আড়াই হাজার মেগাওয়াটের সরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্র অচল
বেসরকারী কুইক রেন্টালঃপিডিবির মাসে ক্ষতি হচ্ছে ২ হাজার কোটি টাকা
সংস্কার না হওয়ায় ও গ্যাস সঙ্কটে বন্ধ থাকায় আড়াই হাজার মেগাওয়াট ৰমতাসম্পন্ন সরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্র অচল হয়ে রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় এক হাজার ৮০০ মেগাওয়াটের ২৫টি বিদ্যুৎ ইউনিট দীর্ঘ দিন ধরে সংস্কারের অভাবে বন্ধ রয়েছে। সংস্কারকাজ কবে শেষ হবে তাও বলতে পারেন না পিডিবির সংশিস্নষ্টরা। এ ব্যাপারে দ্রম্নত কোনো পদৰেপ নেয়ার ব্যাপারে কোনো আগ্রহও নেই কর্তাব্যক্তিদের।
এ দিকে সরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ থাকায় পিডিবির মাসে লোকসান দিতে হচ্ছে দুই হাজার কোটি টাকার ওপরে। পিডিবির এক হিসাব মতে, সরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো থেকে গড়ে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে ব্যয় হয় ৩ টাকা। এ হিসাবে আড়াই হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ব্যয় হতো মাসে ৫৪০ কোটি টাকা। কিন্তু তরল জ্বালানিনির্ভর বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পিডিবির প্রতি ইউনিটের জন্য ব্যয় হচ্ছে ১৫ টাকা। সে হিসাবে আড়াই হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের জন্য মাসে ব্যয় হচ্ছে দুই হাজার ৭০০ কোটি টাকা; ফলে মাসে পিডিবির বন্ধ সরকারি কেন্দ্র বন্ধের বিপরীতে তরল জ্বালানিনির্ভর ভাড়াভিত্তিক কেন্দ্রের বিদ্যুৎ নিতে গিয়ে লোকসান দিতে হচ্ছে দুই হাজার ১৬০ কোটি টাকা।
এ দিকে পিডিবির লোকসানের বোঝা বেড়ে যাওয়ায় তেলনির্ভর বিদ্যুৎকেন্দ্রের জ্বালানি সরবরাহ করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। খরচ মেটাতে না পেরে তেলনির্ভর বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর উৎপাদন ৰমতার ৩০ শতাংশও কাজে লাগাতে পারছে না। পিডিবির চেয়ারম্যান এ এস এম আলমগীর কবির গত ১৯ মার্চ বাংলাদেশ এনাজি রেগুলেটরি কমিশনে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর ওপর এক গণশুনানিতে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর যৌক্তিকতা তুলে ধরে জানান, পিডিবির দেনার বোঝা ক্রমেই বেড়ে চলছে। জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিদ্যুতের উৎপাদন ব্যয় বেড়ে গেছে। এতে বেড়েছে সরবরাহ ব্যয়। আর সরবরাহ ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় সামগ্রিক ঘাটতির পরিমাণ বেড়ে গেছে। এ ঘাটতি মেটাতে সরকারের কাছে কঠিন শর্তে ঋণ নিতে হচ্ছে। এতেও কুলাতে না পেরে হাত দিতে হচ্ছে পিডিবির পেনশন ফান্ডে।
পিডিবির এক হিসাবে দেখা গেছে, সেচ মওসুম ও গ্রীষ্মের বাড়তি বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য অতিরিক্ত বরাদ্দ দিতে ১০ হাজার কোটি টাকার প্রয়োজন হবে। এরপরও দিনে এক ঘণ্টার লোডশেডিংয়ের যন্ত্রণা পোহাতে হবে। তবে ছয় হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিলে গ্রাহকদের দিনে আরো বেশি অর্থাৎ চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের যন্ত্রণা ভোগ করতে হবে।
পিডিবির এক পরিসংখ্যান থেকে দেখা গেছে, জানুয়ারি ও ফেব্রম্নয়ারি মাসে তরল জ্বালানি কম ব্যবহার করেও পিডিবির এ দুই মাসে লোকসান হয়েছে ১৩৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা। এ সময়ে ৩০ শতাংশ ফার্নেস অয়েলভিত্তিক এবং ১৫ শতাংশ ডিজেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে।
গ্রীষ্মকালীন চাহিদা, সেচ লোড ও নতুন সংযোগের কারণে আড়াই হাজার মেগাওয়াট চাহিদা বাড়বে। এ জন্য ৬০ শতাংশ ফার্নেস অয়েলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে এবং ৩০ শতাংশ ডিজেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে হবে। এ জন্য মার্চ থেকে জুন পর্যনৱ চার মাসে তরল জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির ফলে তরল জ্বালানি বাবদ পিডিবির মোট ঘাটতি হবে ৫৫৭ কোটি ৭০ লাখ টাকা।
যেসব কেন্দ্র অচল রয়েছে : সরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে ২৫টি ইউনিট মেরামতের অভাবে বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যে ২০১০ সালের ২৬ এপ্রিল থেকে ৫৫ মেগাওয়াট ৰমতার ২ নম্বর ইউনিট এবং ২১০ মেগাওয়াটের ৬ নম্বর ইউনিটটি একই বছরের ১৮ জুলাই থেকে বন্ধ রয়েছে। গ্যাসভিত্তিক এ দু’টি বিদ্যুৎকেন্দ্র কবে চালু হবে তা বলা নেই পিডিবির বিবরণীতে। এর বাইরে গ্যাসভিত্তিক হরিপুর ৩২ মেগাওয়াটের ৩ নম্বর ইউনিট ২০০৯ সালের ১৮ জুন থেকে বন্ধ রয়েছে। এভাবে সারা দেশের ২৫টি সরকারি ইউনিট দীর্ঘ দিন ধরে মেরামতের অভাবে বন্ধ রয়েছে। এর বাইরে গ্যাস সঙ্কটের কারণে আরো ৭০০ মেগাওয়াট ৰমতার সরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্র বসে রয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মনৱব্য : যথাসময়ে সংস্কার করে উৎপাদনে এলে উচ্চ মূল্যে তেলনির্ভর বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো থেকে বিদ্যুৎ কিনতে হতো না বলে বিশেষজ্ঞরা মনৱব্য করেছেন। তাদের মতে, সঠিক পরিকল্পনার অভাব, বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনা ও আর্থিক দিক বিবেচনা না করে তরল জ্বালানিনির্ভর বিদ্যুৎকেন্দ্রের অনুমোদন দেয়ায় দেশের বিদ্যুৎ খাত ভয়াবহ ঝুঁকির দিকে নিয়ে গেছে। সামনে এ থেকে পরিত্রাণের কোনো উপায় নেই। কুইক রেন্টালের কারণে সামনে বিদ্যুতের দাম আরো বাড়বে। কিন্তু কমবে না লোডশেডিংয়ের ভয়াবহতা। জনগণের ঘাড়ে ব্যয়ের বোঝা বাড়বে। দুর্ভোগ বাড়বে সর্বসাধারণের।
সাবেক বিদ্যুৎসচিব আ ন হ আখতার হোসেন বলেছেন, যথাযথ রৰণাবেৰণ না করায় সরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর উৎপাদন এক-তৃতীয়াংশে নেমে এসেছে। কিন্তু বিপরীতে দ্বিগুণ হারে বেড়েছে বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্র ও তরল জ্বালানিনির্ভর বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন। এর ফলে সামগ্রিক ভর্তুকি বেড়ে চলছে।
তিনি বলেন, গত অর্থবছরে এ কারণে ভর্তুকি বেড়ে হয়েছিল সাড়ে আট হাজার কোটি টাকা, চলতি অর্থবছর শেষে তা ১৫-১৬ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। কেননা ফার্নেস অয়েলের মূল্য যখন লিটারপ্রতি ২৬ টাকা ছিল, তখন বেসরকারি কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে বিদ্যুৎ কেনার চুক্তি করেছিল প্রতি ইউনিট সাড়ে সাত টাকা। ফার্নেস অয়েলের দাম বর্তমানে প্রতি লিটার ৬০ টাকায় উঠেছে। এর বাইরে আনৱর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে গেছে। সব মিলে বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ কিনতে সরকারের ব্যয় অনেক বেড়ে গেছে। ফলে বাড়ছে ভর্তুকির পরিমাণ। সাবেক এ বিদ্যুৎসচিব মনে করেন, সরকারের সঠিক পরিকল্পনার অভাব, বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনার সঠিক জ্ঞান না থাকায় সরকার তরল জ্বালানিনির্ভর বিদ্যুতের অনুমোদন দিয়েছে। এর খেসারত দেশের জনগণকে দিতে হচ্ছে।
কনজুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. এম শামসুল আলম সম্প্রতি বিদ্যুতের মূল্য বাড়ানোর ওপর এক গণশুনানি কালে বলেন, সরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো যথাসময়ে মেরামত হলে এবং কয়লাভিত্তিক সাশ্রয়ী বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হলে উচ্চ মূল্যের কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ কিনতে হতো না। এর ফলে বাড়তি ব্যয়ের বোঝা চাপ তো না ভোক্তাদের ঘাড়ে।
রিপোর্টারঃ আশরাফুল ইসলাম
http://www.dailynayadiganta.com/details/39428
**********************
২০০৯ সালে যদি তৌফিক এলাহী ও হাসিনা গ্যাস না হলেও দেশী অথবা বিদেশী কোম্পানীকে আমদানী ভিত্তিক কয়লা দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের অনুমতি দিত তাহলে আজকে এত বিদ্যুতের লোড শেডিং হত না। আর সরকারী উৎপাদন কেন্দ্রে গুলিতেও সেই ২০০৯ হতে ক্ষমতা আসার শুরু হতেই কোন সংস্কারের উদ্যোগ নেয়নি। ফলে তারা আজকে অর্ধেক বিদ্যুৎ না উৎপাদন করায় ২৫০০ মেগা ওয়াট ঘাটতি থাকছে। আর দেশীয় গ্যাস-কয়লা খাতে তো কোন কথাই নেই। কানকো-ফিলিপস, গ্যাসপ্রম ও চীনা কোম্পানী গুলো পেট্রবাংলার ৫ গুণ মূল্যে হলেও গ্যাস ক্ষেত্র বিদেশীদেরই দেওয়া হবে। শুরু হতেই কি গ্যাস-কয়লা উত্তোলন ও সরকারী বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র মেরামতের চেয়ে কিভাবে কুইক রেন্টালের বিদ্যুৎ কেনা যায় তারই পায়তারা চলতে থাকে। সংসদীয় কমিটিও এই নিয়ে কোন সুরাহা করতে পারেনি;
http://www.prothom-alo.com/detail/date/2012-03-13/news/232307
যদি অন্তত সরকারী উৎপাদন কেন্দ্র গুলো শুরু হতেই মেরামত হত এত বিদ্যুৎ ঘাটতিও হত না এবং বেশী কুইক রেন্টালেরও দরকার হত না। হাসিনার হিসাবে ঠিকই ৩৫০০ মেগা ওয়াট বিদ্যুৎ এসেছে যা ঐ কুইক রেন্টাল হতে। যার জন্য সরকারী ভর্তূকী প্রতি ইউনিট ১৫ টাকা দিতে হচ্ছে। তার উপর আরো বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি হবে। হলেও এর সাথে ভর্তূকীও চলবে অথাৎ উভয় দিকেই দেশ ও জনগণের উপর লোকসানী বোঝা। কিন্তু তাতেও লোড শেডিং অসহনীয়ই থাকছে। দেশ ও জনগণ জাহান্নামে যাক কারণ হাসিনা ইতিমধ্যেই ৭ দিন বিদ্যুৎ বন্ধ রাখার হুমকি দিয়েছে। কারণ এই হুমকি না দিলে হাসিনা ও তার চামচাদের অবৈধ আয় কিভাবে হবে? তাই সুরঞ্জিত সেন যথার্থই বলেছেন “বাঘে ধরলে ছাড়ে, কিন্তু হাসিনা ছাড়ে না”। বাঘেরও একটু দয়া মায়া হয় কিন্তু জনগণকে লুটে ও রক্ত চুষেও হাসিনা ক্ষান্ত হয় না। তাই জনগনের উপর বোঝা দিনকে দিন বাড়তেই থাকবে যতদিন হাসিনা ক্ষমতায় আছে।
বিদ্যুতের ব্যপারে জাতীয় সংষদে ব্যরিষ্টার অন্দালিপের ভাষন শুনুন :
http://www.youtube.com/watch?feature=player_embedded&v=3830IsU3rFU
আগে হাসিনা প্রায় বলতেন যে গত টার্ম বিএনপির আমলে খালেদা জিয়া নাকি বিদ্যুতের জন্য কিছুই করেন নাই তাই আজকে বিদ্যুতের এই সমস্যা। এখন অবশ্য সে ভাবে আর অভিযোগ না করলেও ঐ আমলে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ে নাই সে কথা শুনাতে ভুলেন না।
আমাদের মত আম পাব্লিকদের কথা হলে বুঝা যেত যে আদার বেপারী জাহাজের খবর ! কিন্তু শেখ হাসিনা যিনি দুই দুইবার এই দেশের প্রধাণমন্ত্রীর আসনে বসেছেন তিনি এই ভাবে বললে খুব অবাক হতে হয়। কারণ তিনি ভাল করে জানেন যে, কোন সরকার ইচ্ছা করলেই আলাদিনের চেগারের মত জীন হাজির করতে পারেন না। বিশেষ করে বিদ্যুতের জীন হাসিল করতে হলে তার জ্বালানীর ব্যবস্থাতো করতে হবে! আর এই ব্যবস্থা করা বা না করা পিছনে যে দেবতরা আছেন তাদেরকে সন্তুষ্ট করা ছাড়া এই ব্যবস্থা করা যায়না।
বিদ্যুৎ আর জ্বালানী সেকটরের দিকে তাকালে কিসিঞ্জারের সেই উক্তির কথা মনে পড়ে যায়-সদ্য স্বাধীনতা প্রাপ্ত দেশের অর্থনৈতিক দেউলিয়াপণা দেখে বটম লেস বাস্কেট বলে মন্তব্য করেছিলেন।
আসলে দফায় দফায় বিদ্যুৎ আর গ্যাসের দাম বাড়িয়ে গরীবদের জীবনে নাভিশ্বাস উঠালেও ঐ সেক্টর কোন ভাবেই রক্ষা পাবেনা। ধনীরা এসি ফ্রিজ এয়ার কুলার সহ নানা ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী ব্যবহার করে বিদ্যুৎ বিভাগের দুর্নীতিবাজ কর্মীদের সহযোগীতায় নাম মাত্র বিল পরিশোধ করে থাকেন। কিন্তু ছাপোষ গরীবরা ঠিক মত তাদের বিল পরিশোধ করতে হয়।
তাই গর্তের ভিতরে ইদুর রেখে গর্তের মুখে যতই মাটি চাপা দেয়া হয় না কেন তাতে ইদুরের আক্রমণ থেকে রক্ষা করা যাবেনা।
আসলে যে সরকার আসুক না কেন এই ধরণের সিস্টেম লস এড়াতে জেহাদে জড়িয়ে পড়তে হবে। আর এর জন্য কার্যকর পন্থা গ্রহণ করতে হবে।
আমি মনে করি- এই ব্যাপারে সরকার যদি বাংলাদেশের প্রতিটি জিলায় একটি করে বিদ্যুৎ কোম্পানী গঠণ করে সেই কোম্পানীর উপর বিদ্যুৎ বিতরণ ও গ্রাহক থেকে বিল আদায়ের দায়িত্ব ন্যাস্ত করে দেয় তাহলে ৯৯ ভাগ সিস্টেম লস এড়ানো যাবে।
এবং এর জন্য বিদ্যুৎ বিভাগের উপরের লেভেলের ২স্তরের কর্ম কর্তাকর্মচারীদেরকে গোল্ডেন হ্যান্ডশ্যাক দিয়ে অবসরে পাঠিয়ে দিয়ে ৩য় স্তরের কর্মকর্তাদেরকে প্রমোশোন দিয়ে ১ম ২য় স্তরে নিয়ে আসলে বিদ্যুৎ বিভাগের সকল স্তরে এক বিরাট ভুমিকম্প হবে। এতে দুর্নীতি পরায়ণ কর্মচারীরা আর দুর্নীতি করতে সাহস পাবেনা। ২য়তঃ নিম্নতম স্তরে নতুনদের আগমণ এবং পুরানো নিম্নতর স্তরে হঠাৎ প্রমোশন পাওয়াতে বেতন ভাতা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে তাদের জীবনে সচ্ছলতা আসলে তারাও এই পদ হারাবার ভয়ে দুর্নীতিতে লিপ্ত হতে পারবেনা।
আর যেহেতু ঐ কোম্পানী গুলো বেসরকারী হবে কাজেই তাদের মালিক পক্ষ তাদের কোন ক্ষতি না হয় সদা সতর্ক থাকবে। এবং সরকার প্রতিমাসে সেই কোম্পানীগুলোদের কাছ থেকে বিক্রিত বিদ্যুতের পাওনা কড়ায় গণ্ডায় আদায় করে নিতে অসুবিধা হবেনা।
এই ভাবে সিস্টেম লস ঠেকাতে পারলে সরকারের হাতে এই খাত থেকে অনেক রাজস্ব আসবে যা দ্বারা আমাদের বিশেষজ্ঞ দিয়ে মাটির গভীর থেকে গ্যাস আহরণ করতে কোন বেগ পেতে হবেনা।