আসুন সহজে আরবি শিখি – (দ্বিতীয় পর্ব )

(প্রথম পর্ব) 

দ্বিতীয় পর্বে সবাইকে স্বাগতম! বিশেষকরে যারা এ টিউটোরিয়ালটি ফলো করছেন তাদেরকে ধন্যবাদ ।

গত পর্বে আমরা আরবি ইসম এর উপর  বেশ কিছু আলোচনা করেছি। সেখানে আমরা মূলত ইসমের অবস্থা বা Status বিষয়ে আলোচনা করেছি। আরবি স্বরবর্ণ বিশেষকরে দাম্মা, ফাতাহ ও  কাসরা ব্যবহার করে কিভাবে মারফউ, মানসুব ও মাজরুর হয় তা শিখেছি। সেই সাথে তান-উইন  দুন, দান এবং দিন ব্যবহারে কি হয় তা জেনেছি। সে বিষয়ে একটি অডিও ক্লিপ দিয়েছিলাম যা নিচে  আবার রাখছি যাতে আমাদের স্মরণশক্তি সতেজ বা রিফ্রেশ হয়।

ইসম্ اسم সম্পর্কে আরো জানার ব্যাপার হল ইসম্ اسم  এ নিচের চারটি গুন থাকে :

  • নির্দিষ্ট – Definite কিংবা অনির্দিষ্ট – Indefinite  বৈশিষ্ট্যসূচক শব্দ হতে পারে
  • বচন – Number – এক বচন বা বহু বচন হতে পারে
  • লিংগ – Gender – পুংলিঙ্গ বা স্ত্রীলিঙ্গ হতে পারে
  •  প্রকারভেদ – Type বা Case Ending

নির্দিষ্ট – Definite কিংবা অনির্দিষ্ট – Indefinite বৈশিষ্ট্যসূচক শব্দের তফাৎ  বলতে কি বুঝায়?

নিচের ছবিতে লক্ষ্য করেন

  • অনির্দিষ্ট – Indefinite শব্দের শেষে তানউ্ইন থাকে।
  • আর নির্দিষ্ট – Definite শব্দের পূর্বে  الألف لام     আলিফ, লাম থাকে।

বিষয়টি নিচের দুইটি ভিডিওতে দ্রুত দেখানো হয়েছে।

অনির্দিষ্ট – Indefinite

নির্দিষ্ট ইসম।

এবার ইসম এর লিঙ্গ  প্রসঙ্গে  আলাপ করব।

লিঙ্গ – Gender

আরবিতে যে কোন শব্দ হয় পুলিংঙ্গে না হয় স্ত্রীলিংঙ্গে প্রকাশ হয়। শরীরের জোড় অঙ্গ (pair parts) এবং কোন  জড় বস্তু  বহুবচন হলেই তা স্ত্রীলিঙ্গের শব্দ এবং যে কোন শহরের নামকে আরবিতে স্ত্রীলিংঙ্গ, হিসাবে গণ্য হয়।

ইসমকে স্ত্রীলিঙ্গ করতে শব্দের শেষে

  • ة  “তা” মারবুতা  ব্যবহার করা হয় অথবা
  • ى/آء ব্যবহার করা হয় (তবে  কিছু ইসিমে ব্যতিক্রমও আছে ., পরে আলাপ করা যাবে আর যদি  এখনই  জানতে চান শুনতে পারেন এখানে। )


নিচের ভিডিওটিতে বিস্তারিত আালোচনা এসেছে  লিঙ্গের ব্যাপারে এবং  বিষয়টি ভালভাবে বুঝতে হলে সময় নিয়ে পুরাটি দেখা খুবই জরুরী।

বি:দ্র: আরবিতে কিছু শব্দ আছে যেগুলোকে বলা যায় নমনীয় ( fully flexible) অর্থাৎ সে শব্দগুলোতে তানবিন ও কাসরা ব্যবহার করা যায়।কিছু আছে আংশিক নমনীয় (partly flexible) । আর কিছু শব্দ আছে ওরা কখনও পরিবর্তন হয় না।এ ব্যপারে পরে বিস্তারিত লিখা হবে। এ বিষযটিও নিচের ভিডিওতে ব্যাখা দেয়া হয়েছে

ভিডিওগুলো কয়েকবার দেখা দরকার।

লিঙ্গের ব্যাপারে আরো কিছু কথা:

আরবিতে প্রতিটি শব্দকে পুলিঙ্গে ধরা হয় যদি সেটিতে  স্ত্রীলিঙ্গের বৈশিষ্ট্য না থাকে।

আরবিতে চার প্রকার স্ত্রী লিঙ্গ শব্দ থাকে। যেমন;

১) আদতে / বাস্তবিকই স্ত্রী লিঙ্গ : ইত্যাদি মা, বোন, খালা শব্দ যা আসলেই স্ত্রীলিঙ্গ

২) আদতে স্ত্রীলিঙ্গ নয় কিন্তু শব্দের স্বরূপে এগুলাকে স্ত্রীলিঙ্গ হিসাবে গণ্য করা হয়।

যে সব শব্দের শেষে ة  “তা মারবুতা”  থাকে

যে সব শব্দের শেষে ى/آء  কিছু ব্যতিক্রম আছে।

৩) ভগ্ন বহুবচন (Broken Plural)

৪) যে সব শব্দ আরবরা শুরু থেকেই  স্ত্রীলিঙ্গ হিসাবে ব্যকারণে সব সময় গণ্য করে আসছে।
পুলিঙ্গ – স্ত্রীলিঙ্গ শব্দ বুঝতে  নিচের ভিডিওটি শুনেন পুরুষ ও স্ত্রীলিঙ্গের শব্দের ভিন্নতা দেখতে নীচে কোরআন শরিফের সুরা আহ-যাবে আয়াত নং ৩৫  দেখতে পারেন

“নিশ্চয় মুসলিম পুরুষ, মুসলিমাহ নারী, ঈমানদার পুরুষ, ঈমানদার নারী, অনুগত পুরুষ, অনুগত নারী, সত্যবাদী পুরুষ, সত্যবাদী নারী, ধৈর্য্যশীল পুরুষ, ধৈর্য্যশীল নারী, বিনীত পুরুষ, বিনীত নারী, দানশীল পুরুষ, দানশীল নারী, রোযা পালণকারী পুরুষ, রোযা পালনকারী নারী, যৌনাঙ্গ হেফাযতকারী পুরুষ, , যৌনাঙ্গ হেফাযতকারী নারী, আল্লাহর অধিক যিকরকারী পুরুষ ও যিকরকারী নারী-তাদের জন্য আল্লাহ প্রস্তুত রেখেছেন ক্ষমা ও মহাপুরষ্কার।”
শুনতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

এ পর্ব এখানে ইতি টানছি। পরবর্তী পর্বে থাকছে ইসম এর বচন তথা এক বচন, দ্বিবচন ও বহুবচন নিয়ে আলোচনা।

৩য় পর্ব


মন্তব্য দেখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *