী-ইস্রাঈল বলা হয়ে থাকে। ইসলামের পথে পরিচালিত করার জন্য মহান স্রষ্টা (১৯:৫৮, ৩:৩৩, ৩৪) মানবজাতির আদি পিতা ও নবী হযরত আদম (আঃ) থেকে শুরু করে পরবর্তীতে হযরত নুহ (আঃ), ইব্রাহীম (আঃ) ও ইস্রাঈল অর্থাৎ ইসহাকের (আঃ) বংশধর এবং ইমরানের (আঃ) বংশধরকে জগৎসমূহের মাঝে নবুয়তের জন্য চয়ন করেন। তারই ধারাবাহিকতায় যুগে যুগে বণী-ইস্রাঈলের বংশধরদের মাঝে যেমন নবী-রাসূলদের পাঠিয়েছেন, তেমনি অন্যদের মধ্য থেকেও তাঁরই মনোনীত বান্দাদেরকে নবী-রাসূল হিসেবে চয়ন করেছেন। সেই সাথে মানব জাতিকে সঠিক পথ প্রদর্শনের জন্য তাদের প্রতি যুগের চাহিদা মাফিক (৪:১৬৩, ১৬৪) ঐশী প্রত্যাদেশও প্রেরণ করেছেন। অবশেষে জগৎসমূহের জন্য আশিস এবং সমগ্র মানবজাতির জন্য সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারী রূপে (২১:১০৭, ২৫:০১, ৩৩:৪০, ৩৪:২৮) সর্বশেষ নবী ও আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মদকে (সাঃ) আরবের বুকে প্রেরণ করেন এবং সর্বশেষ ঐশীগ্রন্থ পবিত্র কোরআন অবতীর্ণ করে দ্বীন ইসলামের পরিপূর্ণতা দান করেন।

ইস্রাঈল অর্থ আল্লাহর বান্দা = আবদুল্লাহ। বণী-ইস্রাঈলরা (ইস্রাঈলের বংশধর অর্থাৎ সন্তান-সন্ততীরা) (৩:১১৩) অধিকাংশই ইসলামের অনুসারী বিশ্বাসী ছিলেন। মহান স্রষ্টা (৪৪:৩২) সব জেনেই তাদেরকে সৃষ্ট জগতের মাঝে বিশেষভাবে চয়ন করেছেন। কিন্তু তাদের মধ্য থেকে একদল বিশ্বাসী হলেও অনেকে (৫:৭৮ – ৮১, ৬১:১৪) অবিশ্বাসীদের দলে যোগ দিয়েছিল। যারা অবাধ্য হয়ে সত্য প্রত্যাক্ষাণ করেছিল, তাদের প্রতি হযরত দাউদ (আঃ) ও হযরত ঈসা (আঃ) অভিসম্পাত করেছিলেন। হযরত মুসা (আঃ) (১৪:৬, ২০:৮০, ৩২:২২) সহ (৫:৭০) অনেক নবী ‘তাওরাতের’ নির্দেশনা অনুসারে তাদেরকে পথ প্রদর্শন করেছেন ও ফায়সালা দিয়েছেন এবং (২:১৩২১৩৩, ৫:১২১৩) কেবলমাত্র একক স্রষ্টার ইবাদত করার অঙ্গিকার গ্রহণ করেছেন। কিন্তু যুগে যুগে বণী-ইস্রাইলের মধ্যকার ইহুদী সম্প্রদায়ের অনেকে (৪:৪৬) মহান আল্লাহর প্রেরিত প্রত্যাদেশ ও কিতাব ‘তাওরাতের’ সরল নির্দেশনাকে উপেক্ষা ও বিকৃত করেছে। তাদের প্রতি আল্লাহর অপার আনুকুল্য (৫:২০, ৪৫:১৬ ২:৪০, ৪৭, ৬৩, ও ১২২,) থাকা সত্বেও তারা (৩:১৮৭) কৃত অঙ্গিকার ভঙ্গ করেছে। তারা (৯:৩০) ‘ওজাইরকে’ আল্লাহর পুত্র হিসেবে বিশ্বাস কোরে শিরক্ করেছে, একদল নবী-রাসূলদের সাথে (৫:৭০) অবাধ্যতা এবং অন্যায় আচরণ করেছে এবং আরেকদল তাদেরকে হত্যাও করেছে বলে পবিত্র কোরআনে উল্লেখ করা হয়েছে। তাছাড়া পৃথিবীতে ফিতনা-ফাসাদ সৃষ্টি করা ও অন্যদের উস্কে দিয়ে পরস্পরের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ ও যুদ্ধ-বিগ্রহ বাধিয়ে দিয়ে নিজেদের ফায়দা হাসিল করাই তাদের মজ্জাগত স্বভাব। সর্বদা মন্দ কাজে লিপ্ত থাকায় ও অবিশ্বাসীদেরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করায় তাদের প্রতি (৫:১৩) আল্লাহতায়ালা অসুন্তুষ্ট হয়েছেন। হযরত দাউদের (আঃ) উপর (৪:১৬৩, ১৭:৫৫) নাযিলকৃত ঐশীগ্রন্থ (zabūran) ‘যাবুর’ অনুসারে তিনি বণীইস্রাঈলকে পথ প্রদর্শন করেন। আর বণী-ইস্রাইলের মধ্যে যারা হযরত ঈসার (আঃ) অনুসারী, তাদের অধিকাংশই পরবর্তীতে তার (৫:৪৬) প্রতি স্রষ্টা প্রেরিত কিতাব (l-injīla) ‘ইঞ্জিলের’ সরল নির্দেশনাকে উপেক্ষা ও বিকৃত করেছে। তারা ‘ঈসা মসীহক’ আল্লাহর পুত্র বলে মনে করে। সত্য থেকে বিচ্যুত হয়ে তারাও অবিশ্বাস ও শিরকের পথে পা বাড়িয়েছে। আল-কোরআনে তাদেরকে ‘নাসারা’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। আহলে কিতাবদের মাঝে যে (৫:৭২, ৭৩) ভ্রান্তি অনুপ্রবেশ করেছিল, (২৭:৭৬) রাসূলুল্লাহ হযরত মুহাম্মদ (সা্ঃ) পবিত্র কোরআনের মাধ্যমে তা ধরিয়ে দেয়ার প্রচেষ্টা নিয়েছিলেন। কিন্তু তারা নিজেদেরকে (৫:১৮) আল্লাহর পুত্র ও অতিশয় প্রিয়পাত্র বলে মিছে অহঙ্কার করত। আর এ কারণে মুহাম্মদ (সাঃ) এর ডাকে সাড়া না দিয়ে সরল সত্য পথ থেকে তারা মুখ ফিরিয়ে রেখেছিল এবং শত্রুতায় লিপ্ত ছিল। যুগে যুগে (১৬:১১৮) এভাবেই তারা সরল পথ ছেড়ে গরল পথকে আকড়ে ধরেছে। ফলে নিজেদের দোষেই (৫৯:৩) এ পৃথিবীতে তাদের উপরে নির্বাসনের সিদ্ধান্ত আরোপিত হয়েছে এবং তারা (৩:১১২) পদে পদে হয়েছে লাঞ্ছিত ও দুর্দশাগ্রস্ত। হৃদয়ের জটিলতা বৃদ্ধি পাওয়ায় হিংসা-বিদ্বেষ পোষণ ও বিবাদ সৃষ্টির প্রতি তাদের আগ্রহ অধিক। আর এরই ফলশ্রুতিতে পরকালে তাদের জন্য নির্ধারিত হয়েছে জাহান্নামের শাস্তি।

মুহাম্মদ (সাঃ) এর অনুসারী মুসলিমদের সাথে (২:৮২০, ২০৪, ২০৫, ২০৬, (৬৩:১) যারা মিশে থাকে অথচ অন্তর থেকে ইমান আনতে পারেনি এবং পবিত্র কোরআনের সরল নির্দেশনা গ্রহণ করতে পারেনি। বরং তারা ভিতরে ভিতরে ইসলামের বিরোধীতা ও মিথ্যাচারে লিপ্ত থাকে। (৩:১৬৭, ১৬৮, ৪:৬০৬৩) সুসময়ে সাথে থাকার ভান করে আর দুঃসময়ে নানা অযুহাতে কেটে পরে। আবার নিজেরা বিপদে পড়লে ফিরে এসে কল্যাণ ও সম্প্রীতি স্থাপনের মিথ্যা শপথ করে। এদেরকে ‘মুনাফিক’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। বেধর্মীদের চলন বলন লক্ষ্য করলে তাদেরকে সহজেই চেনা যায় ও তাদের কাছ থেকে সাবধান থাকা যায়। কিন্তু মুনাফিকরা বেশভূষায় ও চলনে বলনে বিশ্বাসীদের মুখোস পরে তাদের মাঝেই বিচরণ করে। এরা সুযোগ পেলেই সত্যপ্রত্যাক্ষাণকারী অবিশ্বাসীদের সাথে হাত মেলায় ও ফিতনার বিস্তার ঘাটায়, অথচ নিজেদেরকে আবার সংস্কারক হিসেবে দাবি করে। প্রকৃত অর্থে এরা হলো অবিশ্বাসী কপোটচারী ছুপা শয়তান অর্থাৎ বকধার্মীক। (৫৮:৮, ১৬, ১৭, ২০) তাদের জন্য লঞ্ছনা ও জাহান্নামের কঠিনতম শাস্তির ঘোষণা দেয়া হয়েছে।

ইহুদী ও নাসারাদের অধিকাংশই ত্রিত্ববাদে এবং বিশেষ করে মুনাফিকরা বেশির ভাগ সময় কুফরিতে লিপ্ত থাকে। আর মুশরিকরা থাকে বহুত্ববাদে লিপ্ত। মহান আল্লাহর অবাধ্যতা, শাশ্বত ইসলামের অনুসারী প্রকৃত মুসলিমদের সাথে শত্রুতা, বিরুদ্ধাচরণ, কটাক্ষ ও ক্ষতি সাধনই তাদের প্রধান মিশন। কুফরীতে লিপ্ত এই অকৃতজ্ঞ ও অত্যাচারী দলটিকে অবাধ্যতার শাস্তি স্বরূপ অতীতে (২:৬৫, ৫:৬০, ৭:১৬৬) শিম্পাঞ্জী ও শূকরে পরিণত করে দেয়ার কথা বলা হয়েছে, (৬২:৫) গাধা ও (৭:১৭৬) কুকুরের স্বভাবের সাথে তুলনা করা হয়েছে এবং (২৫:৪৪) গবাদি পশু কিংবা তার চেয়েও অধম হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। আর ইহুদী ও নাসারাদের মধ্যে যারা সত্যপ্রত্যাক্ষাণ কোরে অবিশ্বাসীদের দলে যোগ দিয়েছে এবং যারা শিরকে লিপ্ত থাকে ও ইসলামকে নিয়ে কটাক্ষ করে তারা মুসলিমদের শত্রু, তাই (৫:৫১, ৫৭, ৮২) তাদেরকে (awliyāu) অভিভাবক/ রক্ষক/ সহযোগী হিসেবে গ্রহণ করতে ও তাদের (৩৩:০১) আনুগত্য করতে নিষেধ করা হয়েছে।

বর্তমানে পৃথিবীতে ইহুদীদের সংখ্যা বেশ কমে এলেও নাসারা অর্থাৎ খৃষ্টান সম্প্রদায় এখনো সংখ্যাগরিষ্ঠ। আল-কোরআনে তাদেরকে (ahli l-kitābi) ঐশী গ্রন্থধারী সম্প্রদায় হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তাদের (৩:১১০,, ১১৩, ১১৪, ৭:১৫৯) মধ্যেও বিশ্বাসে অবিচল ও সৎকর্মশীল মানুষ আছেন।  সুতরাং তাদের সবাইকেই ঢালাওভাবে মন্দলোক ও মুসলিমদের শত্রু ভাবা ঠিক নয়। বরং ইহুদীদের মাঝেও যে (৫:১৩) কিছু সংখ্যক ভাল মানুষ থাকতে পারেন এবং নাসারাদের মাঝেও যে মুসলিমদের প্রতি (mawaddatan) বন্ধুভাবাপন্ন/ প্রীতিভাজন (৫:৮২) কিছু সংখ্যক সত্যসাধক-ধার্মীক, নিরহংকার ও সহনশীল মানুষ থাকতে পারেন, সে সম্পর্কে আল-কোরআনে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। আর এরা তারাই যারা (০২:৬২, ৩:১৯৯, ৫:৬৯) ঈমান আনে আল্লাহর একত্ব ও আনুগত্যের প্রতি। তারা বিশ্বাস করে যা কিছু রাসূলুল্লাহ হযরত মুহাম্মদের (সাঃ) উপর অবতীর্ণ হয়েছে আর যা কিছু তাদের সময়কার নবী ও রাসূলদের উপর অবতীর্ণ হয়েছে সেগুলোর প্রতিও। তারা আল্লাহর সামনে বিনয়াবনত থাকে এবং আল্লার আয়াতসমুহকে স্বল্পমুল্যের বিনিময়ে সওদা করে না। আর তারা সৎকর্মে অগ্রগামী থাকে। সুতরাং তাদের কোন ভয় নেই। এরূপ বিশ্বাস ও কর্মের কারণে তাদের জন্য উপযুক্ত পারিশ্রমিকের কথা মহান আল্লাহতায়ালা ঘোষণা করেছেন। নিশ্চয়ই তিনি যথা সময়েই সকল হিসাব নিকাশ চুকিয়ে দিয়ে যথাযথ ফয়সালাই দান করবেন।

———————————————————-

সূরা আন নিসা (মদীনায় অবতীর্ণ)

(০৪:১২৫) এবং কে ধর্মে উত্তম তার চাইতে যে আল্লাহর কাছে মুখমণ্ডল অবনত (আত্মসমর্পণ) করে এবং সে একজন সৎকর্মশীল এবং সে ইব্রাহীমের ধর্ম একানিষ্ঠভাবে অনুসরণও করে? আর গ্রহণ করেছেন (l-lahu ib’rāhīma khalīlan) আল্লাহ ইব্রাহীমকে বন্ধুরূপে

সূরা আল বাক্বারাহ (মদীনায় অবতীর্ণ)

(০২:১২৪) আর (স্মরণ কর) যখন ইব্রাহীমকে তাঁর পালনকর্তা কয়েকটি বাণী/ নির্দেশ দ্বারা পরীক্ষা করলেন, অতঃপর সে তা পূর্ণ করে দিল, তখন তিনি (পালনকর্তা) বললেন, আমি নিশ্চয় তোমাকে (lilnnāsi imāman) মানবজাতির নেতা বানাতে যাচ্ছি সেবলল, “আমারবংশধরথেকেও?” তিনি (পালনকর্তা) বললেন, “আমারঅঙ্গীকারঅত্যাচারীদেরপ্রতিপৌঁছায়না।”

সূরা হাজ্জ্ব (মদীনায় অবতীর্ণ)

(২২:৭৮) তোমরা আল্লাহর জন্যে (জিহাদ) চেষ্টা-সাধনা/ সংগ্রাম কর যেভাবে তাঁর জন্য (জিহাদ) চেষ্টা-সাধনা/ সংগ্রাম করা কর্তব্য। তিনি তোমাদেরকে পছন্দ করেছেন এবং ধর্মের ব্যাপারে তোমাদের উপর কোন কাঠিন্য আরোপ করেননি। ধর্মমতই/ বিশ্বাসই/ রীতিনীতিই/ জাতিই (millata abīkum ib’rāhīma) তোমাদের পিতা ইব্রাহীমের। তিনিই (আল্লাহ) তোমাদের নামকরণ করেছেনমুসলিম’- পূর্বেই এবং এখানেও (কোরআনে), যাতে রসূল তোমাদের জন্যে সাক্ষ্যদাতা হতে পারে এবং তোমরা সাক্ষ্যদাতা হতে পার মানুষের জন্যে। সুতরাং তোমরা নামায কায়েম কর, যাকাত দাও এবং আল্লাহকে দৃঢ়ভাবে ধারণ কর। তিনিই তোমাদের অভিভাবক, অতএব তিনি কত উত্তম অভিভাবক এবং কত উত্তম সাহায্যকারী।

সূরা আল বাক্বারাহ (মদীনায় অবতীর্ণ)

(২:১৩৫) তারা বলে, তোমরা ইহুদী অথবা খ্রীষ্টান হয়ে যাও, তবেই সুপথ পাবে। তুমি বল, কখনই নয়; বরং আমরা ইব্রাহীমের ধর্মে আছি যাতে বক্রতা নেই। সে মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত ছিল না।

(২:১৪০) অথবা তোমরা কি বলছ যে, নিশ্চয়ই ইব্রাহীম, ইসমাঈল, ইসহাক, ইয়াকুব (আঃ) ও তাদের সন্তানরা ইহুদী অথবা খ্রীষ্টান ছিল? তুমি বল, তোমরা বেশী জান, না আল্লাহ বেশী জানেন?

সূরা আল ইমরান (মদীনায় অবতীর্ণ)

(৩:৬৭) ইব্রাহীম ইহুদী ছিল না এবং নাসারাও ছিল না, কিন্তু সে ছিল (ḥanīfan mus’liman) একজন একনিষ্ঠ মুসলিম এবং সে মুশরিক ছিল না।

(৩:৬৮) মানুষদের মধ্যে যারা ইব্রাহীমের অনুসরণ করেছিল তারা, আর এই নবী এবং যারা এ নবীর প্রতি ঈমান এনেছে- তারা ইব্রাহীমের ঘনিষ্ঠতম, আর আল্লাহ হচ্ছেন মুমিনদের বন্ধু।

সূরা আল মায়েদাহ (মদীনায় অবতীর্ণ)

(৫:১২) আল্লাহ বনী-ইসরাঈলের কাছ থেকে অঙ্গীকার নিয়েছিলেন এবং আমরা তাদের মধ্য থেকে বার জন সর্দার/ প্রধান নিযুক্ত করেছিলাম। আল্লাহ বললেন, আমি তোমাদের সঙ্গে আছি। যদি তোমরা নামায প্রতিষ্ঠিত কর, যাকাত দিতে থাক, আমার নবীদের প্রতি বিশ্বাস রাখ, তাঁদের সাহায্য কর এবং আল্লাহকে উত্তম পন্থায় ঋণ দিতে থাক, তবে আমি অবশ্যই তোমাদের গোনাহ দুর করে দিব এবং অবশ্যই তোমাদেরকে উদ্যান সমূহে প্রবিষ্ট করব, যেগুলোর তলদেশ দিয়ে নির্ঝরিনীসমূহ প্রবাহিত হয়। অতঃপর তোমাদের মধ্য থেকে যে ব্যক্তি এরপরও কাফের হয়, সে নিশ্চিতই সরল পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে পড়ে।

সূরা মারইয়াম (মক্কায় অবতীর্ণ)

(১৯:৫৮) এরাই তারা যাদেরকে আল্লাহ নেয়ামত দান করেছেন নবীগণের মধ্য থেকে, যারা আদমের বংশোদ্ভূত এবং তাদের অন্তর্ভূক্ত যাদেরকে আমি নূহের সাথে নৌকায় আরোহন করিয়েছিলাম এবং যারা ইব্রাহীম ও ইসরাঈলের বংশোদ্ভূত এবং তাদের অন্তর্ভূক্ত যাদেরকে আমি পথ প্রদর্শন করেছি ও মনোনীত করেছি। তাদের কাছে যখন দয়াময় আল্লাহর আয়াতসমূহ পাঠ করা হত, তখন তারা সেজদায় লুটিয়ে পড়ত এবং ক্রন্দন করত। [সিজদাহ্]


মন্তব্য দেখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *